শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৯ এপ্রিল !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:১৩:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মানহানির একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ব্যক্তিদের ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের এ মামলায় বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী তারিখ ৯ এপ্রিল ঠিক করেছেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ বার সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এত শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।

অন্যদিকে ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা (শহিদ বুদ্ধিজীবীরা) যদি বুদ্ধিমান হতেন তবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকলেন কেন?’

এসব বক্তব্য পর দিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উক্ত বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও শহিদ বৃদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা মানহানিহর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৯ এপ্রিল !

আপডেট সময় : ০৫:১৩:০৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মানহানির একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ব্যক্তিদের ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের এ মামলায় বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী তারিখ ৯ এপ্রিল ঠিক করেছেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ বার সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এত শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।

অন্যদিকে ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা (শহিদ বুদ্ধিজীবীরা) যদি বুদ্ধিমান হতেন তবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকলেন কেন?’

এসব বক্তব্য পর দিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উক্ত বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও শহিদ বৃদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা মানহানিহর।