শিরোনাম :
Logo কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট Logo লক্ষ্মীপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ প্রদান Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে স্মরণকালের বর্ণাঢ্য র‌্যালি Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার

সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে উদ্ধারকৃত আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া শহরের পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা চলাকালীন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।

এদিকে, সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইনসানুল ইমাম সকালে এক ফেসবুক লাইভে বলেন, “সাজিদ সাঁতার জানতো। সে পানিতে ডুবে যাবে এটা বিশ্বাসযোগ্য না। বিকেল ৫টা ৫১ মিনিটে আমি তাকে ফোন করি, কল ঢুকে যায় এবং ২৪ সেকেন্ড রিসিভও হয়, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। অথচ তখন থেকেই বলা হচ্ছে পুকুরে মরদেহ ভেসে উঠেছে।”

জানাজার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া ঠেকিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে ইনসানুল ইমামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী মরদেহবাহী গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সাদা কাগজে লিখিত মুচলেকা প্রদান করা হয়।

মুচলেকায় বলা হয়, “আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র সাজিদ আব্দুল্লাহর আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত ও সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “নিহত শিক্ষার্থী আমাদের হলের আবাসিক ছাত্র ছিল। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আমাদের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কাজ চলতেছে, আজকেই হয়ে যাবে। মৃত্যু স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, পোস্টমর্টেম হয়েছে, রিপোর্ট হাতে আসলে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরাসহ সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। সবকিছুই পর্যবেক্ষণ করার পরেই একটি তথ্য জানাতে পারবো।

ট্যাগস :

কয়রায় যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট

সাজিদের জানাজা সম্পন্ন, মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তের ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৭:০২:১২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে উদ্ধারকৃত আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া শহরের পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা চলাকালীন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।

এদিকে, সাজিদের মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ দাবি করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইনসানুল ইমাম সকালে এক ফেসবুক লাইভে বলেন, “সাজিদ সাঁতার জানতো। সে পানিতে ডুবে যাবে এটা বিশ্বাসযোগ্য না। বিকেল ৫টা ৫১ মিনিটে আমি তাকে ফোন করি, কল ঢুকে যায় এবং ২৪ সেকেন্ড রিসিভও হয়, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। অথচ তখন থেকেই বলা হচ্ছে পুকুরে মরদেহ ভেসে উঠেছে।”

জানাজার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া ঠেকিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের মৌখিক আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে ইনসানুল ইমামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী মরদেহবাহী গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সাদা কাগজে লিখিত মুচলেকা প্রদান করা হয়।

মুচলেকায় বলা হয়, “আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র সাজিদ আব্দুল্লাহর আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত ও সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “নিহত শিক্ষার্থী আমাদের হলের আবাসিক ছাত্র ছিল। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আমাদের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কাজ চলতেছে, আজকেই হয়ে যাবে। মৃত্যু স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, পোস্টমর্টেম হয়েছে, রিপোর্ট হাতে আসলে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরাসহ সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। সবকিছুই পর্যবেক্ষণ করার পরেই একটি তথ্য জানাতে পারবো।