শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: ভিকটিমের বক্তব্য পায়নি পিবিআই !

  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও ভিকটিমের বক্তব্যই পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শুধু ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাতে হয়েছে। একজন ভিকটিমকেও পাওয়া যায়নি। ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত যে অনেকে সেখানে অ্যাসল্ট হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জা বা সামাজিকতার ভয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তদন্তের কাজটা আমাদের জন্য আরও সহজ হতো। ভিকটিম না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাই ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি কামাল ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ  দেখে ওই ঘটনার জন্য ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে একজন কামাল। বাকিদের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় কামালকেই আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে। কামাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিনিজে স্বীকার করেছে সে তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে শ্লীনতাহানি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ কাজ করেছে কেউ একথা স্বীকার করে নাকি? ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে, সে নারীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে একজন গ্রেপ্তার থাকায় শুধু তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে জানান।

বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পিবিআই-এর কর্মকর্তা বলেন, লাখ-লাখ মানুষের মাঝে এই সাতজনকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। এছাড়া সোর্সদের কাছে প্রকাশিত ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেরও সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি: ভিকটিমের বক্তব্য পায়নি পিবিআই !

আপডেট সময় : ০২:০৭:৩৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও ভিকটিমের বক্তব্যই পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে মঙ্গলবার এক আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় আমাদের শুধু ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাতে হয়েছে। একজন ভিকটিমকেও পাওয়া যায়নি। ফুটেজ দেখে এটা নিশ্চিত যে অনেকে সেখানে অ্যাসল্ট হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জা বা সামাজিকতার ভয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। সেটা পাওয়া গেলে তদন্তের কাজটা আমাদের জন্য আরও সহজ হতো। ভিকটিম না পাওয়া গেলেও প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের লিটন নন্দীসহ অন্যান্যদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাই ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি কামাল ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ  দেখে ওই ঘটনার জন্য ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে একজন কামাল। বাকিদের পরিচয় খুঁজে না পাওয়ায় কামালকেই আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে। কামাল ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিনিজে স্বীকার করেছে সে তখন ঘটনাস্থলে ছিল। তবে শ্লীনতাহানি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ কাজ করেছে কেউ একথা স্বীকার করে নাকি? ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট দেখা গেছে, সে নারীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, এই মূহুর্তে একজন গ্রেপ্তার থাকায় শুধু তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হবে জানান।

বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পিবিআই-এর কর্মকর্তা বলেন, লাখ-লাখ মানুষের মাঝে এই সাতজনকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছি। এছাড়া সোর্সদের কাছে প্রকাশিত ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। মিডিয়ার মাধ্যমেরও সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।