শিরোনাম :
Logo বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক Logo কচুয়ায় কহলথুড়ি ফুটবল একাডেমীর উদ্যোগে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo চুয়াডাঙ্গায় বাইসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Logo ইবিতে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ Logo জীবননগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু Logo ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ Logo ইবিতে শুরু হয়েছে গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ

ইবিতে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১ ঘন্টার মতো সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা

শুক্রবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে তিনটায় টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় শিক্ষার্থীরা সমবেত হন। পরবর্তীতে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয় মূল ফটকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় ইবি সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডলের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, নাহিদ হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ছাত্র অধিকারবিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাকারিয়া, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মোঃ সাদেক আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একশান একশান, ডাইরেক্ট একশান; খুনি লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান; চব্বিশের একশান, ডাইরেক্ট একশান; আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাই নাই; ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ; আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা; ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর; গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী; সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, “রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার মতামতের অপেক্ষায় থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও সতর্ক থাকতে হবে—যদি তারা আওয়ামীপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে শিক্ষার্থীরাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।”

ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আজকে প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের যে ম্যান্ডেট ছিল খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার, কিন্তু ইন্টেরিম এখনো তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। অনেকেই বলে যে ইন্টেরিমের বৈধতা কি, আমি তাদের বলতে চাই এই ইন্টেরিমের বৈধতা হচ্ছে আমার ১৬শ শহীদ ভাইয়ের রক্ত৷ আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে পারিনি এটা বিপ্লবীদের ব্যর্থতা। কিন্তু বিপ্লবীরা এখনো রাজপথ ছাড়েনি। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার করতে না পারলে জুলাই শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব থেকে কখনো রেহাই পাব না।”

ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া বলেন, “যারা জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করেছে আজকে আবার তাদের মাঠে নামতে হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধৈর্য ধরেছি। দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই ব্যাপারে কোনো প্রকার গড়িমসি চলবে না। সেইসাথে জুলাই বিপ্লবের সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।”

খেলাফতে ছাত্র মজলিস ইবি শাখার সভাপতি সাদেক আহমেদ বলেন, “ এমন কোনো অপরাধ নেই যা ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগ করে নাই। তাই তাদের বিচার ও নিষিদ্ধ এখন সময়ের দাবী।ছাত্ররা তাদের আন্দোলন শুরু করেছে, এর শেষ কোথায়—তা সময়ই বলে দেবে। কেউ যদি আমাদের দুর্বল ভাবে, তাহলে সেটা হবে তাদের ভুল। ঠিক যেভাবে ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জুলাই অভ্যুত্থান সফল করেছে ঠিক সেভাবেই অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আবার ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে নামবে।”

ট্যাগস :

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক

ইবিতে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

আপডেট সময় : ০৭:২১:০২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১ ঘন্টার মতো সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা

শুক্রবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে তিনটায় টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় শিক্ষার্থীরা সমবেত হন। পরবর্তীতে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয় মূল ফটকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় ইবি সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডলের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, নাহিদ হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ছাত্র অধিকারবিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাকারিয়া, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মোঃ সাদেক আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একশান একশান, ডাইরেক্ট একশান; খুনি লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান; চব্বিশের একশান, ডাইরেক্ট একশান; আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাই নাই; ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ; আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা; ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর; গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী; সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, “রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার মতামতের অপেক্ষায় থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও সতর্ক থাকতে হবে—যদি তারা আওয়ামীপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে শিক্ষার্থীরাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।”

ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আজকে প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের যে ম্যান্ডেট ছিল খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার, কিন্তু ইন্টেরিম এখনো তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। অনেকেই বলে যে ইন্টেরিমের বৈধতা কি, আমি তাদের বলতে চাই এই ইন্টেরিমের বৈধতা হচ্ছে আমার ১৬শ শহীদ ভাইয়ের রক্ত৷ আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে পারিনি এটা বিপ্লবীদের ব্যর্থতা। কিন্তু বিপ্লবীরা এখনো রাজপথ ছাড়েনি। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আওয়ামী লীগকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার করতে না পারলে জুলাই শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব থেকে কখনো রেহাই পাব না।”

ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের ছাত্র অধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া বলেন, “যারা জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করেছে আজকে আবার তাদের মাঠে নামতে হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধৈর্য ধরেছি। দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই ব্যাপারে কোনো প্রকার গড়িমসি চলবে না। সেইসাথে জুলাই বিপ্লবের সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।”

খেলাফতে ছাত্র মজলিস ইবি শাখার সভাপতি সাদেক আহমেদ বলেন, “ এমন কোনো অপরাধ নেই যা ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগ করে নাই। তাই তাদের বিচার ও নিষিদ্ধ এখন সময়ের দাবী।ছাত্ররা তাদের আন্দোলন শুরু করেছে, এর শেষ কোথায়—তা সময়ই বলে দেবে। কেউ যদি আমাদের দুর্বল ভাবে, তাহলে সেটা হবে তাদের ভুল। ঠিক যেভাবে ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জুলাই অভ্যুত্থান সফল করেছে ঠিক সেভাবেই অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আবার ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে নামবে।”