ফের দেশের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার (১১ মে) নিজের বাসভবনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষা স্টাফ প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
এই বৈঠক এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এক ‘অস্বস্তিকর শান্ত’ অবস্থা বিরাজ করছে। কেননা শনিবার যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও পাকিস্তান তা লঙ্ঘন করেছিল বলে দাবি ভারতের। যদিও এ বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগে, শনিবার প্রথমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এরপর ভারত ও পাকিস্তান যৌথভাবে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধে একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছেছে বলে জানায় নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর স্পষ্ট করে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান সবসময়ই কঠোর এবং আপসহীন ছিল, ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে। পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা চাইলেও পরে ফের আগের মতো আচরণ শুরু করে এবং তা লঙ্ঘন করে।
ভারত জানায়, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে শ্রীনগর, গুজরাট এবং রাজস্থানের বারমেরে পাকিস্তানি ড্রোন দেখা গেছে এবং সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আবারও ব্ল্যাকআউট কার্যকর করতে হয়েছে। ভারত সাফ জানিয়ে দেয় যে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং সেনাবাহিনী যথাযথ জবাব দিচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি শনিবার রাতের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই লঙ্ঘন ভারত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং পাকিস্তানকে দায়িত্বশীল আচরণ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যেকোনো ধরনের পুনরাবৃত্ত লঙ্ঘনের কঠোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পরে বলেন, তাদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এবং এই উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথে একটি নতুন সূচনা হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।