সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার পথ সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৪৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

খেলাপি কিংবা ভালো যেকোনও ব্যবসায়ী গ্রাহক ব্যবসা ও শিল্পের ঋণ পরিশোধ করে ব্যাংক থেকে প্রস্থান করতে পারবেন। এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে হলে ঋণস্থিতির ন্যূনতম ১০ শতাংশ অর্থ আগে জমা দিতে হবে। এমন শর্ত জুড়ে দিয়ে  ঋণ থেকে প্রস্থান-সংক্রান্ত নীতিমালা  (এক্সিট পলিসি) প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (৮ জুলাই) এই  পলিসির   আলোকে আর্থিক ব্যাংক গুলোকে  নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন করে তা কার্যকর করতে নির্দেশনা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেকেই ব্যবসা থেকে বেরিয়ে যেতে চান। কোনও নীতিমালা না থাকায়  অনেক সময় ব্যাংকগুলো একেবারে পুরো অর্থ শোধ দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এতে অনেকেই ঋণ থেকে বেরিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন।   নতুন নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো সুবিধা পাবে এবং ব্যবসায়ীরাও সুবিধা মতো ঋণ শোধ করে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, এক্সিট সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরো ঋণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত ঋণের মানের কোনও পরিবর্তন হবে না এবং এই সময়ে গ্রাহক নতুন ঋণও নিতে পারবেন না। এক্সিট সুবিধার ঋণ সমন্বয়ের পূর্বে ঋণের বিপরীতে গৃহীত জামানত অবমুক্ত করা যাবে না। তবে ব্যাংক, গ্রাহক ও ক্রেতা আগ্রহী হলে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে আলোচ্য ঋণের বিপরীতে বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে ঋণ সমন্বয় করা যাবে। এক্সিট সুবিধা প্রাপ্তির পর গ্রাহক পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ আদায়ে ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই সুবিধা নিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে পুরো ঋণ শোধ করতে হবে। এসব গ্রাহক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবেও চিহ্নিত হবেন না।

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটির দ্বারা এই সুবিধা অনুমোদন হতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। তবে মূল ঋণ সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত এক্সিট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর অর্পণ করা যাবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার পথ সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৪৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

খেলাপি কিংবা ভালো যেকোনও ব্যবসায়ী গ্রাহক ব্যবসা ও শিল্পের ঋণ পরিশোধ করে ব্যাংক থেকে প্রস্থান করতে পারবেন। এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে হলে ঋণস্থিতির ন্যূনতম ১০ শতাংশ অর্থ আগে জমা দিতে হবে। এমন শর্ত জুড়ে দিয়ে  ঋণ থেকে প্রস্থান-সংক্রান্ত নীতিমালা  (এক্সিট পলিসি) প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (৮ জুলাই) এই  পলিসির   আলোকে আর্থিক ব্যাংক গুলোকে  নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন করে তা কার্যকর করতে নির্দেশনা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেকেই ব্যবসা থেকে বেরিয়ে যেতে চান। কোনও নীতিমালা না থাকায়  অনেক সময় ব্যাংকগুলো একেবারে পুরো অর্থ শোধ দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এতে অনেকেই ঋণ থেকে বেরিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন।   নতুন নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো সুবিধা পাবে এবং ব্যবসায়ীরাও সুবিধা মতো ঋণ শোধ করে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, এক্সিট সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরো ঋণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত ঋণের মানের কোনও পরিবর্তন হবে না এবং এই সময়ে গ্রাহক নতুন ঋণও নিতে পারবেন না। এক্সিট সুবিধার ঋণ সমন্বয়ের পূর্বে ঋণের বিপরীতে গৃহীত জামানত অবমুক্ত করা যাবে না। তবে ব্যাংক, গ্রাহক ও ক্রেতা আগ্রহী হলে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে আলোচ্য ঋণের বিপরীতে বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে ঋণ সমন্বয় করা যাবে। এক্সিট সুবিধা প্রাপ্তির পর গ্রাহক পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ আদায়ে ব্যাংক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই সুবিধা নিলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে পুরো ঋণ শোধ করতে হবে। এসব গ্রাহক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবেও চিহ্নিত হবেন না।

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটির দ্বারা এই সুবিধা অনুমোদন হতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। তবে মূল ঋণ সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত এক্সিট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর অর্পণ করা যাবে।