জিহ্বা দেখেই বুঝে নিন শরীরে কোন রোগ বাসা বেঁধেছে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ৭১৩ বার পড়া হয়েছে
জিভ ছাড়া কোনো কিছুর স্বাদ গ্রহণ করা অসম্ভব। জিভ না থাকলে স্বাদ কী জিনিস তা আমরা বুঝতেই পারতাম না। কেবল স্বাদ গ্রহণের জন্যই নয়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জিভ দেখেই বলে দেওয়া যাবে শরীরে কী কী রোগ বাসা বাঁধছে।

তারা বলছেন, সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মুখে। মুখের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া বাস করে জিভে। তাই, সুস্থ থাকতে নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণত স্বাস্থ্যকর জিহ্বার রং হালকা গোলাপি হয়। আপনার জিহ্বার রংও যদি হালকা গোলাপি হয় ও উপরে পাতলা সাদা একটি আস্তরণ থাকে, তাহলে তা স্বাভাবিক।

* পনিরের মতো জিভের মধ্যে সাদা স্তর পড়লে, তা লিউকোপ্লাকিয়ার মতো রোগের লক্ষণ হতে পারে। যার অন্যতম কারণ হলো ধূমপান। এছাড়া সাদা জিহ্বা ফ্লু’র ইঙ্গিতও দেয়।

* যদি আপনার জিভের রং কালো হয় এবং তাতে সাদা দাগ থাকে, তাহলে এটি আপনার পাচনতন্ত্রের বেহাল দশাকেই নির্দেশ করে।
* ফ্যাকাশেরঙা জিহ্বা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি নির্দেশ করে। যা ডায়েট পরিবর্তন করে সহজেই সমাধান করা যায়।
* হলুদ জিভ হজমের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া আপনার লিভার বা পেটের সমস্যা থাকলেও জিহ্বার রং হলদেটে দেখাতে পারে।
* বাদামিরঙা জিহ্বার কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ক্যাফেইন সেবন করা। এছাড়া ধূমপান করলেও জিহ্বা বাদামি রঙের হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী * ধূমপায়ীদের জিহ্বায় স্থায়ীভাবে বাদামি আস্তরণ থাকতে পারে। এমনকি কালোও হয়ে যেতে পারে।
* জিহ্বায় যদি ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ ঘটে তাহলে তা কালো ও লোমশ প্রকৃতির হতে পারে।
* অন্যদিকে যাদের জিহ্বার রং লাল, বুঝতে হবে তাদের শরীরে ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি-১২ এর অভাব আছে। আপনার জিহ্বা অস্বাভাবিকভাবে লাল হতে পারে। আপনি যদি খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করেন, তাহলে জিহ্বায় মানচিত্রের মতো প্যাটার্নে লালচে দাগগুলো দেখতে পাবেন। একে জিওগ্রাফিক টাং বা ভৌগোলিক জিহ্বা বলা হয়।

* যদি জিভ খুব নরম হয়, তাহলে তা শরীরে আয়রনের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। এমনকি রক্তাল্পতার শিকার হতে পারেন আপনি। আবার ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও জিভের হাল খারাপ হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন জাতীয় খাবার দাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন।

* খেয়াল করে দেখবেন অনেকের জিভে ফাটল থাকে। এটি কিন্তু মোটে ভালো লক্ষণ নয়। কিডনি রোগ ও ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে এই উপসর্গ দেখা যায়। এমন কিছু দেখলে একে অবহেলা করবেন না।

* অনেকেই হয়তো ভাববেন, জিহ্বার রং আবার নীল হয় নাকি! আসলে নীল ও বেগুনিরঙা জিহ্বা হৃদপিণ্ডের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। হয়তো আপনার হার্ট রক্ত সঠিকভাবে পাম্প করছে না বা আপনার রক্তে অক্সিজেনের অভাব রয়েছে।

বি.দ্রঃ জিহ্বার রং নীলচে হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান। এর পাশাপাশি জিহ্বা, দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ব্রিাশ করুন। যাতে মুখে কোনো ব্যাকটেরিয়া না থাকে। জিহ্বা পরিষ্কার করতে প্রতিদিন জিহ্বার স্ক্র্যাপার ব্যবহার করুন।

দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া, যা জিভে বাস করে। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখলে দাঁত ও মাড়ির ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াসমূহ মুখে বাসা বাঁধতে পারে না। তাই মুখের স্বাস্থ্যবিধির জন্য জিভ পরিষ্কার করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জিহ্বা দেখেই বুঝে নিন শরীরে কোন রোগ বাসা বেঁধেছে

