শিরোনাম :
Logo শেরপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহ্ কামাল উদ্দীনের পিআরএল গমনে বিদায় সংবর্ধনা Logo বোতল কান্ডে আটক জবি শিক্ষার্থী, ডিবি অফিস ঘেরাও এর হুঁশিয়ারী  Logo নামাজ শেষে জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু Logo ভুল হলে শিক্ষা নিয়ে এগুতে চাই, বললেন মাহফুজ আলম Logo আগামীকাল জুম্মার পর জবি শিক্ষার্থীদের গন অনশন Logo সাম্য হত্যায় বৈবিছাআ নেতারা চুপ কেন প্রশ্ন ইবি ছাত্রদলের Logo ইবিতে তারুণ্যের তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে,জগন্নাথে হল দে’ রাজপথে লিখল শিক্ষার্থীরা Logo শেরপুরের উন্নয়ন দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন ১৫ মে

৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় বৈঠক আজ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:৫০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে
দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

সংস্থাটির গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী আজ রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।

এরপর আগামী ১৭ এপ্রিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করবে।

এবারের বৈঠকে আইএমএফ কর্মকর্তারা অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মূল্যায়ন করা হবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আইএমএফের শর্ত পূরণের বিষয়টি।

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আইএমএফের নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো পর্যালোচনা করবে সফররত প্রতিনিধিদলটি।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তি করে। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ।

মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেলেও এখনো বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার। যার চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় আর জুড়ে দেওয়া শর্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

আগামী জুনেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়ার আশা করছে সরকার। আর এ জন্য আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে হবে, যেটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহ্ কামাল উদ্দীনের পিআরএল গমনে বিদায় সংবর্ধনা

৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় বৈঠক আজ

আপডেট সময় : ১০:০৮:৫০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

সংস্থাটির গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী আজ রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।

এরপর আগামী ১৭ এপ্রিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করবে।

এবারের বৈঠকে আইএমএফ কর্মকর্তারা অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মূল্যায়ন করা হবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আইএমএফের শর্ত পূরণের বিষয়টি।

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আইএমএফের নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো পর্যালোচনা করবে সফররত প্রতিনিধিদলটি।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তি করে। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ।

মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেলেও এখনো বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার। যার চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় আর জুড়ে দেওয়া শর্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

আগামী জুনেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়ার আশা করছে সরকার। আর এ জন্য আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে হবে, যেটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।