শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ

বাংলাদেশের অগ্রগতি মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল নির্বাহী প্রকৌশলী মুহা. আলিউল হোসেন

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী-চাঁদপুর:
সরকারের সড়ক নির্মাণ কাজের পথিকৃত এবং সরকারী রাস্তা নির্মাণের ভরসাস্থল হচ্ছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তাই সরকারের অধিকাংশ সড়ক উন্নয়ন কাজই এ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। টেকসই আধুনিক নিরাপদ ও গতিশীল সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে সওজ। উন্নয়ন ও গণমুখী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ, আর তা নিশ্চিত করে চলছে সড়ক জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। সম্প্রতি সময়ে এর বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট এবং নান্দনিক সেতু নির্মাণ করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি করছে নানান স্থাপনা, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন গোটা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে নতুন সড়কসমূহ নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষণ করেছে সড়ক বিভাগ। যার কারণে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

চাঁদপুর সড়ক বিভাগের আওতায় নানামুূখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। সড়ক সংস্কার, চলমান প্রকল্প গুণগতমান বজায় রেখে বাস্তবায়ন এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলমান সড়ক উন্নয়নের ফলে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে জেলার দৃশ্যপট। জেলার ৮টি উপজেলায় সড়ক সংস্কার, প্রশস্তকরন ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ হতে চলছে। এর ফলে রাজধানী ঢাকাসহ জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হতে চলছে। প্রশস্ত সড়কে অনায়াসে চলাচল করছে চাঁদপুরবাসী। দ্রুততার সাথে খুব অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌছাচ্ছে। জেলার গুরুত্বপূর্র্ণ সড়কের মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে সিগনালবাতিও।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহীন হোসেন জানান, চাঁদপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে বরদিয়া সেতু, ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা পেয়ে হাজিগঞ্জ রামগঞ্জ সড়ক এর কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গৌরীপুর-কচুয়া- হাজীগঞ্জ সড়ক, বাবুরহাট মতলব চেন্নাই সড়কের শহর অঞ্চল মেরামত। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাঙ্গারপাড়া- এনায়েত নগর সড়ক এর কাজ চলমান এবং ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা- লালমাই- চাঁদপুর- লক্ষীপুর ও রামগঞ্জ সড়ক এবং ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মতলব মেঘনা ধনাগদা বেড়িবাধ সড়কের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় সড়ক বিভাগ (সওজ) চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহা. আলিউল হোসেন এর সাথে। তিনি বলেন, আমরা মহাসড়ক মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে টেকসই, নিরাপদ ও মানসম্মত মহাসড়ক অবকাঠামো এবং সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সর্বপ্রথম যে বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন।

তিনি বলেন, দেশে জাতীয় সড়ক ও মহাসড়কগুলো বর্তমানে ৪ লেন থেকে শুরু করে ৬ লেনের সড়কে উন্নীত হয়েছে। আমরা সড়ক মহাসড়ক ও অবকাঠামো নির্মানে আন্তর্জাতিক মানের সক্ষমতা অর্জন করেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদেশের অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টেকনোলজি ট্রান্সফারের কারণে আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমাদের দেশের ঠিকাদারগণও পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি ইকুইপমেন্টসমৃদ্ধ হয়েছে। টেকনোলোজি ট্রান্সফারের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বমানের যে কোনো সড়ক মহাসড়ক ও বড় বড় অবকাঠামো সেতু, কালভার্ট নির্মাণ করতে সক্ষম। বাংলাদেশের অগ্রগতি মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। চাঁদপুর সড়ক বিভাগের সড়ক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি সড়কে ট্রাফিক সাইন রোড মার্কিং জেব্রা ক্রসিং ও স্পীড ব্রেকার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ও তার অধীনস্থ সমস্ত বিভাগ ও সার্কেল এখন প্রতিটি কাজের সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেমন সক্ষমতা অর্জন করেছে তেমনি যোগাযোগ ও অবকাঠামো নির্মাণে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এ অর্জনে সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সওজ অধিদপ্তরের প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিরলসভাবে দেশগঠনে ভূমিকা রেখে চলছে। এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সড়ক অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান স্যারের ঐকান্তিক চেষ্টা ও আন্তরিকতায় সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন রাখার রক্ষণাবেক্ষণ করছে।

প্রসঙ্গত: ২০২৪ সালের ৭ মার্চ চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহা. আলিউল হোসেন যোগদানের পর থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে চাঁদপুরকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রেখে সড়ক বিভাগের কাজের গুণগত মান সঠিক রাখার স্বার্থে কাজ করছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ

আপডেট সময় : ০৬:১২:০৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের অগ্রগতি মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল নির্বাহী প্রকৌশলী মুহা. আলিউল হোসেন

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী-চাঁদপুর:
সরকারের সড়ক নির্মাণ কাজের পথিকৃত এবং সরকারী রাস্তা নির্মাণের ভরসাস্থল হচ্ছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তাই সরকারের অধিকাংশ সড়ক উন্নয়ন কাজই এ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। টেকসই আধুনিক নিরাপদ ও গতিশীল সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে সওজ। উন্নয়ন ও গণমুখী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ, আর তা নিশ্চিত করে চলছে সড়ক জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। সম্প্রতি সময়ে এর বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট এবং নান্দনিক সেতু নির্মাণ করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি করছে নানান স্থাপনা, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন গোটা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে নতুন সড়কসমূহ নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষণ করেছে সড়ক বিভাগ। যার কারণে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

চাঁদপুর সড়ক বিভাগের আওতায় নানামুূখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। সড়ক সংস্কার, চলমান প্রকল্প গুণগতমান বজায় রেখে বাস্তবায়ন এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলমান সড়ক উন্নয়নের ফলে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে জেলার দৃশ্যপট। জেলার ৮টি উপজেলায় সড়ক সংস্কার, প্রশস্তকরন ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ হতে চলছে। এর ফলে রাজধানী ঢাকাসহ জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হতে চলছে। প্রশস্ত সড়কে অনায়াসে চলাচল করছে চাঁদপুরবাসী। দ্রুততার সাথে খুব অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌছাচ্ছে। জেলার গুরুত্বপূর্র্ণ সড়কের মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে সিগনালবাতিও।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহীন হোসেন জানান, চাঁদপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যায়ে বরদিয়া সেতু, ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা পেয়ে হাজিগঞ্জ রামগঞ্জ সড়ক এর কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গৌরীপুর-কচুয়া- হাজীগঞ্জ সড়ক, বাবুরহাট মতলব চেন্নাই সড়কের শহর অঞ্চল মেরামত। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাঙ্গারপাড়া- এনায়েত নগর সড়ক এর কাজ চলমান এবং ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা- লালমাই- চাঁদপুর- লক্ষীপুর ও রামগঞ্জ সড়ক এবং ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মতলব মেঘনা ধনাগদা বেড়িবাধ সড়কের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় সড়ক বিভাগ (সওজ) চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহা. আলিউল হোসেন এর সাথে। তিনি বলেন, আমরা মহাসড়ক মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে টেকসই, নিরাপদ ও মানসম্মত মহাসড়ক অবকাঠামো এবং সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সর্বপ্রথম যে বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন।

তিনি বলেন, দেশে জাতীয় সড়ক ও মহাসড়কগুলো বর্তমানে ৪ লেন থেকে শুরু করে ৬ লেনের সড়কে উন্নীত হয়েছে। আমরা সড়ক মহাসড়ক ও অবকাঠামো নির্মানে আন্তর্জাতিক মানের সক্ষমতা অর্জন করেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদেশের অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টেকনোলজি ট্রান্সফারের কারণে আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমাদের দেশের ঠিকাদারগণও পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি ইকুইপমেন্টসমৃদ্ধ হয়েছে। টেকনোলোজি ট্রান্সফারের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বমানের যে কোনো সড়ক মহাসড়ক ও বড় বড় অবকাঠামো সেতু, কালভার্ট নির্মাণ করতে সক্ষম। বাংলাদেশের অগ্রগতি মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। চাঁদপুর সড়ক বিভাগের সড়ক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি সড়কে ট্রাফিক সাইন রোড মার্কিং জেব্রা ক্রসিং ও স্পীড ব্রেকার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ও তার অধীনস্থ সমস্ত বিভাগ ও সার্কেল এখন প্রতিটি কাজের সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেমন সক্ষমতা অর্জন করেছে তেমনি যোগাযোগ ও অবকাঠামো নির্মাণে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এ অর্জনে সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সওজ অধিদপ্তরের প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিরলসভাবে দেশগঠনে ভূমিকা রেখে চলছে। এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সড়ক অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান স্যারের ঐকান্তিক চেষ্টা ও আন্তরিকতায় সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন রাখার রক্ষণাবেক্ষণ করছে।

প্রসঙ্গত: ২০২৪ সালের ৭ মার্চ চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহা. আলিউল হোসেন যোগদানের পর থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে চাঁদপুরকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রেখে সড়ক বিভাগের কাজের গুণগত মান সঠিক রাখার স্বার্থে কাজ করছেন।