শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

চুল প্রতিস্থাপনের সুবিধা এবং যারা করতে পারবেন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:০৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে
চুল পড়া বা টাকের একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন। দেহের অন্যান্য অঙ্গের (যেমন কিডনি, চোখ) মতো চুলও প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে মাথার এক অংশ থেকে চুল নিয়ে অন্য অংশে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

মাথার সামনের অংশকে বলা হয় টেম্পোরারি জোন। এ অংশের চুল স্থায়ী নয়। বয়সের সঙ্গে, বংশগত বা হরমোনের কারণে অথবা কোনো শারীরিক জটিলতায় এ চুল ঝরে যায়। মাথার পেছন দিকে ও কানের দুই পাশের অংশকে বলে পার্মানেন্ট জোন। এই অংশের চুল স্থায়ী। পার্মানেন্ট জোনের যেখান থেকে চুল বা ফলিকল তুলে আনা হয়, তাকে বলা হয় ‘ডোনার এরিয়া’।

চুল প্রতিস্থাপন করার পদ্ধতি : চুল প্রতিস্থাপন একটি সূক্ষ্ম সার্জারি। এর তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। যথা-

১. এফইউটি (ফলিকিউলার ইউনিট ট্রান্সপ্যান্টেশন)
২. এফইউই (ফলিকিউলার ইউনিট এক্সট্র্যাকশন)
৩. ডিএইচআই (ডাইরেন্ট হেয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন)

যেভাবে চুল প্রতিস্থাপন করা হয় :

এফইউটি : এফইউটি পদ্ধতিতে মাথার পেছন থেকে চওড়ায় প্রায় আধা ইঞ্চি পরিমাণ চামড়া কেটে তুলে আনা হয়। সেখান থেকে ফলিকল কেটে বের করে লাগানো হয় মাথার সামনের অংশে। এ পদ্ধতি তুলনামূলক জটিল।

এফইউই : এফইউই পদ্ধতিতে একটি মাইক্রোমটর দিয়ে ডোনার এরিয়া থেকে প্রতিটি চুলকে আলাদা করে তুলে আনা হয়। পরে সামনের অংশে আবার লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন পড়ে না।

ডিএইচআই : ডিএইচআই চুল প্রতিস্থাপনের সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে হ্যান্ড পাঞ্চ ব্যবহার করে প্রতিটি চুল হাত দিয়ে তোলা হয়। এতে জটিলতা কম।

যারা চুল প্রতিস্থাপন করাতে পারবেন :

১. বয়স ২৫-৩০ না হতেই বংশগত বা হরমোনের কারণে যারা চুল পড়া সমস্যায় পড়ে যান।

২. মেনোপজের পর নারীদের মধ্যে যাদের মাথার চুল পড়ে যায়।

৩. দুর্ঘটনার কারণে যারা চুল হারিয়ে ফেলেন। অর্থাৎ সেসব ক্ষেত্রে নতুন করে চুল গজানো প্রায় অসম্ভব।

চুল প্রতিস্থাপনের সুবিধা :

১. প্রতিস্থাপিত চুল কিছুদিন পর ঝরে গিয়ে আবার গজাতে শুরু করে। চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই চুল গজানো শুরু হয়। সে হিসাবে আপনি এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চুল প্রতিস্থাপনের সুবিধাগুলো পেতে শুরু করবেন।

২. চুল প্রতিস্থাপনের পর বিশেষ কোনো যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি ফলোআপেরও তেমন দরকার নেই।

৩. প্রতিস্থাপিত চুল কেটে ছোট করা, রিবন্ডিং বা কার্ল করতেও কোনো সমস্যা হয় না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

চুল প্রতিস্থাপনের সুবিধা এবং যারা করতে পারবেন

আপডেট সময় : ০৮:২২:০৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
চুল পড়া বা টাকের একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন। দেহের অন্যান্য অঙ্গের (যেমন কিডনি, চোখ) মতো চুলও প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে মাথার এক অংশ থেকে চুল নিয়ে অন্য অংশে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

মাথার সামনের অংশকে বলা হয় টেম্পোরারি জোন। এ অংশের চুল স্থায়ী নয়। বয়সের সঙ্গে, বংশগত বা হরমোনের কারণে অথবা কোনো শারীরিক জটিলতায় এ চুল ঝরে যায়। মাথার পেছন দিকে ও কানের দুই পাশের অংশকে বলে পার্মানেন্ট জোন। এই অংশের চুল স্থায়ী। পার্মানেন্ট জোনের যেখান থেকে চুল বা ফলিকল তুলে আনা হয়, তাকে বলা হয় ‘ডোনার এরিয়া’।

চুল প্রতিস্থাপন করার পদ্ধতি : চুল প্রতিস্থাপন একটি সূক্ষ্ম সার্জারি। এর তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। যথা-

১. এফইউটি (ফলিকিউলার ইউনিট ট্রান্সপ্যান্টেশন)
২. এফইউই (ফলিকিউলার ইউনিট এক্সট্র্যাকশন)
৩. ডিএইচআই (ডাইরেন্ট হেয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন)

যেভাবে চুল প্রতিস্থাপন করা হয় :

এফইউটি : এফইউটি পদ্ধতিতে মাথার পেছন থেকে চওড়ায় প্রায় আধা ইঞ্চি পরিমাণ চামড়া কেটে তুলে আনা হয়। সেখান থেকে ফলিকল কেটে বের করে লাগানো হয় মাথার সামনের অংশে। এ পদ্ধতি তুলনামূলক জটিল।

এফইউই : এফইউই পদ্ধতিতে একটি মাইক্রোমটর দিয়ে ডোনার এরিয়া থেকে প্রতিটি চুলকে আলাদা করে তুলে আনা হয়। পরে সামনের অংশে আবার লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন পড়ে না।

ডিএইচআই : ডিএইচআই চুল প্রতিস্থাপনের সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে হ্যান্ড পাঞ্চ ব্যবহার করে প্রতিটি চুল হাত দিয়ে তোলা হয়। এতে জটিলতা কম।

যারা চুল প্রতিস্থাপন করাতে পারবেন :

১. বয়স ২৫-৩০ না হতেই বংশগত বা হরমোনের কারণে যারা চুল পড়া সমস্যায় পড়ে যান।

২. মেনোপজের পর নারীদের মধ্যে যাদের মাথার চুল পড়ে যায়।

৩. দুর্ঘটনার কারণে যারা চুল হারিয়ে ফেলেন। অর্থাৎ সেসব ক্ষেত্রে নতুন করে চুল গজানো প্রায় অসম্ভব।

চুল প্রতিস্থাপনের সুবিধা :

১. প্রতিস্থাপিত চুল কিছুদিন পর ঝরে গিয়ে আবার গজাতে শুরু করে। চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে এই চুল গজানো শুরু হয়। সে হিসাবে আপনি এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চুল প্রতিস্থাপনের সুবিধাগুলো পেতে শুরু করবেন।

২. চুল প্রতিস্থাপনের পর বিশেষ কোনো যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি ফলোআপেরও তেমন দরকার নেই।

৩. প্রতিস্থাপিত চুল কেটে ছোট করা, রিবন্ডিং বা কার্ল করতেও কোনো সমস্যা হয় না।