শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অর্থনীতির স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দিল এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:১০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২
  • ৮২৫ বার পড়া হয়েছে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি বহিস্থ খাতের চাপে থাকলেও আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে বলে মনে করে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, বহিস্থ খাতের চাপ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ স্থিতিশীল।

এই বাস্তবতায় এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস বাংলাদেশের ঋণমান নির্ণয় করেছে। দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ঋণমান নির্ণয় করা হয়েছে বিবি মাইনাস এবং স্বল্প মেয়াদের জন্য বি। ২০২১ সালেও তারা একই পূর্বাভাস দিয়েছিল।

তারা বলেছে, বহিস্থ খাতের চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের চলতি হিসাব ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নিট বহিস্থ ঋণ পরিস্থিতি দুর্বল হয়েছে। আরও দীর্ঘ সময় সময় যদি পণ্য মূল্য বাড়তি থাকে এবং আমদানির চাহিদা বাড়তি থাকে, তাহলে টাকার আরও অবমূল্যায়ন হতে পারে। এতে অর্থনীতির বহিস্থ খাতের আরও অবনতি হতে পারে।

এসঅ্যান্ডপি আশা করছে, বাংলাদেশ আগামী ১২ মাসের মধ্যে অর্থনীতির বহিস্থ খাতে চাপ ও চ্যালেঞ্জ সামলে নেবে। তবে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ও আর্থিক খাতের পরিস্থিতির অবনতি হলে এসঅ্যান্ডপি ঋণমান হ্রাস পারে। যেমন বিদেশি ঋণ যদি চলতি হিসাবে যত অর্থ আসবে তার চেয়ে বেশি হয়ে যায় বা বিদেশি অর্থায়নের চাহিদা যদি দীর্ঘ মেয়াদে চলতি হিসাবে প্রাপ্য অর্থ ও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তাহলে ঋণমান হ্রাস করা হবে বলে সতর্ক করেছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস।

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদনে। পূর্বাভাস, আগামী তিন বছর বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারের মতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসায় শ্রম বাজারে গতি সঞ্চার হয়েছে এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের পালে হাওয়া লেগেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ। তবে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতি ধারাবাহিকভাবে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এসঅ্যান্ডপি। তবে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে তারা উল্লেখ করেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে

অর্থনীতির স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দিল এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল

আপডেট সময় : ১১:৪৭:১০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট ২০২২

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি বহিস্থ খাতের চাপে থাকলেও আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে বলে মনে করে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, বহিস্থ খাতের চাপ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ স্থিতিশীল।

এই বাস্তবতায় এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস বাংলাদেশের ঋণমান নির্ণয় করেছে। দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ঋণমান নির্ণয় করা হয়েছে বিবি মাইনাস এবং স্বল্প মেয়াদের জন্য বি। ২০২১ সালেও তারা একই পূর্বাভাস দিয়েছিল।

তারা বলেছে, বহিস্থ খাতের চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের চলতি হিসাব ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নিট বহিস্থ ঋণ পরিস্থিতি দুর্বল হয়েছে। আরও দীর্ঘ সময় সময় যদি পণ্য মূল্য বাড়তি থাকে এবং আমদানির চাহিদা বাড়তি থাকে, তাহলে টাকার আরও অবমূল্যায়ন হতে পারে। এতে অর্থনীতির বহিস্থ খাতের আরও অবনতি হতে পারে।

এসঅ্যান্ডপি আশা করছে, বাংলাদেশ আগামী ১২ মাসের মধ্যে অর্থনীতির বহিস্থ খাতে চাপ ও চ্যালেঞ্জ সামলে নেবে। তবে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ও আর্থিক খাতের পরিস্থিতির অবনতি হলে এসঅ্যান্ডপি ঋণমান হ্রাস পারে। যেমন বিদেশি ঋণ যদি চলতি হিসাবে যত অর্থ আসবে তার চেয়ে বেশি হয়ে যায় বা বিদেশি অর্থায়নের চাহিদা যদি দীর্ঘ মেয়াদে চলতি হিসাবে প্রাপ্য অর্থ ও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তাহলে ঋণমান হ্রাস করা হবে বলে সতর্ক করেছে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস।

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদনে। পূর্বাভাস, আগামী তিন বছর বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারের মতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসায় শ্রম বাজারে গতি সঞ্চার হয়েছে এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের পালে হাওয়া লেগেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশ। তবে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের রাজস্ব ঘাটতি ধারাবাহিকভাবে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এসঅ্যান্ডপি। তবে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে তারা উল্লেখ করেছে।