নিউজ ডেস্ক:
আগামী কয়েক দশক পর বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেবে, এমনটি আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য বিকল্প পুষ্টির উৎস হবে পোকামাকড়, তেমনটিও বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। এরই মাঝে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক রেস্টুরেন্টে খাবার তালিকায় পোকামাকড়ের ডিশও পাওয়া যায়। তবে গমের মতো প্রধান খাবারের বিকল্প হতে আরো সময় লাগবে পোকামাকড়ের।
এরই মাঝে একটি অদ্ভুত খাবার তৈরি করেছেন ব্রাজিলের দুই খাদ্য বিশেষজ্ঞ। বিশেষ প্রজাতির এক তেলাপোকা থেকে ময়দা তৈরি করেছেন তারা। ব্রাজিলের রিও গ্রান্দে ফেডেরাল ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দুই ছাত্র আন্দ্রেসা লুকাস ও লরেন মেনেগোন । এরা তেলাপোকা থেকে যে বিশেষ ময়দা তৈরি করেছেন, তাতে সাধারণ গমের ময়দার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি প্রোটিন আছে জানা গেছে।
এই ময়দা দিয়ে সব ধরনের বেকারি পণ্য তৈরি করা যাবে। এতে আছে প্রচুর অ্যামাইনো এসিড ও লিপিড। রাতে আপনার রান্নাঘরে যেসব তেলাপোকা ঘুরে বেড়ায়, সেসব দিয়ে নয়, বরং নাওফোটা সিনেরিয়া নামের এক বিশেষ প্রজাতির তেলাপোকা দিয়ে এই ময়দা তৈরি করা হয়েছে।
এসব তেলাপোকা গবেষণাগারে বিশেষ যত্নে রাখা হয়। সেগুলোকে শুধু ফল ও সবজি খেতে দেওয়া হয়। এ ধরনের তেলাপোকা থেকে তৈরি ময়দা দিয়ে যে রুটি বানানো হয়, সেগুলো যারা খেয়েছেন, তারা বলেছেন প্রচলিত রুটির সঙ্গে এর পার্থক্য তেমন বুঝা যায়নি।
দুই গবেষক অবশ্য এটিও জরিপে জানতে পেরেছেন যে, বেশিরভাগ মানুষই এখনো পোকামাকড় দিয়ে খাবার তৈরির বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেনি। এ ছাড়া ঝিঁঝিঁ পোকা, গুবরে পোকা দিয়েও খাবার তৈরির বিষয়টি পরীক্ষা করছেন লুকাস ও লরেন। তারা আশা করছেন ধীরে ধীরে মানুষ মন থেকে পোকামাকড় দিয়ে তৈরি খাবার গ্রহণ করবে।
জাতিসংঘের এক জরিপে জানা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে বেড়ে চলা মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে পর্যাপ্ত কৃষি জমি থাকবে না। তখন বিকল্প খাবার হিসেবে মানুষকে হয়ত পোকামাকড়ের ওপর নির্ভর হতে হবে।