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
জিভ ছাড়া কোনো কিছুর স্বাদ গ্রহণ করা অসম্ভব। জিভ না থাকলে স্বাদ কী জিনিস তা আমরা বুঝতেই পারতাম না। কেবল স্বাদ গ্রহণের জন্যই নয়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জিভ দেখেই বলে দেওয়া যাবে শরীরে কী কী রোগ বাসা বাঁধছে।

তারা বলছেন, সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মুখে। মুখের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া বাস করে জিভে। তাই, সুস্থ থাকতে নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণত স্বাস্থ্যকর জিহ্বার রং হালকা গোলাপি হয়। আপনার জিহ্বার রংও যদি হালকা গোলাপি হয় ও উপরে পাতলা সাদা একটি আস্তরণ থাকে, তাহলে তা স্বাভাবিক।

* পনিরের মতো জিভের মধ্যে সাদা স্তর পড়লে, তা লিউকোপ্লাকিয়ার মতো রোগের লক্ষণ হতে পারে। যার অন্যতম কারণ হলো ধূমপান। এছাড়া সাদা জিহ্বা ফ্লু’র ইঙ্গিতও দেয়।

* যদি আপনার জিভের রং কালো হয় এবং তাতে সাদা দাগ থাকে, তাহলে এটি আপনার পাচনতন্ত্রের বেহাল দশাকেই নির্দেশ করে।
* ফ্যাকাশেরঙা জিহ্বা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি নির্দেশ করে। যা ডায়েট পরিবর্তন করে সহজেই সমাধান করা যায়।
* হলুদ জিভ হজমের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া আপনার লিভার বা পেটের সমস্যা থাকলেও জিহ্বার রং হলদেটে দেখাতে পারে।
* বাদামিরঙা জিহ্বার কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ক্যাফেইন সেবন করা। এছাড়া ধূমপান করলেও জিহ্বা বাদামি রঙের হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী * ধূমপায়ীদের জিহ্বায় স্থায়ীভাবে বাদামি আস্তরণ থাকতে পারে। এমনকি কালোও হয়ে যেতে পারে।
* জিহ্বায় যদি ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ ঘটে তাহলে তা কালো ও লোমশ প্রকৃতির হতে পারে।
* অন্যদিকে যাদের জিহ্বার রং লাল, বুঝতে হবে তাদের শরীরে ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি-১২ এর অভাব আছে। আপনার জিহ্বা অস্বাভাবিকভাবে লাল হতে পারে। আপনি যদি খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করেন, তাহলে জিহ্বায় মানচিত্রের মতো প্যাটার্নে লালচে দাগগুলো দেখতে পাবেন। একে জিওগ্রাফিক টাং বা ভৌগোলিক জিহ্বা বলা হয়।

* যদি জিভ খুব নরম হয়, তাহলে তা শরীরে আয়রনের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। এমনকি রক্তাল্পতার শিকার হতে পারেন আপনি। আবার ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও জিভের হাল খারাপ হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন জাতীয় খাবার দাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন।

* খেয়াল করে দেখবেন অনেকের জিভে ফাটল থাকে। এটি কিন্তু মোটে ভালো লক্ষণ নয়। কিডনি রোগ ও ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে এই উপসর্গ দেখা যায়। এমন কিছু দেখলে একে অবহেলা করবেন না।

* অনেকেই হয়তো ভাববেন, জিহ্বার রং আবার নীল হয় নাকি! আসলে নীল ও বেগুনিরঙা জিহ্বা হৃদপিণ্ডের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। হয়তো আপনার হার্ট রক্ত সঠিকভাবে পাম্প করছে না বা আপনার রক্তে অক্সিজেনের অভাব রয়েছে।

বি.দ্রঃ জিহ্বার রং নীলচে হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান। এর পাশাপাশি জিহ্বা, দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ব্রিাশ করুন। যাতে মুখে কোনো ব্যাকটেরিয়া না থাকে। জিহ্বা পরিষ্কার করতে প্রতিদিন জিহ্বার স্ক্র্যাপার ব্যবহার করুন।

দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া, যা জিভে বাস করে। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার রাখলে দাঁত ও মাড়ির ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াসমূহ মুখে বাসা বাঁধতে পারে না। তাই মুখের স্বাস্থ্যবিধির জন্য জিভ পরিষ্কার করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।