বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া

অর্থনীতির স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দিল এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:১০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২
  • ৮৩৮ বার পড়া হয়েছে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি বহিস্থ খাতের চাপে থাকলেও আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে বলে মনে করে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, বহিস্থ খাতের চাপ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ স্থিতিশীল।

এই বাস্তবতায় এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস বাংলাদেশের ঋণমান নির্ণয় করেছে। দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ঋণমান নির্ণয় করা হয়েছে বিবি মাইনাস এবং স্বল্প মেয়াদের জন্য বি। ২০২১ সালেও তারা একই পূর্বাভাস দিয়েছিল।

তারা বলেছে, বহিস্থ খাতের চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের চলতি হিসাব ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নিট বহিস্থ ঋণ পরিস্থিতি দুর্বল হয়েছে। আরও দীর্ঘ সময় সময় যদি পণ্য মূল্য বাড়তি থাকে এবং আমদানির চাহিদা বাড়তি থাকে, তাহলে টাকার আরও অবমূল্যায়ন হতে পারে। এতে অর্থনীতির বহিস্থ খাতের আরও অবনতি হতে পারে।

এসঅ্যান্ডপি আশা করছে, বাংলাদেশ আগামী ১২ মাসের মধ্যে অর্থনীতির বহিস্থ খাতে চাপ ও চ্যালেঞ্জ সামলে নেবে। তবে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ও আর্থিক খাতের পরিস্থিতির অবনতি হলে এসঅ্যান্ডপি ঋণমান হ্রাস পারে। যেমন বিদেশি ঋণ যদি চলতি হিসাবে যত অর্থ আসবে তার চেয়ে বেশি হয়ে যায় বা বিদেশি অর্থায়নের চাহিদা যদি দীর্ঘ মেয়াদে চলতি হিসাবে প্রাপ্য অর্থ ও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তাহলে ঋণমান হ্রাস করা হবে বলে সতর্ক করেছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস।

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদনে। পূর্বাভাস, আগামী তিন বছর বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারের মতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসায় শ্রম বাজারে গতি সঞ্চার হয়েছে এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের পালে হাওয়া লেগেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ। তবে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতি ধারাবাহিকভাবে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এসঅ্যান্ডপি। তবে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে তারা উল্লেখ করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ

অর্থনীতির স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দিল এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল

আপডেট সময় : ১১:৪৭:১০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি বহিস্থ খাতের চাপে থাকলেও আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে বলে মনে করে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, বহিস্থ খাতের চাপ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ স্থিতিশীল।

এই বাস্তবতায় এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস বাংলাদেশের ঋণমান নির্ণয় করেছে। দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ঋণমান নির্ণয় করা হয়েছে বিবি মাইনাস এবং স্বল্প মেয়াদের জন্য বি। ২০২১ সালেও তারা একই পূর্বাভাস দিয়েছিল।

তারা বলেছে, বহিস্থ খাতের চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের চলতি হিসাব ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নিট বহিস্থ ঋণ পরিস্থিতি দুর্বল হয়েছে। আরও দীর্ঘ সময় সময় যদি পণ্য মূল্য বাড়তি থাকে এবং আমদানির চাহিদা বাড়তি থাকে, তাহলে টাকার আরও অবমূল্যায়ন হতে পারে। এতে অর্থনীতির বহিস্থ খাতের আরও অবনতি হতে পারে।

এসঅ্যান্ডপি আশা করছে, বাংলাদেশ আগামী ১২ মাসের মধ্যে অর্থনীতির বহিস্থ খাতে চাপ ও চ্যালেঞ্জ সামলে নেবে। তবে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ও আর্থিক খাতের পরিস্থিতির অবনতি হলে এসঅ্যান্ডপি ঋণমান হ্রাস পারে। যেমন বিদেশি ঋণ যদি চলতি হিসাবে যত অর্থ আসবে তার চেয়ে বেশি হয়ে যায় বা বিদেশি অর্থায়নের চাহিদা যদি দীর্ঘ মেয়াদে চলতি হিসাবে প্রাপ্য অর্থ ও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তাহলে ঋণমান হ্রাস করা হবে বলে সতর্ক করেছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস।

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদনে। পূর্বাভাস, আগামী তিন বছর বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারের মতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসায় শ্রম বাজারে গতি সঞ্চার হয়েছে এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের পালে হাওয়া লেগেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ। তবে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতি ধারাবাহিকভাবে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এসঅ্যান্ডপি। তবে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে তারা উল্লেখ করেছে।