- মেহেদী হাসান শোয়েব
বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে চর্চিত শব্দ ‘সংস্কার’। অবশ্য আগেও বিভিন্ন সময়ে সংস্কারের আলাপ কম হয়নি। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে টেলিভিশনের টক শো—সংস্কারের আলাপ এখন সব জায়গায়। আমরাও তাই আজকে সংস্কারের আলাপই করতে পারি।
চায়ের দোকানের আড্ডায় না গিয়ে আমরা বরং কিছু নির্বাচিত মানুষের কথাই শুনি। সেজন্য একটি টক শো আয়োজন করা যাক তাহলে। টিভি পর্দায় আমাদের দেখা বেশিরভাগ টক শো যদিও উত্তেজনায় ঠাসা থাকে। কেউ কারো কথা শুনতে চায় না সেখানে। কেবলই নিজে বলতে চান এবং নিজের কথাই ধ্রুব হিসেবে সবার ওপর চাপিয়ে দিতে চান। উত্তেজনার মাত্রা কখনো হাতাহাতি পর্যায়েও পৌঁছে যায়। আমাদের আজকের টক শো তেমন হবে না। বরং সবাই নিজের কথা বলবেন এবং অন্যদের কথাও শুনবেন এখানে।
ধরা যাক আমাদের চ্যানেলের নাম ‘সংলাপ টেলিভিশন’। সেখানে আজকে অনুষ্ঠিত হবে এক বিশেষ টক শো। এই শোয়ের নাম দেওয়া যাক—‘সংস্কারের বাতাস’। আলোচনা হবে সংবিধান সংস্কার, সামাজিক পরিবর্তন এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
ঝলমলে আলোয় সজ্জিত স্টুডিও। ক্যামেরার চোখগুলো সেটের দিকে স্বচ্ছ আলো ফেলেছে। সেটে বসে আছেন দেশের খ্যাতিমান রাজনীতি বিশ্লেষক, আইন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকারকর্মী এবং সংস্কৃতিকর্মী।
অনুষ্ঠানের যেহেতু একটা নাম দেওয়া হল, তাহলে সঞ্চালকেরও তো নাম থাকা চাই। ধরা যাক, সংস্কারের বাতাসের সঞ্চালকের নাম মোহাম্মদ নেসার। তিনি তার পরিচিত হাস্যোজ্জ্বল স্টাইলে বললেন, প্রিয় দর্শক, আজকের আলোচনায় আমরা বুঝতে চেষ্টা করবো বাংলাদেশে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াগুলি গণতন্ত্রের জন্য আলোর দিশা দেখাবে, না কি অতীতের মতোই কিছু সময় ব্যয় হবে আর জনগণ আবারও একরকম প্রতারণার শিকার হবে? এরপর তিনি একে একে সেটে বসা অতিথিদের কথা বলার সুযোগ দেবেন।
অনুষ্ঠানের নাম আছে, সঞ্চালকেরও নাম দেওয়া হলো। তাহলে অতিথিদের নাম থাকতেই হবে। এই নামগুলো বরং সঞ্চালক নেসার যখন একে একে তাদেরকে কথা বলার সুযোগ দেবেন, তখনই জেনে যাবো আমরা।
নেসার এবার আলোচনা পর্ব শুরু করবেন। তিনি বলবেন, দর্শক চলুন আমরা চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথমেই আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফারহানের মতামত শুনে আসি।
নেসারকে ধন্যবাদ দিয়ে অধ্যাপক ফারহান বক্তব্য শুরু করলেন। তিনি বললেন, সংবিধান কেবল একটি বই বা কতগুলি আইনকানুন লেখা কাগজপত্র নয়। বরং এটি একটা দেশের আদর্শিক ভিত্তি। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন, অধিকারের দলিল হল সংবিধান। একে যদি আমরা শুধু আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি, তাহলে অনেক কিছুই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আজকে যখন আমরা সংবিধান সংস্কারের কথা বলছি, তখন আসলে আমরা শুধু একটি নীতির পরিবর্তন চাই না, আমরা চাই একটি নতুন চিন্তাভাবনার মাধ্যমে এগিয়ে যাবার দিকনির্দেশনা। তবে এক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশের জন্ম-স্বপ্নকে ভুল গেলে চলবে না। বরং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা যেন কোনোভাবেই বিতর্কের মুখে না পড়ে, সেটা বিবেচনায় নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—আজকের সংস্কারের প্রস্তাব যে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি থেকে বেরিয়ে বহুত্ববাদে চলে যাচ্ছে, সেটা সমাজের ভিতরে কী ধরনের স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে? ধর্মনিরপেক্ষতার মাধ্যমে দেশের জনগণের মধ্যে একতা স্থাপনের চাওয়া, সাম্প্রদায়িক সহাবস্থানের চাওয়া স্পষ্ট ছিল। বাস্তবায়নে কখনো ঘাটতি থকলেও এই চাওয়াটা মোটামুটি স্পষ্টই ছিল। এখন বহুত্ববাদের যে কথা বলা হচ্ছে, তাতেও হয়ত সকল জাতি ধর্ম বর্ণ একসাথে থাকার বিষয়টিই রয়েছে। তবে আঞ্চলিক এবং জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতিগোষ্ঠীর পাশাপাশি ধর্মীয় পরিচয়ে সহাবস্থানের নিশ্চয়তার জন্য ধর্ম নিরপেক্ষতা থাকাটাও জরুরি বলে আমি মনে করি।
অধ্যাপক ফারহান যোগ করেন, সংবিধানসহ সবরকম সংস্কারে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, বাস্তবায়ন করা। কেবল কতগুলো শব্দের পরিবর্তন করে যদি সেসব কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে তা সমাজের বিভাজন আরও বাড়িয়ে দেবে। তাই, যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সত্যিকার আশায় আমাদের এগোতে হয়, তাহলে সংস্কারগুলোর মধ্যে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে সংহতি সৃষ্টি করতে হবে।
সঞ্চালক নেসার এবার ফারহানকে থামান। তিনি বলেন, আপনার বক্তব্য একদম স্পষ্ট। আমরা এবার একটু রাজনীতি বিশ্লেষক গবেষক আতাউরের কাছে যাবো। জনাব আতাউর রহমানের কাছে আমরা জানতে চাই, এই যে সংস্কার নিয়ে সরকার কাজ করছে, এর ফলে দেশে গণতন্ত্র সুসংহত হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি?
