শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

ইন্টারনেটে অপমানিত বাংলাদেশীর জন্য সৌদিদের ভালোবাসা!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:৫৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রিয়াদে সোনার দোকানের অলংকারের দিকে তাকিয়ে থাকা এক বাংলাদেশীর ছবি নিয়ে ইন্টারনেটে করা অপমানসূচক মন্তব্যে মর্মাহত হয়ে তাকে খুঁজে বের করে নানা মূল্যবান উপহার দিচ্ছেন সৌদি আরবের লোকেরা।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ক্লিনার হিসেবে কাজ করেন ৬৫ বছর বয়স্ক বাংলাদেশী নাজের আল-ইসলাম আবদুল করিম। বেতন পান ৭০০ রিয়াল ।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, কয়েকদিন আগে ইনস্টাগ্রামে এক ব্যক্তি তার একটি ছবি পোস্ট করেন – যাতে দেখা যায় একটি সোনার দোকানের জানালায় সাজিয়ে রাখা অলংকারের দিকে তাকিয়ে আছেন আবদুল করিম।
ছবিটির সাথে ওই ইউজার মন্তব্য করেন : ‘এই লোকটি শুধু আবর্জনার দিকে তাকিয়ে থাকার উপযুক্ত।’ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু এই অপমানসূচক মন্তব্য আহত করে আবদুল্লাহ আল-কাহতানি নামে এক টুইটার ব্যবহারকারীকে। তার একাউন্টের নাম হচ্ছে ‘এনসানিয়াত’ বা ‘মানবিকতা’ ।
তিনি এতটাই সমবেদনা বোধ করেন আবদুল করিমের প্রতি – যে তিনি তাকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেন।
তার এই উদ্যোগ টুইটারে সাড়ে ৬ হাজার বার শেয়ার হয়। নানাভাবে সন্ধান চালিয়ে, ছবিটি পরীক্ষা করে অবশেষে আবদুল করিমকে খুঁজে বের করাও হয়।
তার পর টুইটার ব্যবহারকারী অন্য সৌদি নাগরিকরা আবদুল করিমকে নানা রকম উপহার পাঠাতে থাকেন।

উপহারের মধ্যে আছে আইফোন সেভেনসহ দুটি মোবাইল ফোন, চালের ব্যাগ, মধু, নগদ টাকা, ঢাকায় যাবার জন্য প্লেনের টিকেট, এবং সোনার অলংকার।
আল-কাহতানি সিএনএনকে বলেছেন, যারা আবদুল করিমকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আর আবদুল করিম বলছেন, ওই পৌরসভার ক্লিনার হিসেবে তিনি তার কাজই করছিলেন। সোনার দোকানের সামনে থাকার সময় কেউ যে তার ছবি তুলেছে তা তিনি টেরই পাননি।
তবে এতরকম উপহার পেয়ে তিনি খুবই খুশি, বলেছেন আবদুল করিম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

ইন্টারনেটে অপমানিত বাংলাদেশীর জন্য সৌদিদের ভালোবাসা!

আপডেট সময় : ০৬:৪১:৫৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

রিয়াদে সোনার দোকানের অলংকারের দিকে তাকিয়ে থাকা এক বাংলাদেশীর ছবি নিয়ে ইন্টারনেটে করা অপমানসূচক মন্তব্যে মর্মাহত হয়ে তাকে খুঁজে বের করে নানা মূল্যবান উপহার দিচ্ছেন সৌদি আরবের লোকেরা।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ক্লিনার হিসেবে কাজ করেন ৬৫ বছর বয়স্ক বাংলাদেশী নাজের আল-ইসলাম আবদুল করিম। বেতন পান ৭০০ রিয়াল ।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, কয়েকদিন আগে ইনস্টাগ্রামে এক ব্যক্তি তার একটি ছবি পোস্ট করেন – যাতে দেখা যায় একটি সোনার দোকানের জানালায় সাজিয়ে রাখা অলংকারের দিকে তাকিয়ে আছেন আবদুল করিম।
ছবিটির সাথে ওই ইউজার মন্তব্য করেন : ‘এই লোকটি শুধু আবর্জনার দিকে তাকিয়ে থাকার উপযুক্ত।’ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু এই অপমানসূচক মন্তব্য আহত করে আবদুল্লাহ আল-কাহতানি নামে এক টুইটার ব্যবহারকারীকে। তার একাউন্টের নাম হচ্ছে ‘এনসানিয়াত’ বা ‘মানবিকতা’ ।
তিনি এতটাই সমবেদনা বোধ করেন আবদুল করিমের প্রতি – যে তিনি তাকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেন।
তার এই উদ্যোগ টুইটারে সাড়ে ৬ হাজার বার শেয়ার হয়। নানাভাবে সন্ধান চালিয়ে, ছবিটি পরীক্ষা করে অবশেষে আবদুল করিমকে খুঁজে বের করাও হয়।
তার পর টুইটার ব্যবহারকারী অন্য সৌদি নাগরিকরা আবদুল করিমকে নানা রকম উপহার পাঠাতে থাকেন।

উপহারের মধ্যে আছে আইফোন সেভেনসহ দুটি মোবাইল ফোন, চালের ব্যাগ, মধু, নগদ টাকা, ঢাকায় যাবার জন্য প্লেনের টিকেট, এবং সোনার অলংকার।
আল-কাহতানি সিএনএনকে বলেছেন, যারা আবদুল করিমকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আর আবদুল করিম বলছেন, ওই পৌরসভার ক্লিনার হিসেবে তিনি তার কাজই করছিলেন। সোনার দোকানের সামনে থাকার সময় কেউ যে তার ছবি তুলেছে তা তিনি টেরই পাননি।
তবে এতরকম উপহার পেয়ে তিনি খুবই খুশি, বলেছেন আবদুল করিম।