শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত Logo ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইবির আইসিটি বিভাগে নবীনবরণ Logo পলাশবাড়ীতে ভিডাব্লিউ ডি প্রকল্পে অনিয়মসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। Logo যবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা: নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ Logo তেকানী ইউনিয়নের সচিব হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ Logo কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য উদ্যোগ Logo কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অক্টোবর থেকে: বেবিচক চেয়ারম্যান” Logo মাদকসহ সাতক্ষীরা শহরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আটক Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিলেন স্বামী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

যৌতুকের জন্য স্বামীর দেওয়া ডিজেলের আগুনে পুড়ে তিনদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন গৃহবধূ লতা বেগম (২৫)। তাঁর শরীরের প্রায় অর্ধেক অংশেই পুড়ে গেছে।  

চিকিৎসকরা বলেছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন দরিদ্র মা-বাবা।

তিন সন্তানের জননী দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ওই নারীর উন্নত চিকিৎসা আটকে আছে আর্থিক সংকটে। এ অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন লতা।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পাষণ্ড স্বামী মহব্বর আলী ওই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তবে শ্বশুর-শাশুড়ির সামনেই লতা বেগমের শরীরে ডিজেল ঢেলে দেয় মহব্বত আলী।

এগিয়ে আসেনি কেউ। এতে দগ্ধ হয়ে শরীরের বেশকিছু অঙ্গ পুড়ে যায়। এ ঘটনার পর মহব্বতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, আট বছর আগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মহব্বর আলীর সাথে বিয়ে হয় লতা বেগমের। এই দম্পতির এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। লতা বেগমকে না জানিয়ে চার মাস আগে মহব্বত আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

এরপর যৌতুক ও তালাকের জন্য নিয়মিতই লতার উপর চলতো নির্মম নির্যাতন। গেল সোমবার সকালে মহব্বর যৌতুকের মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ডিজেল স্ত্রী লতার শরীরে ঢেলে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষণ্ড স্বামী মহব্বর আলী। এ সময় বাড়িয়ে থাকা পাশে থাকা মহব্বরের মা-বাবা এগিয়ে আসেনি। পরে স্থানীয়রা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

স্বজনদের অভিযোগ তিন সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে মহব্বত দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রায়ই নির্যাতন চালাতো । তার এমন কর্মকাণ্ডে কঠিন শাস্তির দাবি করেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

হাসপাতালে গৃহবধূ লতার চোখ দিয়ে কেবলই পানি ঝরছিল। তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে লতা জানায়, অনুমতি না নিয়ে ১২ বছর আগে বিয়ে হওয়া এক নারীকে বিয়ে করে আমার স্বামী। তারপর আমাকে যৌতুক ও তালাক দিতে নানা ভাবে নির্যাতন করে। শেষ পর্যায়ে এসে ডিজেল ঢেলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। তবে বেঁচে লাভ কি সন্তানদের কে দেখবে। আমার বাবা মায়ের কিছু নেই। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। যদি কারো দয়া হয় সহযোগিতা করবেন। আমি আমার স্বামী ও ওই নারীর বিচার চাই।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, শরীর পুড়ে যাওয়া নারীকে হাসপাতাল থেকে সকল সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। অর্থের অভাবে করাতে পারছে না।

এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক মুঠোফোনে জানান, যৌতুক ও দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথাকাটি হতো তাদের মধ্যে। মহব্বত এসব বিষয়ে প্রায় নির্যাতনও করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। শরীরে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় মহব্বত আলীসহ কয়েকজনের নামে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে স্বামী মহব্বত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন দরিদ্র মা-বাবা।

তিন সন্তানের জননী দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ওই নারীর উন্নত চিকিৎসা আটকে আছে আর্থিক সংকটে। এ অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন লতা।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পাষণ্ড স্বামী মহব্বর আলী ওই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তবে শ্বশুর-শাশুড়ির সামনেই লতা বেগমের শরীরে ডিজেল ঢেলে দেয় মহব্বত আলী।

