আজও ৪২ ডিগ্রি ছুই ছুই চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, অতিষ্ঠ জনজীবন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:০৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

টানা কয়েকদিনের তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। সাথে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় আরও অতিষ্ঠ হচ্ছে জনজীবন।

আজ রোববার (১১ মে) বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাদের আদ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ।

গতকাল শনিবার (১০ মে) বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাদের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

জেলা শহরের বিভিন্নস্থানে শরবত তৈরী করা হচ্ছে। যা তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে কেনাবেচার। এছাড়া পাশাপাশি ডাবেরও চাহিদা বেড়েছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে বয়স্কদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুঁকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, বিভিন্নস্থানে পিচ গলে যাচ্ছে বলে জেনেছি। সেখানে আমরা বালু ছিটিয়ে দিচ্ছি। এতে যান চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটবে না। তবে রোদের এই তীব্রতা চলমান থাকলে যান চলাচলে সামান্য বিঘ্ন ঘটতে পারে। আমরা সব সময় তদারকি করছি যেন কোন সমস্যা না ঘটে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আগামী সোমবার থেকে তাপমাত্রা একটু কমতে পারে। এছাড়া ১৫ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে বৃষ্টির কোন আভাস নেই।

ট্যাগস :

আজও ৪২ ডিগ্রি ছুই ছুই চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, অতিষ্ঠ জনজীবন

আপডেট সময় : ০৪:২২:০৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

টানা কয়েকদিনের তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। সাথে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় আরও অতিষ্ঠ হচ্ছে জনজীবন।

আজ রোববার (১১ মে) বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাদের আদ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ।

গতকাল শনিবার (১০ মে) বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাদের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।

জেলা শহরের বিভিন্নস্থানে শরবত তৈরী করা হচ্ছে। যা তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে কেনাবেচার। এছাড়া পাশাপাশি ডাবেরও চাহিদা বেড়েছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে চুয়াডাঙ্গা ভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ জেলাবাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে বয়স্কদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার হলেই ঝুঁকি থাকে। এ জন্য অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি, ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, বিভিন্নস্থানে পিচ গলে যাচ্ছে বলে জেনেছি। সেখানে আমরা বালু ছিটিয়ে দিচ্ছি। এতে যান চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটবে না। তবে রোদের এই তীব্রতা চলমান থাকলে যান চলাচলে সামান্য বিঘ্ন ঘটতে পারে। আমরা সব সময় তদারকি করছি যেন কোন সমস্যা না ঘটে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আগামী সোমবার থেকে তাপমাত্রা একটু কমতে পারে। এছাড়া ১৫ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে বৃষ্টির কোন আভাস নেই।