আতাউর রহমান বলেন, শুধু সংবিধান বা কতগুলো প্রতিষ্ঠানের সংশোধন নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক কাঠামোর মূল স্তম্ভগুলোকে নতুনভাবে গড়ে তোলা জরুরি। তারই একটা চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে আমি মনে করছি। আমরা যদি সত্যিই গণতন্ত্রের শক্তি ফিরিয়ে আনতে চাই, তবে সরকারের কাঠামোতে এমন পরিবর্তন আনতে হবে, যা জনগণের প্রতিনিধিত্বকে শক্তিশালী করবে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংগঠনুলো বারবার ভেঙে পড়েছে। দলগুলোর ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। জনস্বার্থের চেয়ে গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার চর্চা করা হয়ে এখানে। এরকম অবস্থায় কেবল কতগুলো আইনের পরিবর্তন নয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিরও সংস্কার জরুরি। আজকে যদি আমরা সমাজের মধ্যে ঐক্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। সেটি আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে একদিনে আসবে না। সকলের চাইতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজের নিজের জায়গা থেকে সংস্কার করতে হবে। আত্মসংস্কার করতে হবে। সরকারের এই চেষ্টা সেখানে হয়ত একটা উৎসাহ হিসেবে কাজ করতে পারে। তারচেয়ে বেশি কিছু বলে আমি মনে করছি না। কেননা, আজকের অন্তর্বর্তী সরকার যতকিছুই করে যাক, এই সরকার যতদিনই ক্ষমতায় থাকুক, এরপর তো একসময় নির্বাচিত সরকার আসবেই, রাজনৈতিক দলের সরকার আসবে। তখন এই সরকারের এসব সংস্কার প্রস্তাবও বৈধতা দেওয়া তাদের ওপরে নির্ভর করবে। তারা যদি এসব প্রস্তাবের সাথে একমত না হন, আন্তরিক না হন, তাহলে তো তারা এসবকে বৈধতা দেবেন না। তখন নতুন সংকট তৈরি হবে। তাই সংস্কারের চিন্তা এবং কাঠামোর সাথে রাজনৈতিক চাওয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
মোহাম্মদ নেসার এখানে প্রশ্ন করেন, আপনি বললেন, রাজনীতিবিদদের বৈধতা দেওয়ার ওপর সংস্কারে সফলতা নির্ভর করবে। কিন্তু, অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা এর আগে রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যারা গত ৫৩ বছরে সংস্কারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি, তাদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি পরিবর্তনের দায়িত্ব দেওয়া যায় না। রাজনীতিবিদদের প্রতি উপদেষ্টার এই অনাস্থাকে কীভাবে দেখেন?
আতাউর বলেন, এটা তো এখন এই সরকারকেই স্পষ্ট করতে হবে যে, সংস্কার কর্মসূচির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে কতগুলো পরিবর্তন এনে তারা এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবেন কী উপায়ে? রাজনীতিবিদরাই শেষ পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবেন। তাই রাজনীতির ওপর আস্থা হারালে আর তো কোনো সম্ভাবনা আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন না কোনো উপায়ে। তাই আমি মনে করি, উপদেষ্টাদেরও মানসিকতার সংস্কার করে রাজনীতিবিদদের প্রতি আস্থা আনতে হবে এবং নতুন রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে একসাথে কাজ করতে হবে।
সঞ্চালক এবার চলে যান পরের অতিথির কাছে। তিনি বলেন, সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে বহুত্ববাদের প্রতিস্থাপন কীভাবে সব ধর্মের মানুষের অধিকার ও ধর্মপালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে? এ বিষয়ে জানতে চাই মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠক জনাব জামিল উদ্দীনের কাছে।
জামিল উদ্দীন বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকের মতে, বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা একই ধরনের ধারণা হলেও বহুত্ববাদ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট নয়। কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন যে, ধর্মনিরপেক্ষতা ছাড়া বহুত্ববাদ যথাযথভাবে কাজ করবে না। আমি মনে করি, রাষ্ট্রধর্ম রেখে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ছেটে ফেলে বহুত্ববাদ শব্দ দিয়ে সব জনগোষ্ঠীর জন্য সমান সাম্য অবস্থা নিশ্চিত করা যাবে না।
নেসার প্রশ্ন করেন, সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাবকে কীভাবে দেখছেন?