এগিয়ে আসেনি কেউ। এতে দগ্ধ হয়ে শরীরের বেশকিছু অঙ্গ পুড়ে যায়। এ ঘটনার পর মহব্বতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, আট বছর আগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মহব্বর আলীর সাথে বিয়ে হয় লতা বেগমের। এই দম্পতির এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। লতা বেগমকে না জানিয়ে চার মাস আগে মহব্বত আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

এরপর যৌতুক ও তালাকের জন্য নিয়মিতই লতার উপর চলতো নির্মম নির্যাতন। গেল সোমবার সকালে মহব্বর যৌতুকের মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ডিজেল স্ত্রী লতার শরীরে ঢেলে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষণ্ড স্বামী মহব্বর আলী। এ সময় বাড়িয়ে থাকা পাশে থাকা মহব্বরের মা-বাবা এগিয়ে আসেনি। পরে স্থানীয়রা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

স্বজনদের অভিযোগ তিন সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে মহব্বত দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রায়ই নির্যাতন চালাতো । তার এমন কর্মকাণ্ডে কঠিন শাস্তির দাবি করেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

হাসপাতালে গৃহবধূ লতার চোখ দিয়ে কেবলই পানি ঝরছিল। তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে লতা জানায়, অনুমতি না নিয়ে ১২ বছর আগে বিয়ে হওয়া এক নারীকে বিয়ে করে আমার স্বামী। তারপর আমাকে যৌতুক ও তালাক দিতে নানা ভাবে নির্যাতন করে। শেষ পর্যায়ে এসে ডিজেল ঢেলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। তবে বেঁচে লাভ কি সন্তানদের কে দেখবে। আমার বাবা মায়ের কিছু নেই। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। যদি কারো দয়া হয় সহযোগিতা করবেন। আমি আমার স্বামী ও ওই নারীর বিচার চাই।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, শরীর পুড়ে যাওয়া নারীকে হাসপাতাল থেকে সকল সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। অর্থের অভাবে করাতে পারছে না।

এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক মুঠোফোনে জানান, যৌতুক ও দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথাকাটি হতো তাদের মধ্যে। মহব্বত এসব বিষয়ে প্রায় নির্যাতনও করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। শরীরে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় মহব্বত আলীসহ কয়েকজনের নামে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে স্বামী মহব্বত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিলেন স্বামী

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

যৌতুকের জন্য স্বামীর দেওয়া ডিজেলের আগুনে পুড়ে তিনদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন গৃহবধূ লতা বেগম (২৫)। তাঁর শরীরের প্রায় অর্ধেক অংশেই পুড়ে গেছে।  

চিকিৎসকরা বলেছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন দরিদ্র মা-বাবা।

তিন সন্তানের জননী দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ওই নারীর উন্নত চিকিৎসা আটকে আছে আর্থিক সংকটে। এ অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন লতা।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পাষণ্ড স্বামী মহব্বর আলী ওই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তবে শ্বশুর-শাশুড়ির সামনেই লতা বেগমের শরীরে ডিজেল ঢেলে দেয় মহব্বত আলী।

এগিয়ে আসেনি কেউ। এতে দগ্ধ হয়ে শরীরের বেশকিছু অঙ্গ পুড়ে যায়। এ ঘটনার পর মহব্বতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, আট বছর আগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মহব্বর আলীর সাথে বিয়ে হয় লতা বেগমের। এই দম্পতির এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। লতা বেগমকে না জানিয়ে চার মাস আগে মহব্বত আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

এরপর যৌতুক ও তালাকের জন্য নিয়মিতই লতার উপর চলতো নির্মম নির্যাতন। গেল সোমবার সকালে মহব্বর যৌতুকের মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ডিজেল স্ত্রী লতার শরীরে ঢেলে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষণ্ড স্বামী মহব্বর আলী। এ সময় বাড়িয়ে থাকা পাশে থাকা মহব্বরের মা-বাবা এগিয়ে আসেনি। পরে স্থানীয়রা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

স্বজনদের অভিযোগ তিন সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে মহব্বত দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রায়ই নির্যাতন চালাতো । তার এমন কর্মকাণ্ডে কঠিন শাস্তির দাবি করেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

