আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বোরহান আহমেদ রাকিব।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সম্মুখে আমরণ অনশনে বসেন । বোরহান আহমেদ রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে অনশনে বসার ঘোষণা দেন।

রাকিব বলেন, ” আমি কুয়েটের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আমরণ অনশনে বসছি। শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি ভিসি মাসুদের পদত্যাগ যতক্ষণ না হচ্ছে আমি অনশনে থাকবো।”

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে তারা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অনশনে বসেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

আপডেট সময় : ০৭:২৯:১২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বোরহান আহমেদ রাকিব।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সম্মুখে আমরণ অনশনে বসেন । বোরহান আহমেদ রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি গত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে অনশনে বসার ঘোষণা দেন।

রাকিব বলেন, ” আমি কুয়েটের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আমরণ অনশনে বসছি। শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি ভিসি মাসুদের পদত্যাগ যতক্ষণ না হচ্ছে আমি অনশনে থাকবো।”

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে তারা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অনশনে বসেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা।