শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo খুবিতে গনিত ক্লাবের যাত্রা: দায়িত্ব পেয়েছে পরমা-পলাশ Logo খুবিতে ‘মাইন্ড ওভার ম্যাথ’ শীর্ষক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo  অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের তীব্র নিন্দা Logo কচুয়ায় দাড়িপাল্লার গণজোয়ার: জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর গণসংযোগে মানুষের ঢল Logo জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জেলা বিএনপির নেতার Logo জমকালো আয়োজনে ইবিতে নবীন বরণ  Logo ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির জনসভা Logo গাইবান্ধায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা

স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন পুলিশ সদস্য

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:২৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে সুমন হোসেন (২৬) নামের এক পুলিশ সদস্য। গত চার দিন ধরে তাদের কোন খোঁজ না পাওয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রায়পুর গ্রামের ঘটে। সুমন হোসেন জীবননগর থানার রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সে যশোর সদর উপজেলার জগতনাথপুর গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে। স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানান, কনস্টেবল সুমন হোসেন রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যার সাথে প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে তোলে।

সুমন হোসেনের বাড়ীতে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমার মেয়ের কাছে অবিবাহিত বলে সম্পর্কে করে। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে জীবননগর থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগের পর তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আবার জামজামি পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি হয়। কয়েক দিন আগে তাকে আবার র‌্যাব এ বদলি করা হলে সে র‌্যাবে যোগদান না করে গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাস্তা থেকে ফুঁসলিয়ে আমার মেয়েকে উঠেয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি আমরা গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমনের বাড়ীতেও তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘটনার চার দিন পর মামলা দিতে হয়েছে।

 

রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর সাথে হওয়ায় পারিবারিক ভাবে গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেন ও স্কুল ছাত্রীর কোন সন্ধান না পাওয়া স্কুল ছাত্রীর বাবা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেনের মন্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বন্ধ থাকায় একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, ঘটনার পর কয়েক দিন ধরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন পুলিশ সদস্য

আপডেট সময় : ০৩:২৩:২৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে সুমন হোসেন (২৬) নামের এক পুলিশ সদস্য। গত চার দিন ধরে তাদের কোন খোঁজ না পাওয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রায়পুর গ্রামের ঘটে। সুমন হোসেন জীবননগর থানার রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সে যশোর সদর উপজেলার জগতনাথপুর গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে। স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানান, কনস্টেবল সুমন হোসেন রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যার সাথে প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে তোলে।

সুমন হোসেনের বাড়ীতে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমার মেয়ের কাছে অবিবাহিত বলে সম্পর্কে করে। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে জীবননগর থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগের পর তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আবার জামজামি পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি হয়। কয়েক দিন আগে তাকে আবার র‌্যাব এ বদলি করা হলে সে র‌্যাবে যোগদান না করে গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাস্তা থেকে ফুঁসলিয়ে আমার মেয়েকে উঠেয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি আমরা গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমনের বাড়ীতেও তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘটনার চার দিন পর মামলা দিতে হয়েছে।

 

রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর সাথে হওয়ায় পারিবারিক ভাবে গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেন ও স্কুল ছাত্রীর কোন সন্ধান না পাওয়া স্কুল ছাত্রীর বাবা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেনের মন্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বন্ধ থাকায় একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, ঘটনার পর কয়েক দিন ধরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।