হাসপাতালে গৃহবধূ লতার চোখ দিয়ে কেবলই পানি ঝরছিল। তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে লতা জানায়, অনুমতি না নিয়ে ১২ বছর আগে বিয়ে হওয়া এক নারীকে বিয়ে করে আমার স্বামী। তারপর আমাকে যৌতুক ও তালাক দিতে নানা ভাবে নির্যাতন করে। শেষ পর্যায়ে এসে ডিজেল ঢেলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। তবে বেঁচে লাভ কি সন্তানদের কে দেখবে। আমার বাবা মায়ের কিছু নেই। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। যদি কারো দয়া হয় সহযোগিতা করবেন। আমি আমার স্বামী ও ওই নারীর বিচার চাই।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, শরীর পুড়ে যাওয়া নারীকে হাসপাতাল থেকে সকল সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। অর্থের অভাবে করাতে পারছে না।

এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক মুঠোফোনে জানান, যৌতুক ও দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথাকাটি হতো তাদের মধ্যে। মহব্বত এসব বিষয়ে প্রায় নির্যাতনও করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। শরীরে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় মহব্বত আলীসহ কয়েকজনের নামে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে স্বামী মহব্বত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন দরিদ্র মা-বাবা।

তিন সন্তানের জননী দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ওই নারীর উন্নত চিকিৎসা আটকে আছে আর্থিক সংকটে। এ অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন লতা।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পাষণ্ড স্বামী মহব্বর আলী ওই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তবে শ্বশুর-শাশুড়ির সামনেই লতা বেগমের শরীরে ডিজেল ঢেলে দেয় মহব্বত আলী।

এগিয়ে আসেনি কেউ। এতে দগ্ধ হয়ে শরীরের বেশকিছু অঙ্গ পুড়ে যায়। এ ঘটনার পর মহব্বতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, আট বছর আগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকার বারোঘড়িয়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মহব্বর আলীর সাথে বিয়ে হয় লতা বেগমের। এই দম্পতির এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। লতা বেগমকে না জানিয়ে চার মাস আগে মহব্বত আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

এরপর যৌতুক ও তালাকের জন্য নিয়মিতই লতার উপর চলতো নির্মম নির্যাতন। গেল সোমবার সকালে মহব্বর যৌতুকের মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ডিজেল স্ত্রী লতার শরীরে ঢেলে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষণ্ড স্বামী মহব্বর আলী। এ সময় বাড়িয়ে থাকা পাশে থাকা মহব্বরের মা-বাবা এগিয়ে আসেনি। পরে স্থানীয়রা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

স্বজনদের অভিযোগ তিন সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে মহব্বত দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রায়ই নির্যাতন চালাতো । তার এমন কর্মকাণ্ডে কঠিন শাস্তির দাবি করেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

হাসপাতালে গৃহবধূ লতার চোখ দিয়ে কেবলই পানি ঝরছিল। তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে লতা জানায়, অনুমতি না নিয়ে ১২ বছর আগে বিয়ে হওয়া এক নারীকে বিয়ে করে আমার স্বামী। তারপর আমাকে যৌতুক ও তালাক দিতে নানা ভাবে নির্যাতন করে। শেষ পর্যায়ে এসে ডিজেল ঢেলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। তবে বেঁচে লাভ কি সন্তানদের কে দেখবে। আমার বাবা মায়ের কিছু নেই। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। যদি কারো দয়া হয় সহযোগিতা করবেন। আমি আমার স্বামী ও ওই নারীর বিচার চাই।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল আলম জানান, শরীর পুড়ে যাওয়া নারীকে হাসপাতাল থেকে সকল সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তবে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। অর্থের অভাবে করাতে পারছে না।

এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক মুঠোফোনে জানান, যৌতুক ও দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কথাকাটি হতো তাদের মধ্যে। মহব্বত এসব বিষয়ে প্রায় নির্যাতনও করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। শরীরে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় মহব্বত আলীসহ কয়েকজনের নামে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে স্বামী মহব্বত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।