শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী Logo ভারতের সঙ্গে আকাশ ও স্থল সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের Logo পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত Logo অসুস্থ শ্রমিককে হুইল চেয়ার উপহার দিলো ইয়ুথ ফোরাম ও চর্যাপদ একাডেমি Logo পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্র, পাক সেনাপ্রধান লাদেনের মতোই সন্ত্রাসবাদী, বিস্ফোরক প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তা Logo ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি Logo শিক্ষার্থীদের ভাবনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ Logo জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী অ্যালামনাসদের রুয়া’র নির্বাচন বর্জন Logo মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-পাকিস্তান, ভারতীয় নৌবাহিনীর মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা Logo কাশ্মীরে হামলার পর তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা পাকিস্তানের

স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন পুলিশ সদস্য

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:২৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে সুমন হোসেন (২৬) নামের এক পুলিশ সদস্য। গত চার দিন ধরে তাদের কোন খোঁজ না পাওয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রায়পুর গ্রামের ঘটে। সুমন হোসেন জীবননগর থানার রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সে যশোর সদর উপজেলার জগতনাথপুর গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে। স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানান, কনস্টেবল সুমন হোসেন রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যার সাথে প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে তোলে।

সুমন হোসেনের বাড়ীতে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমার মেয়ের কাছে অবিবাহিত বলে সম্পর্কে করে। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে জীবননগর থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগের পর তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আবার জামজামি পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি হয়। কয়েক দিন আগে তাকে আবার র‌্যাব এ বদলি করা হলে সে র‌্যাবে যোগদান না করে গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাস্তা থেকে ফুঁসলিয়ে আমার মেয়েকে উঠেয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি আমরা গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমনের বাড়ীতেও তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘটনার চার দিন পর মামলা দিতে হয়েছে।

 

রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর সাথে হওয়ায় পারিবারিক ভাবে গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেন ও স্কুল ছাত্রীর কোন সন্ধান না পাওয়া স্কুল ছাত্রীর বাবা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেনের মন্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বন্ধ থাকায় একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, ঘটনার পর কয়েক দিন ধরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন পুলিশ সদস্য

আপডেট সময় : ০৩:২৩:২৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে সুমন হোসেন (২৬) নামের এক পুলিশ সদস্য। গত চার দিন ধরে তাদের কোন খোঁজ না পাওয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রায়পুর গ্রামের ঘটে। সুমন হোসেন জীবননগর থানার রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সে যশোর সদর উপজেলার জগতনাথপুর গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে। স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানান, কনস্টেবল সুমন হোসেন রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যার সাথে প্রেম ভালবাসা সম্পর্ক গড়ে তোলে।

সুমন হোসেনের বাড়ীতে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমার মেয়ের কাছে অবিবাহিত বলে সম্পর্কে করে। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে জীবননগর থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগের পর তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আবার জামজামি পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি হয়। কয়েক দিন আগে তাকে আবার র‌্যাব এ বদলি করা হলে সে র‌্যাবে যোগদান না করে গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাস্তা থেকে ফুঁসলিয়ে আমার মেয়েকে উঠেয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি আমরা গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমনের বাড়ীতেও তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘটনার চার দিন পর মামলা দিতে হয়েছে।

 

রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর সাথে হওয়ায় পারিবারিক ভাবে গোপনে নিস্পত্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেন ও স্কুল ছাত্রীর কোন সন্ধান না পাওয়া স্কুল ছাত্রীর বাবা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেনের মন্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বন্ধ থাকায় একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, ঘটনার পর কয়েক দিন ধরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।