শিরোনাম :
Logo বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত Logo জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে ধানমন্ডি থানা যুবদল Logo চুয়াডাঙ্গায় দ্রুতগতির আলমসাধুর ধাক্কায় প্রাণ গেল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারির Logo বোদা গরুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায় অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo বিএনসিসি স্কোয়াড্রনে সিইউও পদে পদোন্নতি পেলেন রাবির নাছিম উদ্দিন Logo জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চাঁসক শাখা Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আইনি প্রক্রিয়ায় আটকে আছে বৃদ্ধের ময়নাতদন্ত, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন Logo ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন জনগণের দাবি: সালাহউদ্দিন Logo আগে বিচার এরপর সংস্কার ও নির্বাচন: মুজিবুর রহমান Logo নির্বাচন নিয়ে একটি মহল জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: মির্জা আব্বাস

ভারতকে নিয়ে যে কড়া বার্তা দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির আবারও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন। ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‌‌‌‘কাশ্মীর নিয়ে কোনো দিন আপস করবে না পাকিস্তান। এটি শুধু একটি আঞ্চলিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক ইস্যু—যা কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ। এইদিন রাওয়ালপিন্ডির সেনা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হিলাল টকস’ নামক একটি আলোচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আসিম মুনির বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর ইস্যু ধামাচাপা দিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছে। আজও এই সংকট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহাল রয়েছে।

এসময় তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকট, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের জন্য দেশটির বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ভারতে সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয়েছে বৈষম্য ও অন্যায় থেকেই।

এদিকে বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, ওই অঞ্চলের অস্থিরতা বেলুচ জনগণের কারণে নয়, বরং ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কারণে। এসময় তিনি বলেন, বেলুচিস্তানের সন্ত্রাসীরা বেলুচ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা ভারতের ছায়া-সংগঠন। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো প্রচার পাকিস্তান সহ্য করবে না।

এসময় আসিম মুনির পানি বণ্টন প্রসঙ্গে বলেন, ‘পানি পাকিস্তানের লাল রেখা। ভারতের একচেটিয়া আধিপত্য আমরা মেনে নেব না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ২৪ কোটি পাকিস্তানির পানির অধিকার নিয়ে আপসের প্রশ্নই ওঠে না।

উল্লেখ্য, দেশটির আইএসপিআর-এর তথ্যমতে, এই আলোচনায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৮০০ জন শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত

ভারতকে নিয়ে যে কড়া বার্তা দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

আপডেট সময় : ০৪:৪০:১২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির আবারও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন। ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‌‌‌‘কাশ্মীর নিয়ে কোনো দিন আপস করবে না পাকিস্তান। এটি শুধু একটি আঞ্চলিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক ইস্যু—যা কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ। এইদিন রাওয়ালপিন্ডির সেনা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হিলাল টকস’ নামক একটি আলোচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আসিম মুনির বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর ইস্যু ধামাচাপা দিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছে। আজও এই সংকট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহাল রয়েছে।

এসময় তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকট, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের জন্য দেশটির বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ভারতে সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয়েছে বৈষম্য ও অন্যায় থেকেই।

এদিকে বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, ওই অঞ্চলের অস্থিরতা বেলুচ জনগণের কারণে নয়, বরং ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কারণে। এসময় তিনি বলেন, বেলুচিস্তানের সন্ত্রাসীরা বেলুচ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা ভারতের ছায়া-সংগঠন। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো প্রচার পাকিস্তান সহ্য করবে না।

এসময় আসিম মুনির পানি বণ্টন প্রসঙ্গে বলেন, ‘পানি পাকিস্তানের লাল রেখা। ভারতের একচেটিয়া আধিপত্য আমরা মেনে নেব না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ২৪ কোটি পাকিস্তানির পানির অধিকার নিয়ে আপসের প্রশ্নই ওঠে না।

উল্লেখ্য, দেশটির আইএসপিআর-এর তথ্যমতে, এই আলোচনায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৮০০ জন শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।