শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

দখল নিতে চায়ের দোকানে তালা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চায়ের দোকানে চার দিন তালা দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখা ওই নেতার নাম হাসান সজীব। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ওই দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে চালাতেন গোবিন্দ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। চার বছর আগে বাংলা বিভাগের এক কর্মচারী থেকে নিয়ে এই দোকানটি চালানো শুরু করেন তিনি। তবে তিন মাস আগে দোকানটির কর্মচারী চলে যাওয়ার পর দোকানে তালা দেন সজীব। এখন থেকে এই দোকান তিনি চালাবেন এবং দোকানী গোবিন্দকে দোকানে আর না আসতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে দোকানী গোবিন্দ বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে কাজ করি। পাশাপাশি আয়ের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে দোকানটি চালাই। এরপর সজীব দোকানে তালা দিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আমি শনিবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে দোকানে বসলে সজীব আমাকে ফোন দিয়ে ক্যাম্পাসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করতে বলে।

গোবিন্দ আরো বলেন, আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএসসির আরেক চায়ের দোকানী বলেন, সজীব দোকানটিতে তালা দিয়ে রেখেছিল। সে নিজেই দোকান চালাবে। গোবিন্দকে আর দোজান চালাতে দেবে না। আমাদের সামনেই তালা দিয়েছে দোকানে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান সজীব বলেন, দোকানটা আগে যে চালাতো রনি ভাই। সে আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে গিয়েছে। তাকেই আমি এতদিন দোকান চালাতে দেখেছি। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি টিএসসির একটি দোকানের মালিকানা দাবি করতে পারে? সে ৫ আগষ্টের পর টিএসসির দোকান থেকে টাকা নিয়েছে। এই কাজ কি সে করতে পারে?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

দখল নিতে চায়ের দোকানে তালা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির একটি চায়ের দোকানে চার দিন তালা দিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। তালা দিয়ে দোকান বন্ধ করে রাখা ওই নেতার নাম হাসান সজীব। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ওই দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে চালাতেন গোবিন্দ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। চার বছর আগে বাংলা বিভাগের এক কর্মচারী থেকে নিয়ে এই দোকানটি চালানো শুরু করেন তিনি। তবে তিন মাস আগে দোকানটির কর্মচারী চলে যাওয়ার পর দোকানে তালা দেন সজীব। এখন থেকে এই দোকান তিনি চালাবেন এবং দোকানী গোবিন্দকে দোকানে আর না আসতে বলেন তিনি।

এ বিষয়ে দোকানী গোবিন্দ বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ডেইলি বেসিসে কাজ করি। পাশাপাশি আয়ের লক্ষ্যে গত চার বছর ধরে দোকানটি চালাই। এরপর সজীব দোকানে তালা দিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আমি শনিবার রাতে দোকানের তালা ভেঙে দোকানে বসলে সজীব আমাকে ফোন দিয়ে ক্যাম্পাসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেখা করতে বলে।

গোবিন্দ আরো বলেন, আমার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে। একজন এবার এসএসসি দিচ্ছে। দোকান থেকে যে টাকাটা পেতাম তা দিয়ে বাচ্চা দুটোর পড়াশোনা চলত। এটাও যদি না থাকে তাহলে আমি কিভাবে চলব?

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিএসসির আরেক চায়ের দোকানী বলেন, সজীব দোকানটিতে তালা দিয়ে রেখেছিল। সে নিজেই দোকান চালাবে। গোবিন্দকে আর দোজান চালাতে দেবে না। আমাদের সামনেই তালা দিয়েছে দোকানে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান সজীব বলেন, দোকানটা আগে যে চালাতো রনি ভাই। সে আমাকে দোকানের চাবি দিয়ে গিয়েছে। তাকেই আমি এতদিন দোকান চালাতে দেখেছি। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি টিএসসির একটি দোকানের মালিকানা দাবি করতে পারে? সে ৫ আগষ্টের পর টিএসসির দোকান থেকে টাকা নিয়েছে। এই কাজ কি সে করতে পারে?