শিরোনাম :
Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের স্পে-নিউটার ও টিকাদান কার্যক্রম শুরু! Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযানে ছয় লাখ টাকার মালামাল জব্দ! Logo চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পাশে অবস্থিত “হ্যাচ ফ্যাচ” নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে দরজা ভেঙে আশীক (২১) নামের এক বাবুর্চির লাশ উদ্ধার Logo আলোচিত তিন বস্তা টাকা জমানো ভিক্ষুক আর নেই! Logo ‘সাংবাদিকদের টাকা-মোবাইল দেয় শিক্ষকরা’ কুবি উপাচার্যের এমন মন্তব্যে শিক্ষকদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া Logo সিরাজগঞ্জে পিকআপ ভ্যান উল্টে ১ জন নিহত Logo ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর পাশে চাঁদপুর তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ Logo ইবিতে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিলভার জুবিলী উদযাপন Logo খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ট্যুর: মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা Logo প্রেরণার আলো ছড়ালো ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

মহেশপুরের পর এবার হরিণাকুন্ডু শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে অপারেশনের পর প্রসুতির মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০১:৩০:১১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০২০
  • ৭৭২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুরের পর এবার হরিণাকুন্ডু শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে শনিবার সকালে রোজিনা খাতুন (২০) নামে এক প্রসুতি অপারেশনের পর মৃত্যু বরণ করেছে। তবে তার যোমজ দুই সন্তান বেঁচে আছে। ঘটনা ধামাচাপা দিকে করোনা উপসর্গ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। মৃত গৃহবধু একই উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের শিলনের স্ত্রী। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রোজিনা খাতুন জ্বর নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের শামিমা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জটিলতা থাকায় ডাঃ শামিমা অপারেশনের ঝুকি না নিয়ে রোগী ফিরিয়ে দেন।

এরপর রোজিনা ভর্তি হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। স্বজনরা শুক্রবার সকাল ৭টায় হরিণাকুন্ডু শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে ভর্তি করেন রোজিনাকে। সেখানে ভর্তির পর ডাঃ জামিনুুর রশিদ ও ডাঃ আহসান হাবিব অপারেশন করেন। অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে রোজিনার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্বামী শিলন মিয়া। তবে ডাঃ জামিনুুর রশিদ জানান, রোজিনার করোনা উপসর্গ ছিল।

ছিল প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট। অন্যদিকে তার ডেলিভারির সময়ও হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তাকে অপারেশন করে দুর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও হাটে বাজারে গজিয়ে ওঠা ক্লিনিকগুলোতে সেবার কোন মান নেই। অহরহ সেখানে অপচিকিৎসায় মানুষ মারা গেলেও সিভিল সার্জন অফিস কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে না। তারা লোক দেখানো তদন্ত করেই দায়িত্ব শেষ করেন। হরিণাকুন্ডুর ভাই ভাই ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই। চিকিৎসার পরিবেশ ভাল না।

মহেশপুরের নেপার মোড়ের দুই ক্লিনিকে দুই প্রসুতি মারা গেছে। তাদেরও লাইসেন্স নবায়ন নেই। ক্লিনিকগুলিতে সর্বক্ষন কোন চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত র্নাস নেই। তারপরও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় অর্থের বিনিময়ে এদের নতুন লাইসেন্স ও পুরানো লাইসেন্স নবায়ন করে থাকে।

অভিযোগ উঠেছে সিভিল সার্জন অফিসের নওশের আলী, নজরুল ইসলাম, ইসরাইল হোসেন ও নজরুল ইসলাম (২) ক্লিনিকের এই ফাইলগুলো দেখভাল করেন। তারাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বছরের পর বছর মানহীন এ সব ক্লিনিক বহাল রাখার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, আমরা মাতৃ মৃত্যু কোন ভাবেই সহ্য করবো না। হরিণাকুন্ডু ভাই ভাই ক্লিনিকে মৃত্যুর ব্যাপারে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তিনি বলেন, আগামী ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত এ সব ক্লিনিকের শেষ সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা শর্ত পুরণ করতে না পারলে সবগুলো বন্ধ করে দেব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের স্পে-নিউটার ও টিকাদান কার্যক্রম শুরু!

মহেশপুরের পর এবার হরিণাকুন্ডু শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে অপারেশনের পর প্রসুতির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৩০:১১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুরের পর এবার হরিণাকুন্ডু শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে শনিবার সকালে রোজিনা খাতুন (২০) নামে এক প্রসুতি অপারেশনের পর মৃত্যু বরণ করেছে। তবে তার যোমজ দুই সন্তান বেঁচে আছে। ঘটনা ধামাচাপা দিকে করোনা উপসর্গ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। মৃত গৃহবধু একই উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের শিলনের স্ত্রী। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রোজিনা খাতুন জ্বর নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের শামিমা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জটিলতা থাকায় ডাঃ শামিমা অপারেশনের ঝুকি না নিয়ে রোগী ফিরিয়ে দেন।

এরপর রোজিনা ভর্তি হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। স্বজনরা শুক্রবার সকাল ৭টায় হরিণাকুন্ডু শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে ভর্তি করেন রোজিনাকে। সেখানে ভর্তির পর ডাঃ জামিনুুর রশিদ ও ডাঃ আহসান হাবিব অপারেশন করেন। অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে রোজিনার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্বামী শিলন মিয়া। তবে ডাঃ জামিনুুর রশিদ জানান, রোজিনার করোনা উপসর্গ ছিল।

ছিল প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট। অন্যদিকে তার ডেলিভারির সময়ও হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তাকে অপারেশন করে দুর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও হাটে বাজারে গজিয়ে ওঠা ক্লিনিকগুলোতে সেবার কোন মান নেই। অহরহ সেখানে অপচিকিৎসায় মানুষ মারা গেলেও সিভিল সার্জন অফিস কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে না। তারা লোক দেখানো তদন্ত করেই দায়িত্ব শেষ করেন। হরিণাকুন্ডুর ভাই ভাই ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই। চিকিৎসার পরিবেশ ভাল না।

মহেশপুরের নেপার মোড়ের দুই ক্লিনিকে দুই প্রসুতি মারা গেছে। তাদেরও লাইসেন্স নবায়ন নেই। ক্লিনিকগুলিতে সর্বক্ষন কোন চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত র্নাস নেই। তারপরও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় অর্থের বিনিময়ে এদের নতুন লাইসেন্স ও পুরানো লাইসেন্স নবায়ন করে থাকে।

অভিযোগ উঠেছে সিভিল সার্জন অফিসের নওশের আলী, নজরুল ইসলাম, ইসরাইল হোসেন ও নজরুল ইসলাম (২) ক্লিনিকের এই ফাইলগুলো দেখভাল করেন। তারাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বছরের পর বছর মানহীন এ সব ক্লিনিক বহাল রাখার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, আমরা মাতৃ মৃত্যু কোন ভাবেই সহ্য করবো না। হরিণাকুন্ডু ভাই ভাই ক্লিনিকে মৃত্যুর ব্যাপারে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তিনি বলেন, আগামী ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত এ সব ক্লিনিকের শেষ সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা শর্ত পুরণ করতে না পারলে সবগুলো বন্ধ করে দেব।