রিকশাচালক বাবার সন্তান আরাফাতের কৃতিত্ব: রাবির ‘বি’ ইউনিটে প্রথম

অভাবের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করেও হার মানেননি তিনি। বাবার রিকশা চালানোর ঘাম আর নিজের অদম্য পরিশ্রমে গড়ে তুলেছেন এক অনন্য সাফল্যের গল্প। বলছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আরাফাতুল ইসলামের কথা।

বাবা মোস্তাক আহমেদ একজন অটোরিকশা চালক। দিনরাত পরিশ্রম করে পাঁচ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ করেন তিনি। অভাব-অনটনের মধ্যেও সন্তানের স্বপ্ন পূরণে কোনো ছাড় দেননি। আর সেই স্বপ্নই বাস্তব হয়েছে ছেলে আরাফাতুলের সাফল্যে।

নিজের অনুভূতি ব্যাক্ত করে আরাফাতুল ইসলাম বলেন,“ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খুব একটা জানতাম না। পরে সেকেন্ড ইয়ারে উঠে শিক্ষক এবং ফেসবুকের বিভিন্ন নিউজ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানি। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখি এখানে পড়বো।”

নিজের প্রস্তুতির গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “নামাজ, খাওয়া আর ঘুম ছাড়া পুরো সময়টায় আমি পড়াশোনাতেই থাকতাম। এইচএসসির সময় থেকেই পাঠ্যবইগুলো ভালোভাবে পড়ে রেখেছিলাম। তাই ভর্তি পরীক্ষায় খুব একটা চাপ অনুভব করিনি।”

পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার খবরে আবেগে আপ্লুত তার বাবা মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, “আমার ছেলে অনেক কষ্ট করেছে। আমি শুধু চেয়েছি ও মানুষ হোক। ভবিষ্যতে ও আরো ভালো করবে।”

প্রতিভা আর পরিশ্রমের সামনে দারিদ্র্য কখনও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না।নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের লাখো দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছেন আরাফাতুল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি

রিকশাচালক বাবার সন্তান আরাফাতের কৃতিত্ব: রাবির ‘বি’ ইউনিটে প্রথম

আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

অভাবের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করেও হার মানেননি তিনি। বাবার রিকশা চালানোর ঘাম আর নিজের অদম্য পরিশ্রমে গড়ে তুলেছেন এক অনন্য সাফল্যের গল্প। বলছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আরাফাতুল ইসলামের কথা।

বাবা মোস্তাক আহমেদ একজন অটোরিকশা চালক। দিনরাত পরিশ্রম করে পাঁচ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ করেন তিনি। অভাব-অনটনের মধ্যেও সন্তানের স্বপ্ন পূরণে কোনো ছাড় দেননি। আর সেই স্বপ্নই বাস্তব হয়েছে ছেলে আরাফাতুলের সাফল্যে।

নিজের অনুভূতি ব্যাক্ত করে আরাফাতুল ইসলাম বলেন,“ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খুব একটা জানতাম না। পরে সেকেন্ড ইয়ারে উঠে শিক্ষক এবং ফেসবুকের বিভিন্ন নিউজ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানি। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখি এখানে পড়বো।”

নিজের প্রস্তুতির গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “নামাজ, খাওয়া আর ঘুম ছাড়া পুরো সময়টায় আমি পড়াশোনাতেই থাকতাম। এইচএসসির সময় থেকেই পাঠ্যবইগুলো ভালোভাবে পড়ে রেখেছিলাম। তাই ভর্তি পরীক্ষায় খুব একটা চাপ অনুভব করিনি।”

পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার খবরে আবেগে আপ্লুত তার বাবা মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, “আমার ছেলে অনেক কষ্ট করেছে। আমি শুধু চেয়েছি ও মানুষ হোক। ভবিষ্যতে ও আরো ভালো করবে।”

প্রতিভা আর পরিশ্রমের সামনে দারিদ্র্য কখনও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না।নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের লাখো দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছেন আরাফাতুল।