শিরোনাম :
Logo ‘হাসিনা যতদিন ভারতে আশ্রিত থাকবে, ততদিন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না’ Logo বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীদের নিয়ে জেনেভা ক্যাম্পে নাহিদ Logo ‘বিষপান করা’ সেই ৪ জুলাই যোদ্ধার পাশে তারেক রহমান Logo ইবিতে অতিরিক্ত ছুটি কমানো ও হল খোলা রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি  Logo ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব ছাড়ছেন ইলন মাস্ক Logo ১৮০ যাত্রী নিয়ে আকাশে ঘুরপাক খাচ্ছিলো বিমান, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা Logo কানাডায় ভয়াবহ দাবানলে জরুরি অবস্থা জারি Logo ভারী বৃষ্টিপাত-ভূমিধসের ঝুঁকি, ভারতের ৩ রাজ্যে রেড অ্যালার্ট জারি Logo বাজুস নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা Logo রোববার ৫ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করবেন সচিবালয় কর্মচারীরা

দর্শনা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক, পুশইন রোধে বিজিবির কড়া বার্তা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:২৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ৭১০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ পুশইন ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে তা বন্ধে কড়া বার্তা দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (২৮ মে) চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ-এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এ বার্তা দেওয়া হয়।

দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) আওতাধীন দর্শনা বিওপির নিকটবর্তী মেইন পিলার ৭৬-এর শূন্যরেখায় এ অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান ও ভারতের ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমার।

বৈঠকে প্রথমে দুই কমান্ডার সৌজন্য বিনিময় করেন। এরপর সাম্প্রতিক সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিজিবি অধিনায়ক সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি সীমান্ত আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’ তিনি বিএসএফ কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়ার।

তিনি আরও বলেন, কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে যদি ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে তালিকা আকারে তথ্য বিজিবিকে দিতে হবে এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় দ্রুত প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বিজিবির প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়ে জানান, সীমান্তে পুশইন রোধে স্থানীয় কমান্ডারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

পতাকা বৈঠকে দুই বাহিনীর কমান্ডাররা সীমান্ত হত্যা বন্ধ, চোরাচালান প্রতিরোধ, অনুপ্রবেশ রোধ এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করাসহ যৌথ টহল বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হন। দায়িত্ব পালনের সময় পারস্পরিক সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৈঠক শেষে দুই বাহিনীর কর্মকর্তারা মেইন পিলার ৭৬ পরিদর্শন করেন। বিজিবির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘হাসিনা যতদিন ভারতে আশ্রিত থাকবে, ততদিন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না’

দর্শনা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক, পুশইন রোধে বিজিবির কড়া বার্তা

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:২৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ পুশইন ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে তা বন্ধে কড়া বার্তা দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (২৮ মে) চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ-এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এ বার্তা দেওয়া হয়।

দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) আওতাধীন দর্শনা বিওপির নিকটবর্তী মেইন পিলার ৭৬-এর শূন্যরেখায় এ অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান ও ভারতের ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমার।

বৈঠকে প্রথমে দুই কমান্ডার সৌজন্য বিনিময় করেন। এরপর সাম্প্রতিক সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিজিবি অধিনায়ক সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি সীমান্ত আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’ তিনি বিএসএফ কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়ার।

তিনি আরও বলেন, কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে যদি ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে তালিকা আকারে তথ্য বিজিবিকে দিতে হবে এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় দ্রুত প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বিজিবির প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়ে জানান, সীমান্তে পুশইন রোধে স্থানীয় কমান্ডারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

পতাকা বৈঠকে দুই বাহিনীর কমান্ডাররা সীমান্ত হত্যা বন্ধ, চোরাচালান প্রতিরোধ, অনুপ্রবেশ রোধ এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করাসহ যৌথ টহল বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হন। দায়িত্ব পালনের সময় পারস্পরিক সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৈঠক শেষে দুই বাহিনীর কর্মকর্তারা মেইন পিলার ৭৬ পরিদর্শন করেন। বিজিবির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।