রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায়
চিকিৎসা সেবা, সুপেয় পানি প্রদান, হেল্প ডেস্ক স্থাপন, বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে অতিদ্রুত পরীক্ষার্থীদেরকে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, অবিভাবকদের সময় কাটাতে পত্রিকা ও বই বিলিসহ নানাবিধ সেবার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু-অবিভাবকদের মন জয় করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আয়োজনে ১৩টি হেল্প ডেক্স বসেছে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। তারমধ্য তিনটি বুথে স্পেশালিষ্ট ডাক্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী-অবিভাবকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। বাকি বুথগুলোতে ভর্তিচ্ছু-অভিভাবকদের জন্য সুপেয় পানি, জুস, খাম, কলম, ফুল ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়।
অন্যদিকে ফ্রি বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দেয় নেতাকর্মীরা। এ বাইক সার্ভিসের ফলে বিশেষ সহযোগিতার মাধ্যমে স্বপ্ন জিয়িয়ে রাখা সুযোগ পেয়েছেন অনেক ভর্তিচ্ছু। অ্যাডমিট কার্ড হারিয়ে ফেলা, শেষ সময়ে ক্যাম্পাসে এসে কেন্দ্র খুজে না পাওয়া, অপরিচিত জায়গায় কোনো কিছু চিন্তে না পেরে হতাশায় থাকা, অ্যাডমিট কার্ড আনতে ভুলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায় ছাত্রদল।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু সাঈদ ও কর্মী রেদোয়ান ইসলাম রিদয়ের নজরে আসে অ্যাডমিট কার্ড সাথে আনতে ভুলে যাওয়া মিতু নামের এক শিক্ষার্থী। তৎক্ষনাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দোকান বন্ধ থাকায় মন্ডলের মোড় নামক স্থান থেকে অ্যাডমিট কার্ড তুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে পোঁছে দেন তারা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কিছুটা হলেও বেঁচে যায় ওই শিক্ষার্থীর।
অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. তোফিক আলমের অনুরোধে ভুলক্রমে পুরাতন অ্যাডমিন কার্ড নিয়ে আসা আরেকজন ভর্তিচ্ছুর পাশে দাঁড়ায় ছাত্রদল। জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্রফোরামের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শাখা ছাত্রদল কর্মী শরিফ মাহমুদের সহযোগিতায় মো. সোয়াইব ইসলাম নামক ওই শিক্ষার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড তুলে পৌঁছে দেওয়া হয় কেন্দ্রে।
অন্যদিকে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম মাহমুদুল হাসান মিঠু’র ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যােগ বেশ নজর কাড়ে অভিভাবকদের। বিশ্রাম ও সময় কাটানোর জন্য বুথে পত্রিকা ও বুক কর্নার স্থাপন করেন মিঠু। সেখানে তারেক রহমান সম্পাদিত দৈনিক দিনকাল, প্রথম আলো, যুগান্তরসহ বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় পত্রিকা সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া বুক কর্নারে আমার রাজনীতির রূপরেখা, উপন্যাস কমল, রাষ্ট্রনায়ক জিয়া ইত্যাদি বইগুলো রাখা হয়।
বই পড়তে থাকা নাটোরবাসী এক অবিভাবক জানান, ছাত্রদলের এই ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ আমাদের মুগ্ধ করেছে। বুথ থেকে পত্রিকা নিয়েছি। পত্রিকা পড়তে পড়তে খুব দ্রুত সময় কেটে যাচ্ছে৷ আরো অনেক অভিভাবক বই নিয়ে পড়ছেন। আশাকরি এই ধরনের রাজনীতিই ছাত্রদল করবে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, চিকিৎসা সেবা, সুপেয় পানি প্রদান, হেল্প ডেস্ক স্থাপন, বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে অতিদ্রুত পরীক্ষার্থীদেরকে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, অবিভাবকদের সময় কাটাতে পত্রিকা ও বই বিলিসহ নানাবিধ সেবা দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি আমরা। আগামী পরীক্ষাগুলোতেও আমাদের এসকল সেবা চালু থাকবে।