শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

ইন্টারনেটে অপমানিত বাংলাদেশীর জন্য সৌদিদের ভালোবাসা!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:৫৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রিয়াদে সোনার দোকানের অলংকারের দিকে তাকিয়ে থাকা এক বাংলাদেশীর ছবি নিয়ে ইন্টারনেটে করা অপমানসূচক মন্তব্যে মর্মাহত হয়ে তাকে খুঁজে বের করে নানা মূল্যবান উপহার দিচ্ছেন সৌদি আরবের লোকেরা।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ক্লিনার হিসেবে কাজ করেন ৬৫ বছর বয়স্ক বাংলাদেশী নাজের আল-ইসলাম আবদুল করিম। বেতন পান ৭০০ রিয়াল ।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, কয়েকদিন আগে ইনস্টাগ্রামে এক ব্যক্তি তার একটি ছবি পোস্ট করেন – যাতে দেখা যায় একটি সোনার দোকানের জানালায় সাজিয়ে রাখা অলংকারের দিকে তাকিয়ে আছেন আবদুল করিম।
ছবিটির সাথে ওই ইউজার মন্তব্য করেন : ‘এই লোকটি শুধু আবর্জনার দিকে তাকিয়ে থাকার উপযুক্ত।’ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু এই অপমানসূচক মন্তব্য আহত করে আবদুল্লাহ আল-কাহতানি নামে এক টুইটার ব্যবহারকারীকে। তার একাউন্টের নাম হচ্ছে ‘এনসানিয়াত’ বা ‘মানবিকতা’ ।
তিনি এতটাই সমবেদনা বোধ করেন আবদুল করিমের প্রতি – যে তিনি তাকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেন।
তার এই উদ্যোগ টুইটারে সাড়ে ৬ হাজার বার শেয়ার হয়। নানাভাবে সন্ধান চালিয়ে, ছবিটি পরীক্ষা করে অবশেষে আবদুল করিমকে খুঁজে বের করাও হয়।
তার পর টুইটার ব্যবহারকারী অন্য সৌদি নাগরিকরা আবদুল করিমকে নানা রকম উপহার পাঠাতে থাকেন।

উপহারের মধ্যে আছে আইফোন সেভেনসহ দুটি মোবাইল ফোন, চালের ব্যাগ, মধু, নগদ টাকা, ঢাকায় যাবার জন্য প্লেনের টিকেট, এবং সোনার অলংকার।
আল-কাহতানি সিএনএনকে বলেছেন, যারা আবদুল করিমকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আর আবদুল করিম বলছেন, ওই পৌরসভার ক্লিনার হিসেবে তিনি তার কাজই করছিলেন। সোনার দোকানের সামনে থাকার সময় কেউ যে তার ছবি তুলেছে তা তিনি টেরই পাননি।
তবে এতরকম উপহার পেয়ে তিনি খুবই খুশি, বলেছেন আবদুল করিম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

ইন্টারনেটে অপমানিত বাংলাদেশীর জন্য সৌদিদের ভালোবাসা!

আপডেট সময় : ০৬:৪১:৫৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

রিয়াদে সোনার দোকানের অলংকারের দিকে তাকিয়ে থাকা এক বাংলাদেশীর ছবি নিয়ে ইন্টারনেটে করা অপমানসূচক মন্তব্যে মর্মাহত হয়ে তাকে খুঁজে বের করে নানা মূল্যবান উপহার দিচ্ছেন সৌদি আরবের লোকেরা।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ক্লিনার হিসেবে কাজ করেন ৬৫ বছর বয়স্ক বাংলাদেশী নাজের আল-ইসলাম আবদুল করিম। বেতন পান ৭০০ রিয়াল ।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, কয়েকদিন আগে ইনস্টাগ্রামে এক ব্যক্তি তার একটি ছবি পোস্ট করেন – যাতে দেখা যায় একটি সোনার দোকানের জানালায় সাজিয়ে রাখা অলংকারের দিকে তাকিয়ে আছেন আবদুল করিম।
ছবিটির সাথে ওই ইউজার মন্তব্য করেন : ‘এই লোকটি শুধু আবর্জনার দিকে তাকিয়ে থাকার উপযুক্ত।’ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু এই অপমানসূচক মন্তব্য আহত করে আবদুল্লাহ আল-কাহতানি নামে এক টুইটার ব্যবহারকারীকে। তার একাউন্টের নাম হচ্ছে ‘এনসানিয়াত’ বা ‘মানবিকতা’ ।
তিনি এতটাই সমবেদনা বোধ করেন আবদুল করিমের প্রতি – যে তিনি তাকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেন।
তার এই উদ্যোগ টুইটারে সাড়ে ৬ হাজার বার শেয়ার হয়। নানাভাবে সন্ধান চালিয়ে, ছবিটি পরীক্ষা করে অবশেষে আবদুল করিমকে খুঁজে বের করাও হয়।
তার পর টুইটার ব্যবহারকারী অন্য সৌদি নাগরিকরা আবদুল করিমকে নানা রকম উপহার পাঠাতে থাকেন।

উপহারের মধ্যে আছে আইফোন সেভেনসহ দুটি মোবাইল ফোন, চালের ব্যাগ, মধু, নগদ টাকা, ঢাকায় যাবার জন্য প্লেনের টিকেট, এবং সোনার অলংকার।
আল-কাহতানি সিএনএনকে বলেছেন, যারা আবদুল করিমকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আর আবদুল করিম বলছেন, ওই পৌরসভার ক্লিনার হিসেবে তিনি তার কাজই করছিলেন। সোনার দোকানের সামনে থাকার সময় কেউ যে তার ছবি তুলেছে তা তিনি টেরই পাননি।
তবে এতরকম উপহার পেয়ে তিনি খুবই খুশি, বলেছেন আবদুল করিম।