শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

সিরিয়ার ধ্বংসস্তুপে সেখানকার মানুষ যেভাবে ইফতার করে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১৫:০৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী দামেস্কের কাছেই অবস্থিত দৌমা এলাকা, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এই এলাকার বেশির ভাগই এখন ধ্বংসস্তুপে নিমজ্জিত। কিন্তু এরই মধ্যে সেখানকার বাসিন্দারা একসঙ্গে ইফতার করার ব্যবস্থা করেছেন।

বাসিন্দাদের জন্য এরকম ইফতারের আয়োজন করেছেন সিরিয়ান আদালেহ ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে তার কার্যক্রম শুরু করে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রতি পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌটা এলাকায় সহায়তা দেবার লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুরু হয়।
রমজানের শেষ দশ দিন এই প্রতিষ্ঠানটি দৌমার বাসিন্দাদের খাবার সরবরাহ করবে।

‘বিমান হামলার ভয়ে আমরা সাধারণত এ ধরনের আয়োজন করিনা। কিন্তু সাম্প্রতিক চুক্তির সুবিধা আমরা নিচ্ছি’- মানবাধিকার সংস্থার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে এমনটাই বলছিলেন।

সিরিয়ায় চলমান অবরোধ-সংঘর্ষের জেরে সেখানে খাদ্যের দাম অনেক চড়া। ইফতারির জন্য যে খাবার দৌমায় সরবরাহ দেয়া হয় সেটি তৈরি করা হয় পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা ঘৌটায়। প্রায় চার বছর ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে দৌমা এলাকা।

২০১৬ সালের অক্টোবরের পর গত মাসে প্রথমবারের মতো একটি সাহায্য সংস্থা দৌমায় প্রবেশ করতে পারে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে জায়েশ-আল-ইসলাম, আর গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকাকে লক্ষ্য করে সিরিয়া সরকারি বাহিনী অনবরত বিমান ও বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।

শহরের প্রায় একশোর মতো বাসিন্দা একসঙ্গে ইফতার গ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে একজন বলছেন ‘বিমান হামলার ভয়ে আমরা মসজিদে লুকিয়ে ইফতার করেছি অনেক সময়’।

সিরিয়ার একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট টুইটারে ছবিগুলো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দৌমায় মৃত্যুর পরিবর্তে আজ জীবনের ছোঁয়া’।

আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী এই খাবারকে বর্ণনা করছে ‘ইফতার অব হিরোজ’ বলে। ‘অনেক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে এই মানুষগুলো মানুষের জন্য কাজ করছে এবং অন্যদের জন্যও উদাহরণ তৈরি করছে’-লিখেছেন আরেকজন। ছবিগুলো অনলাইনে প্রকাশের পর হাজার হাজার মানুষ এটি শেয়ার করছে ও নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।

ছবিগুলো শেয়ার করে রোজাদারদের সুস্বাস্থ্যও কামনা করেছেন সিরিয়ার নামকরা কয়েকজন সাংবাদিক। অনেক ব্যবহারকারী এটাও বলেছেন যে ছবিগুলোতে যে শিশুদের দেখা যাচ্ছে তারা সবাই যুদ্ধে পরিবার-পরিজন হারানো এতিম।

সূত্র: বিবিসি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

সিরিয়ার ধ্বংসস্তুপে সেখানকার মানুষ যেভাবে ইফতার করে !

আপডেট সময় : ১১:১৫:০৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী দামেস্কের কাছেই অবস্থিত দৌমা এলাকা, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এই এলাকার বেশির ভাগই এখন ধ্বংসস্তুপে নিমজ্জিত। কিন্তু এরই মধ্যে সেখানকার বাসিন্দারা একসঙ্গে ইফতার করার ব্যবস্থা করেছেন।

বাসিন্দাদের জন্য এরকম ইফতারের আয়োজন করেছেন সিরিয়ান আদালেহ ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে তার কার্যক্রম শুরু করে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রতি পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌটা এলাকায় সহায়তা দেবার লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুরু হয়।
রমজানের শেষ দশ দিন এই প্রতিষ্ঠানটি দৌমার বাসিন্দাদের খাবার সরবরাহ করবে।

‘বিমান হামলার ভয়ে আমরা সাধারণত এ ধরনের আয়োজন করিনা। কিন্তু সাম্প্রতিক চুক্তির সুবিধা আমরা নিচ্ছি’- মানবাধিকার সংস্থার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে এমনটাই বলছিলেন।

সিরিয়ায় চলমান অবরোধ-সংঘর্ষের জেরে সেখানে খাদ্যের দাম অনেক চড়া। ইফতারির জন্য যে খাবার দৌমায় সরবরাহ দেয়া হয় সেটি তৈরি করা হয় পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা ঘৌটায়। প্রায় চার বছর ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে দৌমা এলাকা।

২০১৬ সালের অক্টোবরের পর গত মাসে প্রথমবারের মতো একটি সাহায্য সংস্থা দৌমায় প্রবেশ করতে পারে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে জায়েশ-আল-ইসলাম, আর গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকাকে লক্ষ্য করে সিরিয়া সরকারি বাহিনী অনবরত বিমান ও বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।

শহরের প্রায় একশোর মতো বাসিন্দা একসঙ্গে ইফতার গ্রহণ করছেন। এদের মধ্যে একজন বলছেন ‘বিমান হামলার ভয়ে আমরা মসজিদে লুকিয়ে ইফতার করেছি অনেক সময়’।

সিরিয়ার একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট টুইটারে ছবিগুলো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দৌমায় মৃত্যুর পরিবর্তে আজ জীবনের ছোঁয়া’।

আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী এই খাবারকে বর্ণনা করছে ‘ইফতার অব হিরোজ’ বলে। ‘অনেক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে এই মানুষগুলো মানুষের জন্য কাজ করছে এবং অন্যদের জন্যও উদাহরণ তৈরি করছে’-লিখেছেন আরেকজন। ছবিগুলো অনলাইনে প্রকাশের পর হাজার হাজার মানুষ এটি শেয়ার করছে ও নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।

ছবিগুলো শেয়ার করে রোজাদারদের সুস্বাস্থ্যও কামনা করেছেন সিরিয়ার নামকরা কয়েকজন সাংবাদিক। অনেক ব্যবহারকারী এটাও বলেছেন যে ছবিগুলোতে যে শিশুদের দেখা যাচ্ছে তারা সবাই যুদ্ধে পরিবার-পরিজন হারানো এতিম।

সূত্র: বিবিসি