শিরোনাম :
Logo ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা বাংলাদেশের Logo ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ- নেতৃত্বে স্মৃতি ও তানজিলা Logo রাবি ক্যাম্পাসে মিছিলে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ Logo জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সংশোধিত প্রকল্পের অনুমোদন Logo ২৫টি মোবাইল ফোন ও ৭০টি ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম জব্দ Logo চুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে হাসপাতালে গরু ব্যবসায়ী Logo প্রাথমিক স্কোয়াডে হামজা-শমিত, ফাহমিদুল-কিউবারা পেয়েছেন জায়গা? Logo ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধান উপদেষ্টার Logo রাতের মধ্যে ১৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, সতর্ক সংকেত Logo একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ার ২৭ বছর

প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গায় এসে বিয়ের পিড়িতে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৩২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ৭১৪ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমির (২৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের শোভন মিয়ার। গত ৯ মাস পূর্বে প্রেমিক শোভন মিয়া বাড়িতে ফিরে আসেন। প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে সোমবার (২৬ মে) সকালে শোভনের গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির হন আইজুমি। রাতেই ধুমধাম করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিদেশি এই তরুণীকে একনজর দেখতে অনেকেই ভিড় জমান শোভনের বাড়িতে। শোভনের পরিবার সাচ্ছন্দে গ্রহণ করেছে এই তরুণীকে।

সোমবার (২৬ মে) রাতে শোভন ও আইজুমির চুয়াডাঙ্গা কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শোভন মিয়া (৩০) প্রায় ১৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে সিঙ্গাপুরে যান। গত পাঁচ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় সিঙ্গাপুরে কর্মরত ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমির সঙ্গে। প্রথমে কথা বলা এরপর শুরু হয় দুজন দুজনকে ভালোলাগা। আর এই ভালো লাগায় পরিনত হয় প্রেমে। গত বছর দেশে আসেন শোভন। ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাদের দুজনের। ২৫ মে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমি। সোমবার বেলা ১১টায় উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা উপজেলার অনুপনগর গ্রামে প্রেমিক শোভনের বাড়িতে।

আইজুমি জানান, প্রিয় মানুষটিকে দেখার জন্য ছুটে এসেছি বাংলাদেশে। শোভন যদি চাই তাহলে আমি বিয়ে করতে রাজি। আমি শোভনের সঙ্গে থাকতে চাই। অবশেষে রাতেই তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, শোভন আমাদের এলাকার গর্ব তার প্রেমের টানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের গ্রামে চলে এসেছে এই সুন্দরী তরুণী। শোভন আইজুমির জন্য দোয়া চেয়েছেন এলাকাবাসী।

শোভন মিয়া বলেন, “ভালোবাসা কখনোই জাত-বর্ণ বা দেশের বাধা মানে না। আমি গর্বিত যে জিমনিয়া আমাকে ও আমার পরিবারকে মেনে নিয়েছে।”তিনি আরো বলেন, প্রেম যদি খাঁটি হয় দূরত্ব কোন বিষয় নয়।

শোভনের মা জানান, “আমার ছেলে অনেক বছর প্রবাসে ছিল। সেখানে গিয়ে সে যাকে ভালোবেসেছে, তাকেই বিয়ে করেছে—এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জিমনিয়া খুব ভালো মেয়ে, পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে।”

এই প্রেমের সফল পরিণতি এখন পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ চুয়াডাঙ্গা জুড়ে আলোচনার কেন্দবৃন্দতে। অনেকেই বলছেন, ভালোবাসা সত্য হলে সে যে কোনো সীমা অতিক্রম করতে পারে। শোভন ও আইজুমি তারই প্রমাণ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা বাংলাদেশের

প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গায় এসে বিয়ের পিড়িতে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী

আপডেট সময় : ১২:২৩:৩২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমির (২৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের শোভন মিয়ার। গত ৯ মাস পূর্বে প্রেমিক শোভন মিয়া বাড়িতে ফিরে আসেন। প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে সোমবার (২৬ মে) সকালে শোভনের গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির হন আইজুমি। রাতেই ধুমধাম করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিদেশি এই তরুণীকে একনজর দেখতে অনেকেই ভিড় জমান শোভনের বাড়িতে। শোভনের পরিবার সাচ্ছন্দে গ্রহণ করেছে এই তরুণীকে।

সোমবার (২৬ মে) রাতে শোভন ও আইজুমির চুয়াডাঙ্গা কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শোভন মিয়া (৩০) প্রায় ১৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে সিঙ্গাপুরে যান। গত পাঁচ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় সিঙ্গাপুরে কর্মরত ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমির সঙ্গে। প্রথমে কথা বলা এরপর শুরু হয় দুজন দুজনকে ভালোলাগা। আর এই ভালো লাগায় পরিনত হয় প্রেমে। গত বছর দেশে আসেন শোভন। ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাদের দুজনের। ২৫ মে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান তরুণী আইজুমি। সোমবার বেলা ১১টায় উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা উপজেলার অনুপনগর গ্রামে প্রেমিক শোভনের বাড়িতে।

আইজুমি জানান, প্রিয় মানুষটিকে দেখার জন্য ছুটে এসেছি বাংলাদেশে। শোভন যদি চাই তাহলে আমি বিয়ে করতে রাজি। আমি শোভনের সঙ্গে থাকতে চাই। অবশেষে রাতেই তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, শোভন আমাদের এলাকার গর্ব তার প্রেমের টানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের গ্রামে চলে এসেছে এই সুন্দরী তরুণী। শোভন আইজুমির জন্য দোয়া চেয়েছেন এলাকাবাসী।

শোভন মিয়া বলেন, “ভালোবাসা কখনোই জাত-বর্ণ বা দেশের বাধা মানে না। আমি গর্বিত যে জিমনিয়া আমাকে ও আমার পরিবারকে মেনে নিয়েছে।”তিনি আরো বলেন, প্রেম যদি খাঁটি হয় দূরত্ব কোন বিষয় নয়।

শোভনের মা জানান, “আমার ছেলে অনেক বছর প্রবাসে ছিল। সেখানে গিয়ে সে যাকে ভালোবেসেছে, তাকেই বিয়ে করেছে—এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জিমনিয়া খুব ভালো মেয়ে, পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে।”

এই প্রেমের সফল পরিণতি এখন পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ চুয়াডাঙ্গা জুড়ে আলোচনার কেন্দবৃন্দতে। অনেকেই বলছেন, ভালোবাসা সত্য হলে সে যে কোনো সীমা অতিক্রম করতে পারে। শোভন ও আইজুমি তারই প্রমাণ।