নিউজ ডেস্ক:র্যাব পুলিশ সেজে ছিনতাই ডাকাতির ঘটনা বাড়ায় উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী । গায়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জ্যাকেট। কোমরে পিস্তল ও ওয়াকিটকি আর হাতে হাতকড়া। আসলে সবই ভুয়া। শুধু ছিনতাই বা ডাকাতি নয়, এ দলগুলো সব ছিনিয়ে নেয়ার পর হত্যা করছে ভুক্তভোগীদের। সম্প্রতি এমন একটি দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী দলকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, র্যাব লেখা জ্যাকেট পড়া দুজন লোক একটি বাসে উঠলো। এরপর জোর করে বাস থেকে একজনকে বের করে দিনে দুপুরে সবার সামনেই তাকে সাদা গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে। এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গী আরো দুই একজনের সহায়তায় তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেলো।
রাজধানীসহ দেশে প্রতিনিয়ত এভাবেই র্যাব পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অপহরণ করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে করা হয় ভয়াবহ নির্যাতন।রাশেদ প্রাণে ফিরলেও গত মাসে মিরপুরে একই ধরনের ঘটনায় জীবন দিতে হয়েছে সুলতান আহমেদ নামের একজনকে। ঘটনায় জড়িতরা নিজেরাই বর্ণনা করেছেন, কিভাবে এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় সুলতানকে।
ভুয়া র্যাব পরিচয়ে ছিনতাইকারী দল তথ্যদাতা বলেন, আমরা অনুসরণ করে পিছনে পিছনে গিয়ে পরে ফোনে বলে দিতাম অমুককে উঠাতে হবে। আরেকজন বলেন, র্যাব পরিচয়ে উঠিয়ে নেই।সুলতান অপহরণে যুক্ত আরো একজন বলেন, সুলতানকে গাড়িতে উঠিয়ে ঠান্ডা করতে চাইলেও কিছুতেই পারছিলাম না। পরে মনির বললো গামছা পেঁচিয়ে ধরতে।আরো একজন বলেন, ফরহাদ দেখে লোকটা মারা গেছে। আমি এরমধ্যে গারি ব্রেক করতেই ওরা গাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
র্যাব পুলিশ পরিচয়ে চুরি ছিনতাইয়ে রাজধানীতে এধরনের প্রায় ২০০ টিম সক্রিয় রয়েছে বলে স্বীকার করে তারা।এরই মধ্যে সুলতান হত্যায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারে নেতৃত্বে দেয়া কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি টিম দুটি ভাগে কাজ করে থাকে।গোয়েন্দা বিভাগ উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, রাস্তায় প্রকাশ্যে মানুষ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ বা র্যাবের পরিচয়ে এই কাজ করে আসছে।বারবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক গলিয়ে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা বের হয়ে যায় বলে মর্মান্তিক এসব ঘটনা কমছে না বলে মনে করেন তিনি।