শিরোনাম :
Logo বিএনডি ফোরামের উদ্যোগে ১৬তম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত, চারা পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা Logo ড. ইউনূস ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন জামায়াত আমির Logo পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo ভারতের শিশু হোমে আটক থাকা দুই কিশোর দেশে ফিরেছে Logo বিরল রোগে আক্রান্ত কলিম উল্যাহ’র বাঁচার আকুতি,সামাজিক সহানুভূতির আবেদন অসহায় পরিবারের Logo সাজিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর Logo প্রত্যাশার বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত Logo সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo চীনে ভয়াবহ বন্যা , বৃদ্ধাশ্রমে ৩০ জনের মৃত্যু

শেষ মুহূর্তে সমঝোতা, বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:১৮:৩১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দিতে একমত হয়েছে ধনী দেশগুলো, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) শেষ মুহূর্তে এই চুক্তি হয়। খবর রয়টার্সের।

সমঝোতা অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এই সহায়তা দেওয়া হবে। ধনী দেশগুলোর জলবায়ু তহবিলে জমা করা অর্থ দিয়ে দরিদ্র দেশগুলো তাদের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করতে এবং জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহার করবে।

এর আগে, ধনী দেশগুলো প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০ হাজার কোটি (১০০ বিলিয়ন) ডলার জমা দিচ্ছিল। তবে দরিদ্র দেশগুলোর দাবি ছিল এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়। ফলে সম্মেলনের সময় বাড়িয়ে আরো একদিন আলোচনা করা হয়। অবশেষে দরিদ্র দেশগুলোর অনুরোধে ধনী দেশগুলো বছরে ৩০ হাজার কোটি (৩০০ বিলিয়ন) ডলার অর্থায়নে রাজি হয়।

সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরির চুক্তিও হয়েছে। এই বাজারে ‘কার্বন ক্রেডিট’ বেচাকেনা করতে পারবে দেশগুলো। দরিদ্র দেশগুলো বৃক্ষরোপণ, বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে ‘কার্বন ক্রেডিট’ অর্জন করতে পারবে।

এর আগে শুক্রবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ এই প্রস্তাব নাকচ করে। তাদের দাবি ছিল, ক্ষতিপূরণ হিসেবে বছরে অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলারের সমঝোতায় পৌঁছায় সব পক্ষ।

এই চুক্তি দরিদ্র দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনডি ফোরামের উদ্যোগে ১৬তম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত, চারা পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

শেষ মুহূর্তে সমঝোতা, বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো

আপডেট সময় : ১১:১৮:৩১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দিতে একমত হয়েছে ধনী দেশগুলো, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) শেষ মুহূর্তে এই চুক্তি হয়। খবর রয়টার্সের।

সমঝোতা অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এই সহায়তা দেওয়া হবে। ধনী দেশগুলোর জলবায়ু তহবিলে জমা করা অর্থ দিয়ে দরিদ্র দেশগুলো তাদের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করতে এবং জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহার করবে।

এর আগে, ধনী দেশগুলো প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০ হাজার কোটি (১০০ বিলিয়ন) ডলার জমা দিচ্ছিল। তবে দরিদ্র দেশগুলোর দাবি ছিল এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়। ফলে সম্মেলনের সময় বাড়িয়ে আরো একদিন আলোচনা করা হয়। অবশেষে দরিদ্র দেশগুলোর অনুরোধে ধনী দেশগুলো বছরে ৩০ হাজার কোটি (৩০০ বিলিয়ন) ডলার অর্থায়নে রাজি হয়।

সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরির চুক্তিও হয়েছে। এই বাজারে ‘কার্বন ক্রেডিট’ বেচাকেনা করতে পারবে দেশগুলো। দরিদ্র দেশগুলো বৃক্ষরোপণ, বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে ‘কার্বন ক্রেডিট’ অর্জন করতে পারবে।

এর আগে শুক্রবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল দরিদ্র দেশগুলোকে বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ এই প্রস্তাব নাকচ করে। তাদের দাবি ছিল, ক্ষতিপূরণ হিসেবে বছরে অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর বছরে ৩০ হাজার কোটি ডলারের সমঝোতায় পৌঁছায় সব পক্ষ।

এই চুক্তি দরিদ্র দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।