জামিল বলেন, এই প্রস্তাবকে যৌক্তিক এবং সুচিন্তিত নয় বলেই মনে করছি। কেননা, একটা আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ দিয়ে আপনি তাদের রাজনৈতিক পরিপক্কতার হিসাব করতে পারেন না। আমাদের তরুণ প্রজন্ম দীর্ঘদিন রাজনীতি বিমুখ। বিগত বছরগুলোতে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভেতর দিয়ে তরুণদের বিকাশ ঘটেনি। আমাদের তরুণরা মেধাবী, দেশ প্রেমিক। এসব মেনে নিয়েও আমি মনে করি, একজন ২১ বছর বয়সীকে আপনি রাষ্ট্রের আইন প্রণেতার দায়িত্বের জন্য মনোনীত করা কোনো সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আপনি তরুণদের জন্য সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করেন। সেই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে রাজনীতি করে তারা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হোক।
সঞ্চালক এবার চলে যান পরের অতিথির কাছে। তিনি একজন সংস্কৃতিকর্মী। তার কাছে প্রশ্ন করেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার প্রস্তাবের মধ্যে কী অভিনবত্ব রয়েছে এবং এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের চরিত্রে মৌলিক কী পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন? এই বিষয়ে জানতে চাই বিশিষ্ট সংগঠক ও সংস্কৃতিকর্মী আফরিন আহমেদের কাছে।
আফরিন আহমেদ বলেন, আমি মনে করি ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামকরণের মধ্যে তেমন কোনো নতুনত্ব নেই। এটি ‘পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’-এর শব্দগত পরিবর্তন মাত্র। এই বদলের মাধ্যমে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা কীভাবে নিশ্চিত হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এভাবে নাম বদলে রাষ্ট্রের চরিত্র বদলানো সম্ভব না। বরং এখন একরকম জোর করে অনেক পরিবর্তনকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দৃশ্যমান হচ্ছে। সেখানে সেই পুরোনো কর্তৃত্ববাদী মনোভাবই ফুটে উঠছে। কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের ভেতর দিয়ে আপনি রাষ্ট্রের উদার মানবিক চরিত্র নিশ্চিত করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
সঞ্চালক মোহাম্মদ নেসার বলেন, সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব, দুর্নীতির সমস্যা, রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারিতা—এসব বাস্তবতার ভেতরে সংস্কারের প্রস্তাবকে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলেও মনে হচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, সংস্কার শুধু কাগুজে সংস্কার বা শব্দের খেলাই হতে পারে। সত্যিকারের কার্যকর সংস্কার তখনই সম্ভব হবে যখন দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকানো যাবে এবং রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতি বাস্তব আগ্রহ থাকবে।
আফরিন আহমেদ বলেন, আমি আরেকটু যোগ করতে চাই যদি সময় হয়। নেসার বলেন, নিশ্চয়ই।
আফরিন বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিচিত্র। এখানে নানা ধর্মের, নানা জাতির মানুষের বসবাস। রাজনীতি দূষিত হয়ে যাওয়ায় এবং দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারে আমাদের বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। একে পরিবর্তন করে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা খুব সহজ কাজ নয়। শুধু আইন নয়, গভীর সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এর জন্য প্রয়োজন। সমাজে মানুষের মন-মানসিকতায় আসা দরকার পরিবর্তন। আমরা যদি শুধু আইনের দিকে মনোযোগী হই, তাতে যে সমাজে মৌলিক পরিবর্তন আসবে, তা নিশ্চিত নয়। এটি কেবল একটি বাহ্যিক পরিবর্তন হবে। কিন্তু বাস্তবতার সাথে সংগতি রেখে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মনোযোগ দিতে হবে। তাতে মানবিক সংস্কার হবে, আত্ম সংস্কার হবে।
নেসার বলেন, ঠিক তাই। শাসকদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন না আসলে সংস্কারের পরিকল্পনাগুলো হয়ত শুধু তত্ত্বকথাই হবে। বাস্তবে কাজের কাজ হবে না কিছুই।
শেষে, সঞ্চালক নেসার এবার দর্শকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, প্রিয় দর্শক, সংস্কারের এই যে এত কথা, এর ভেতরে গণতন্ত্রের জন্য কোনো আলোর দিশা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কি?
মেহেদী হাসান শোয়েব : লেখক, প্রকাশক, বিতার্কিক; শিফট ইনচার্জ, বাংলাদেশের খবর