শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: ভিকটিমের বক্তব্য পায়নি পিবিআই !

  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও ভিকটিমের বক্তব্যই পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শুধু ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাতে হয়েছে। একজন ভিকটিমকেও পাওয়া যায়নি। ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত যে অনেকে সেখানে অ্যাসল্ট হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জা বা সামাজিকতার ভয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তদন্তের কাজটা আমাদের জন্য আরও সহজ হতো। ভিকটিম না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাই ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি কামাল ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ  দেখে ওই ঘটনার জন্য ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে একজন কামাল। বাকিদের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় কামালকেই আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে। কামাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিনিজে স্বীকার করেছে সে তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে শ্লীনতাহানি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ কাজ করেছে কেউ একথা স্বীকার করে নাকি? ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে, সে নারীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে একজন গ্রেপ্তার থাকায় শুধু তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে জানান।

বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পিবিআই-এর কর্মকর্তা বলেন, লাখ-লাখ মানুষের মাঝে এই সাতজনকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। এছাড়া সোর্সদের কাছে প্রকাশিত ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেরও সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: ভিকটিমের বক্তব্য পায়নি পিবিআই !

আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও ভিকটিমের বক্তব্যই পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শুধু ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাতে হয়েছে। একজন ভিকটিমকেও পাওয়া যায়নি। ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত যে অনেকে সেখানে অ্যাসল্ট হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জা বা সামাজিকতার ভয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তদন্তের কাজটা আমাদের জন্য আরও সহজ হতো। ভিকটিম না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাই ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি কামাল ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ  দেখে ওই ঘটনার জন্য ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে একজন কামাল। বাকিদের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় কামালকেই আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে। কামাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিনিজে স্বীকার করেছে সে তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে শ্লীনতাহানি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ কাজ করেছে কেউ একথা স্বীকার করে নাকি? ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে, সে নারীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে একজন গ্রেপ্তার থাকায় শুধু তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে জানান।

বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পিবিআই-এর কর্মকর্তা বলেন, লাখ-লাখ মানুষের মাঝে এই সাতজনকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। এছাড়া সোর্সদের কাছে প্রকাশিত ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেরও সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।