শিরোনাম :
Logo জামালপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিএনপি নেতা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করলেন Logo অর্থের অভাবে যেন থেমে না যায় স্বপ্ন-শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল নেতা রবিউল আউয়াল Logo বাজেট বৃদ্ধি না হলে ‘লং মার্চ টু যমুনা’র হুঁশিয়ারি জবি ছাত্র-শিক্ষকদের Logo সেভেন সিস্টার্সসহ নেপাল-ভুটানের সঙ্গে যৌথ উন্নয়ন কৌশলের আহ্বান Logo নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে জরুরি বৈঠকে ইসি Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo ববি উপাচার্যকে মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে পদত্যাগ করতে আলটিমেটাম Logo চিকিৎসাখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন, বললেন প্রধান উপদেষ্টা Logo জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার প্রতিবাদে সমবেত কন্ঠে গাইলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

দখল নিতে চায়ের দোকানে তালা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭২২ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চায়ের দোকানে চার দিন তালা দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখা ওই নেতার নাম হাসান সজীব। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ওই দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে চালাতেন গোবিন্দ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। চার বছর আগে বাংলা বিভাগের এক কর্মচারী থেকে নিয়ে এই দোকানটি চালানো শুরু করেন তিনি। তবে তিন মাস আগে দোকানটির কর্মচারী চলে যাওয়ার পর দোকানে তালা দেন সজীব। এখন থেকে এই দোকান তিনি চালাবেন এবং দোকানী গোবিন্দকে দোকানে আর না আসতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে দোকানী গোবিন্দ বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে কাজ করি। পাশাপাশি আয়ের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে দোকানটি চালাই। এরপর সজীব দোকানে তালা দিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আমি শনিবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে দোকানে বসলে সজীব আমাকে ফোন দিয়ে ক্যাম্পাসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করতে বলে।

গোবিন্দ আরো বলেন, আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএসসির আরেক চায়ের দোকানী বলেন, সজীব দোকানটিতে তালা দিয়ে রেখেছিল। সে নিজেই দোকান চালাবে। গোবিন্দকে আর দোজান চালাতে দেবে না। আমাদের সামনেই তালা দিয়েছে দোকানে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান সজীব বলেন, দোকানটা আগে যে চালাতো রনি ভাই। সে আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে গিয়েছে। তাকেই আমি এতদিন দোকান চালাতে দেখেছি। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি টিএসসির একটি দোকানের মালিকানা দাবি করতে পারে? সে ৫ আগষ্টের পর টিএসসির দোকান থেকে টাকা নিয়েছে। এই কাজ কি সে করতে পারে?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ

দখল নিতে চায়ের দোকানে তালা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চায়ের দোকানে চার দিন তালা দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখা ওই নেতার নাম হাসান সজীব। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ওই দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে চালাতেন গোবিন্দ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। চার বছর আগে বাংলা বিভাগের এক কর্মচারী থেকে নিয়ে এই দোকানটি চালানো শুরু করেন তিনি। তবে তিন মাস আগে দোকানটির কর্মচারী চলে যাওয়ার পর দোকানে তালা দেন সজীব। এখন থেকে এই দোকান তিনি চালাবেন এবং দোকানী গোবিন্দকে দোকানে আর না আসতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে দোকানী গোবিন্দ বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে কাজ করি। পাশাপাশি আয়ের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে দোকানটি চালাই। এরপর সজীব দোকানে তালা দিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আমি শনিবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে দোকানে বসলে সজীব আমাকে ফোন দিয়ে ক্যাম্পাসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করতে বলে।

গোবিন্দ আরো বলেন, আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএসসির আরেক চায়ের দোকানী বলেন, সজীব দোকানটিতে তালা দিয়ে রেখেছিল। সে নিজেই দোকান চালাবে। গোবিন্দকে আর দোজান চালাতে দেবে না। আমাদের সামনেই তালা দিয়েছে দোকানে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান সজীব বলেন, দোকানটা আগে যে চালাতো রনি ভাই। সে আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে গিয়েছে। তাকেই আমি এতদিন দোকান চালাতে দেখেছি। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি টিএসসির একটি দোকানের মালিকানা দাবি করতে পারে? সে ৫ আগষ্টের পর টিএসসির দোকান থেকে টাকা নিয়েছে। এই কাজ কি সে করতে পারে?