সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

পানির অভাবে ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৩১ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্ট ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহে পানির অভাবে উচু জমির ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির। ধান গাছের গোড়ায় পানি না থাকায় পোকা মকড়ের উপদ্রুপ বেড়ে যাচ্ছে। সেচ আর কীটনাশক খরচ মেটাতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় আমন আবাদ হয়েছে এক লাখ তিন হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ চার হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার বাকি জমিতে পাট থাকার কারণে আবাদে দেরি হচ্ছে বলে জানায় জেলা কৃষি বিভাগ।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে ফসলের জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এতে অনেক জমির ধান মরে যাচ্ছে। অনেক কৃষক ধান বাঁচাতে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। আর প্রতিবার সেচ দিতে বিঘাপ্রতি গুনতে হচ্ছে এক হাজার টাকা।

উদয়পুর গ্রামের কৃষক আকাশ বলেন, পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির। ধান লাগানো প্রায় এক মাস হয়ে গেছে, এখনো কোনো উন্নতি নেই। আর জমিতে দেওয়ার জন্য সার তো পাওয়াই যাচ্ছে না। বাজারে সার আনতে গেলে বলছে সার নেই, আবার বেশি টাকা দিলে সার পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সাত বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। এখন সব ধান মরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ধানের জমি চাষ দিয়ে অন্য আবাদ করি। হলিধানীর কৃষক আলম বলেন, ধান লাগানোর পরে পানির অভাবে সার দিতে পারিনি। ধানের জমি সব ফেটে গেছে। আর বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে ধানের আবাদ করলে তেমন লাভ হবে না। তারপরও বাধ্য হয়ে আমরা পানি সেচ দিচ্ছি।

বংকিরা গ্রামের কৃষক বাবুল বিশ্বাস জানান, এবছর উৎপাদক খরচ বেশি হবে। ধান চাষ করে দেনা দিতে দিতে কৃষক ফতুর হবে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল করিম বলেন, ঝিনাইদহে আমন ধান রোপণ প্রায় শেষ। এবছর আবহাওয়ার পরিবর্তন দৃশ্যমান। আষাঢ়-শ্রাবণ চলে গিয়ে ভাদ্র মাস চলছে, কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই।

তিনি বলেন, কৃষকদের জমি ফেটে যাচ্ছে। তারা মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছে। সেচের সঙ্গে বৃষ্টির খুব প্রয়োজন। বৃষ্টি পেলে ধানের আবাদ ভালো হবে। তারপরও সেচের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব কি ভাবে ধান উৎপাদন এগিয়ে নেওয়া যায়, সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে আষাড় গেলো বৃষ্টিহীনতায়। চলে গেছে শ্রাবনও। বৃষ্টির দেখা মেলেনি ভাদ্র মাসের অর্ধেকেও। তীব্র খরা আর ভ্যাপসা গরমে মানুষের ত্রাহি দশা। তপ্ত রোদে ফেটে চৌচির হচ্ছে আমনের ক্ষেত।

বৃষ্টির দেখা মেলেনি বর্ষা ঋতুর আড়াই মাসেও। মাঠের পর মাঠ জুড়ে চলছে সেচযন্ত্র। তারপরও কৃসকের স্বস্তি নেই। সেচ দেওয়া পানিও জমিতে বেশিক্ষণ থাকছে না। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

পানির অভাবে ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা

আপডেট সময় : ১১:৫৬:১৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

রিপোর্ট ঝিনাইদহ-

ঝিনাইদহে পানির অভাবে উচু জমির ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির। ধান গাছের গোড়ায় পানি না থাকায় পোকা মকড়ের উপদ্রুপ বেড়ে যাচ্ছে। সেচ আর কীটনাশক খরচ মেটাতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় আমন আবাদ হয়েছে এক লাখ তিন হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ চার হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার বাকি জমিতে পাট থাকার কারণে আবাদে দেরি হচ্ছে বলে জানায় জেলা কৃষি বিভাগ।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে ফসলের জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এতে অনেক জমির ধান মরে যাচ্ছে। অনেক কৃষক ধান বাঁচাতে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। আর প্রতিবার সেচ দিতে বিঘাপ্রতি গুনতে হচ্ছে এক হাজার টাকা।

উদয়পুর গ্রামের কৃষক আকাশ বলেন, পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির। ধান লাগানো প্রায় এক মাস হয়ে গেছে, এখনো কোনো উন্নতি নেই। আর জমিতে দেওয়ার জন্য সার তো পাওয়াই যাচ্ছে না। বাজারে সার আনতে গেলে বলছে সার নেই, আবার বেশি টাকা দিলে সার পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সাত বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। এখন সব ধান মরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ধানের জমি চাষ দিয়ে অন্য আবাদ করি। হলিধানীর কৃষক আলম বলেন, ধান লাগানোর পরে পানির অভাবে সার দিতে পারিনি। ধানের জমি সব ফেটে গেছে। আর বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে ধানের আবাদ করলে তেমন লাভ হবে না। তারপরও বাধ্য হয়ে আমরা পানি সেচ দিচ্ছি।

বংকিরা গ্রামের কৃষক বাবুল বিশ্বাস জানান, এবছর উৎপাদক খরচ বেশি হবে। ধান চাষ করে দেনা দিতে দিতে কৃষক ফতুর হবে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল করিম বলেন, ঝিনাইদহে আমন ধান রোপণ প্রায় শেষ। এবছর আবহাওয়ার পরিবর্তন দৃশ্যমান। আষাঢ়-শ্রাবণ চলে গিয়ে ভাদ্র মাস চলছে, কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই।

তিনি বলেন, কৃষকদের জমি ফেটে যাচ্ছে। তারা মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছে। সেচের সঙ্গে বৃষ্টির খুব প্রয়োজন। বৃষ্টি পেলে ধানের আবাদ ভালো হবে। তারপরও সেচের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব কি ভাবে ধান উৎপাদন এগিয়ে নেওয়া যায়, সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে আষাড় গেলো বৃষ্টিহীনতায়। চলে গেছে শ্রাবনও। বৃষ্টির দেখা মেলেনি ভাদ্র মাসের অর্ধেকেও। তীব্র খরা আর ভ্যাপসা গরমে মানুষের ত্রাহি দশা। তপ্ত রোদে ফেটে চৌচির হচ্ছে আমনের ক্ষেত।

বৃষ্টির দেখা মেলেনি বর্ষা ঋতুর আড়াই মাসেও। মাঠের পর মাঠ জুড়ে চলছে সেচযন্ত্র। তারপরও কৃসকের স্বস্তি নেই। সেচ দেওয়া পানিও জমিতে বেশিক্ষণ থাকছে না। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।