বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ৫ম, ২০১৯ সালে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:০১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২
  • ৮৪৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর কারণে ২০১৯ সালে রাজধানীতে ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি সংগঠন—হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট ও ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের ‘এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন সিটিস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি আজ বুধবার প্রকাশের কথা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে বার্ষিক গড় সূক্ষ্ম বস্তুকণার (পিএম২.৫) উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম আর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের (এনও২) উপস্থিতি ২৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম।

সূক্ষ্ম বস্তুকণা হলো বাতাসে ভেসে থাকা সব কঠিন ও তরল কণার সমষ্টি, যার অনেকই স্বাস্থ্যের বিপজ্জনক। এ জটিল মিশ্রণে জৈব ও অজৈব উভয় কণা অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেমন—ধুলাবালু, পোলেন, ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট কালো গুঁড়া, ধোঁয়া ও তরল ড্রপলেট।

নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মতো বায়ুদূষণ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং আবাসিকে রান্না ও কিছু গরম করার জন্য প্রায়শই পোড়ানো জ্বালানি থেকে সৃষ্টি হয়। যেহেতু শহরের বাসিন্দারা প্রচুর যানবাহন চলে এমন ব্যস্ত সড়কের কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন, তাই তারা প্রায়শই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের তুলনায় অধিকহারে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের দূষণের শিকার হন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বায়ুমান নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতি ঘনমিটারে বার্ষিক পিএম২.৫ উপস্থিতি ৫ মাইক্রোগ্রাম আর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ১০ মাইক্রোগ্রাম সহনীয় মাত্রা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় শহর ও শহর এলাকাগুলোয় বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ। এতে সাত হাজারেরও বেশি শহরের বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব পর্যালোচনা করা হয়েছে।

২০১০-১৯ সালের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এতে বলা হয়, বায়ুদূষণের প্রধান দুটি উপাদানের সংস্পর্শে আসার বৈশ্বিক ধরনটি একেবারেই ভিন্ন। পিএম ২.৫–এর সংস্পর্শে আসার প্রবণতা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শহরে বেশি। অন্যদিকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি উচ্চ আয়ের দেশগুলোর শহরেও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের সংস্পর্শে আসে লোকজন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ৭ হাজার শহরের মধ্যে ৮৬ শতাংশ শহরেই ডব্লিউএইচওর বেঁধে দেওয়া প্রতি ঘনমিটারে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ১০ মাইক্রোগ্রামের সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এতে ২৬০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন।

জীবাশ্ম জ্বালানি ও কাঠ পোড়ানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া, ইটভাটা ও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের শহরগুলোর খারাপ বায়ুমান প্রায়শই বৈশ্বিক শিরোনাম হয়। বাংলাদেশে শুধু ঢাকার বাসিন্দারাই নয়, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীসহ অন্যান্য শহরের বাসিন্দারাও বায়ুদূষণের শিকার। ডব্লিউএইচওর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বায়ুদূষণে বিশ্বে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ৫ম, ২০১৯ সালে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:০১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২

বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর কারণে ২০১৯ সালে রাজধানীতে ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি সংগঠন—হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট ও ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের ‘এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন সিটিস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি আজ বুধবার প্রকাশের কথা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে বার্ষিক গড় সূক্ষ্ম বস্তুকণার (পিএম২.৫) উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম আর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের (এনও২) উপস্থিতি ২৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম।

সূক্ষ্ম বস্তুকণা হলো বাতাসে ভেসে থাকা সব কঠিন ও তরল কণার সমষ্টি, যার অনেকই স্বাস্থ্যের বিপজ্জনক। এ জটিল মিশ্রণে জৈব ও অজৈব উভয় কণা অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেমন—ধুলাবালু, পোলেন, ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট কালো গুঁড়া, ধোঁয়া ও তরল ড্রপলেট।

নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মতো বায়ুদূষণ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং আবাসিকে রান্না ও কিছু গরম করার জন্য প্রায়শই পোড়ানো জ্বালানি থেকে সৃষ্টি হয়। যেহেতু শহরের বাসিন্দারা প্রচুর যানবাহন চলে এমন ব্যস্ত সড়কের কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন, তাই তারা প্রায়শই গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের তুলনায় অধিকহারে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের দূষণের শিকার হন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বায়ুমান নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতি ঘনমিটারে বার্ষিক পিএম২.৫ উপস্থিতি ৫ মাইক্রোগ্রাম আর নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ১০ মাইক্রোগ্রাম সহনীয় মাত্রা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় শহর ও শহর এলাকাগুলোয় বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ। এতে সাত হাজারেরও বেশি শহরের বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব পর্যালোচনা করা হয়েছে।

২০১০-১৯ সালের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এতে বলা হয়, বায়ুদূষণের প্রধান দুটি উপাদানের সংস্পর্শে আসার বৈশ্বিক ধরনটি একেবারেই ভিন্ন। পিএম ২.৫–এর সংস্পর্শে আসার প্রবণতা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শহরে বেশি। অন্যদিকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি উচ্চ আয়ের দেশগুলোর শহরেও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের সংস্পর্শে আসে লোকজন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ৭ হাজার শহরের মধ্যে ৮৬ শতাংশ শহরেই ডব্লিউএইচওর বেঁধে দেওয়া প্রতি ঘনমিটারে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ১০ মাইক্রোগ্রামের সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এতে ২৬০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন।

জীবাশ্ম জ্বালানি ও কাঠ পোড়ানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া, ইটভাটা ও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের শহরগুলোর খারাপ বায়ুমান প্রায়শই বৈশ্বিক শিরোনাম হয়। বাংলাদেশে শুধু ঢাকার বাসিন্দারাই নয়, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীসহ অন্যান্য শহরের বাসিন্দারাও বায়ুদূষণের শিকার। ডব্লিউএইচওর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বায়ুদূষণে বিশ্বে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।