শিরোনাম :
Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নির্মম ভাবে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক অপু চৌধুরীকে সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে মসজিদে খতিবকে কুপিয়ে জখম Logo আম্মা-আব্বা আমাকে মাফ করে দিবেন; আমি আপনাদের ভালো মেয়ে হতে পারি নাই

নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো !

  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ আগস্ট ২০২০
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

খানিকটা চিন্তা ছিল বটে, কিন্তু থমকে যাননি তারা। নভোচারীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রথম মনুষ্যবাহী বাণিজ্যিক স্পেস মিশন শেষ হল সফলভাবে। ঐতিহাসিক মিশন শেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুস।

রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে দুই নভোচারী ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন নেমে আসেন ফ্লোরিডা উপকূলের পেনসাকোলার দক্ষিণের সাগরে।

রয়টার্স জানায়, ক্রু ড্রাগনে চড়েই দুই মাস আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন। মিশন শেষে তারা চারটি প্যারাসুটে ভর করে তাদের নিয়ে বাহনটি নির্বিঘ্নে নেমে আসে।

৪৫ বছর পরে এই প্রথম সমুদ্রে নামল মার্কিন মহাকাশ-ক্যাপসুল। গতকাল পর্যন্ত দুই নভোচারীর ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ, বাহামার দিক থেকে ধেয়ে আসছে ঝড় ‘ইসাইয়াস’। অশান্ত হচ্ছে সমুদ্র। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে তারা কীভাবে সমুদ্রে নামবেন তা নিয়েই চিন্তায় ছিল নাসা। একবার এ-ও শোনা গিয়েছিল, দু’দিন পর রওনা দেবেন তারা। কিন্তু শেষমেশ আর তা করা হয়নি। মার্কিন সময় অনুযায়ী, আজ ভোরে রওনা দেয় যানটি।

মিশনের সফল সমাপ্তিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে নাসার কন্ট্রোলরুম। উদ্ধারকারী নৌযান গিয়ে ক্যাপসুল থেকে বের করে আনে দুই নভোচারীকে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে হেলিকপ্টারে চড়ে তারা ফিরে আসেন উপকূলে।

গত ৩০ মে নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায় টেক ধনকুবের এলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স। ২০১১ সালের পর এই প্রথম আমেরিকার মাটি থেকে মহাকাশে কোনো মহাকাশযানকে অভিযানে পাঠানো হলো। এই অভিযানের আরেকটি বিশেষত্ব ছিল, প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মহাকাশে যাওয়া।

দুই নভোচারী ডগলাস হার্লি ও রবার্ট বেহনকেন কেবল নতুন একটি ক্যাপসুল ব্যবস্থারই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেননি বরং তারা নাসার জন্য নতুন একটি ব্যবসায়িক মডেলেরও সূচনা করেছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো !

আপডেট সময় : ০৩:০৪:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

খানিকটা চিন্তা ছিল বটে, কিন্তু থমকে যাননি তারা। নভোচারীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রথম মনুষ্যবাহী বাণিজ্যিক স্পেস মিশন শেষ হল সফলভাবে। ঐতিহাসিক মিশন শেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুস।

রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে দুই নভোচারী ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন নেমে আসেন ফ্লোরিডা উপকূলের পেনসাকোলার দক্ষিণের সাগরে।

রয়টার্স জানায়, ক্রু ড্রাগনে চড়েই দুই মাস আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন। মিশন শেষে তারা চারটি প্যারাসুটে ভর করে তাদের নিয়ে বাহনটি নির্বিঘ্নে নেমে আসে।

৪৫ বছর পরে এই প্রথম সমুদ্রে নামল মার্কিন মহাকাশ-ক্যাপসুল। গতকাল পর্যন্ত দুই নভোচারীর ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ, বাহামার দিক থেকে ধেয়ে আসছে ঝড় ‘ইসাইয়াস’। অশান্ত হচ্ছে সমুদ্র। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে তারা কীভাবে সমুদ্রে নামবেন তা নিয়েই চিন্তায় ছিল নাসা। একবার এ-ও শোনা গিয়েছিল, দু’দিন পর রওনা দেবেন তারা। কিন্তু শেষমেশ আর তা করা হয়নি। মার্কিন সময় অনুযায়ী, আজ ভোরে রওনা দেয় যানটি।

মিশনের সফল সমাপ্তিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে নাসার কন্ট্রোলরুম। উদ্ধারকারী নৌযান গিয়ে ক্যাপসুল থেকে বের করে আনে দুই নভোচারীকে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে হেলিকপ্টারে চড়ে তারা ফিরে আসেন উপকূলে।

গত ৩০ মে নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায় টেক ধনকুবের এলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স। ২০১১ সালের পর এই প্রথম আমেরিকার মাটি থেকে মহাকাশে কোনো মহাকাশযানকে অভিযানে পাঠানো হলো। এই অভিযানের আরেকটি বিশেষত্ব ছিল, প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মহাকাশে যাওয়া।

দুই নভোচারী ডগলাস হার্লি ও রবার্ট বেহনকেন কেবল নতুন একটি ক্যাপসুল ব্যবস্থারই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেননি বরং তারা নাসার জন্য নতুন একটি ব্যবসায়িক মডেলেরও সূচনা করেছেন।