শিরোনাম :

হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন নারিশা এলাকায় ইমান আলী ফকির হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রুবেল, মোশারফ হোসেন ওরফে মোশা, আরিফুল ইসলাম ওরফে নয়ন, জহির, মহিউদ্দিন ওরফে মহিন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জহির আদালতে হাজির ছিলেন। অপর চার আসামি পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৪ মার্চ সকালে ইমান আলী দোহার থানাধীন হলের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুতারপাড়া হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছালে আসামিরা তার মাথায় আঘাতের চেষ্টা করে। তিনি মাথা নিচু করলে আঘাত পিঠে লেগে মারাত্মক জখম হয়। এরপর আসামিরা ইমান আলীকে হকিস্টিক, লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে তাকে আশঙ্কাজনকভাবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে ওইদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. মুকসিদুল দোহার থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরের বছর ১২ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকার্য চলাকালে আদালত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন !

আপডেট সময় : ০৬:০২:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন নারিশা এলাকায় ইমান আলী ফকির হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রুবেল, মোশারফ হোসেন ওরফে মোশা, আরিফুল ইসলাম ওরফে নয়ন, জহির, মহিউদ্দিন ওরফে মহিন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জহির আদালতে হাজির ছিলেন। অপর চার আসামি পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৪ মার্চ সকালে ইমান আলী দোহার থানাধীন হলের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুতারপাড়া হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছালে আসামিরা তার মাথায় আঘাতের চেষ্টা করে। তিনি মাথা নিচু করলে আঘাত পিঠে লেগে মারাত্মক জখম হয়। এরপর আসামিরা ইমান আলীকে হকিস্টিক, লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে তাকে আশঙ্কাজনকভাবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে ওইদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. মুকসিদুল দোহার থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরের বছর ১২ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকার্য চলাকালে আদালত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।