রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গতকাল এটিএম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে চলা মিছিলের ওপর হামলা করা হয়িছে তারই প্রতিবাদে বুধবার ২৮ মে রাবি বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিকেল ৫ টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছের রাবি সন্ত্রাসবিরোধি ছাত্র ঐক্য।
বিক্ষোভ সমাবেশে তারা, ছাত্র শিবিরের সন্ত্রসী হামলার বিচার চাই; ৭১ হারেনি হেরে গেছে হাসিনা; চট্টগ্রামে হামলা কেন? ইন্টিরিম জবাব চাই ; যেই প্রশাসন সন্ত্রাস পোষে সেই প্রশাসন চাই না; ২৪ এ চেতনা সন্ত্রসী হামলা না ; নিরাপদ ক্যম্পাস নিশ্চিত করসহ বিভিন্ন প্লকার্ড হাতে অবস্থান নেয়।
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, গতকাল আমাদের উপর দফায় দফায় হামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বা প্রশাসনের কেউ তাদের থামায়নি। ৫আগস্টের পর সারাদেশকে তারা অস্থিতিশীল করে তুলেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জামায়াতের কোলে বসে আছে। তারাও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা চাই একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস। এই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট বানাতে চায়।
ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার আলিফ বলেন, অতীতেও আমাদের অনেক নেতাকর্মী ছাত্রশিবিরের নৃশংসতার শিকার হয়েছে। কিছুদিন আগে রাবি শিবিরের অহিংস থেকে সহিংস আন্দলনের দিকে যাওয়ার ঘোষণাই প্রমাণ করে দেয় ছাত্র শিবিরের রাজনীতি একটি সহিংস রাজনীতি। ৫ আগস্টের পর নিরাপদ ক্যাম্পাসে স্বাধীনতার কথা থাকলেও ছাত্রশিবির আমাদের নিরাপত্তা হরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, এডহক নিয়োগের মাধ্যমে রাবি প্রশাসনের দায়িত্বরতরা তাদের গ্রহনযোগ্যতা ক্ষুন্ন করেছে। আপনারা গত ঈদের ন্যয়ে এবারেও হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিরাপত্তার অযুহাতে। যদি আপনারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন তবে পদত্যাগ করুন। রাবির মিছিলের হামলার প্রতিবাদে আজ চট্টগ্রামে মিছিলে হামলার দায় নিতে হবে অন্তর্বর্তিকালিন সরকারকে। আমি গতকালে মিছিলের ওপর হামলা কারিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, আমরা ২৪ পরবর্তী সময়ে একটি নিরাপদ কয়াম্পাস চেয়েছিলাম। কিন্তু গতকাল অবাক হয়েছি। শিবির আমাদের উপর আঘাত হেনেছে। অতীতে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে মিছিল মিটিংয়ের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতো না। এখন শিবির সেই পথে চলছে। দফায় দফায় আমাদের উপর পরিকল্পিত হামলা করেছে। কিন্তু প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তারা সংঘর্ষ ঠেকাতে আসেনি। এভাবে চলতে থাকলে এ প্রশাসনের অপসারণ চাইতে বাধ্য হবো।
ছাত্র যুব আন্দোলনের আহবায়ক তারেক আশরাফ বলেন, গতকাল আমাদের উপর হামলা হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে আমাদের সহযোদ্ধাদের উপর আজ ছাত্রশিবির আবারো হামলা করেছে এটিএম আজহার যদি রাজাকার না হয়ে থাকে ১০/১২ জনের মিছিলে ২০০ জন কেন ঝাপিয়ে পড়লো।