পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) অফিসে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁও এর সহকারি পরিচালক ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের তিরনইহাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ী থেকে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া পর্যন্ত ইউনি ব্লক সড়ক নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সড়কটির কাজের অগ্রগতি ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। সড়কটি নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত পরিচালিত হয়।
জানা গেছে , ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৯২ টাকা চুক্তি মূল্যে তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ী থেকে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া হাজিপাড়া পর্যন্ত ইউনি ব্লক সড়ক নির্মাণের কাজে শুরু হয় ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ। আর কাজ শেষ করার সময় রয়েছে ১২ মার্চ ২০২৫। এলজিইডির বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ রাস্তা নির্মাণ করেছে ঠিকাদার।
এসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁও’য়ের সহকারি পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন, তেঁতুলিয়া ৬ হাজার মিটারের একটি রাস্তা এলজিইডির মাধ্যমে নির্মাণাধীন। রাস্তা নির্মাণের সময় স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের বালু এবং নিম্নমানের সামগ্রী সহ ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে অভিযোগ পেয়ে আমার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি। এগুলো আমরা ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। তার উপর ভিত্তি করে অভিযোগের সত্যতা জানা যাবে। এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী খান বলেন, ঠাকুরগাঁও থেকে দুদকের টিম এসে রাস্তার নমুনা সংগ্রহ করেছে। যে অভিযোগ উঠেছে সেটা ভিত্তিহীন বলা যায়। তবে অভিযোগ প্রমাণীত হলে দায়ভার ঠিকাদারের না এলজিইডির এমন প্রশ্নে সঠিক কোন উত্তর পাওয়া যায় নি। তবে রাস্তাটি সঠিক মালামাল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ সময় অভিযান পরিচালনায় ছিলেন দুদকের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও সম্মিলিত কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আঁদুরি আক্তার, কনস্টেবল আব্দুস সামাদ, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী খান, সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আল আলামিন।