শিরোনাম :
Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন

নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো !

  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ আগস্ট ২০২০
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

খানিকটা চিন্তা ছিল বটে, কিন্তু থমকে যাননি তারা। নভোচারীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রথম মনুষ্যবাহী বাণিজ্যিক স্পেস মিশন শেষ হল সফলভাবে। ঐতিহাসিক মিশন শেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুস।

রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে দুই নভোচারী ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন নেমে আসেন ফ্লোরিডা উপকূলের পেনসাকোলার দক্ষিণের সাগরে।

রয়টার্স জানায়, ক্রু ড্রাগনে চড়েই দুই মাস আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন। মিশন শেষে তারা চারটি প্যারাসুটে ভর করে তাদের নিয়ে বাহনটি নির্বিঘ্নে নেমে আসে।

৪৫ বছর পরে এই প্রথম সমুদ্রে নামল মার্কিন মহাকাশ-ক্যাপসুল। গতকাল পর্যন্ত দুই নভোচারীর ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ, বাহামার দিক থেকে ধেয়ে আসছে ঝড় ‘ইসাইয়াস’। অশান্ত হচ্ছে সমুদ্র। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে তারা কীভাবে সমুদ্রে নামবেন তা নিয়েই চিন্তায় ছিল নাসা। একবার এ-ও শোনা গিয়েছিল, দু’দিন পর রওনা দেবেন তারা। কিন্তু শেষমেশ আর তা করা হয়নি। মার্কিন সময় অনুযায়ী, আজ ভোরে রওনা দেয় যানটি।

মিশনের সফল সমাপ্তিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে নাসার কন্ট্রোলরুম। উদ্ধারকারী নৌযান গিয়ে ক্যাপসুল থেকে বের করে আনে দুই নভোচারীকে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে হেলিকপ্টারে চড়ে তারা ফিরে আসেন উপকূলে।

গত ৩০ মে নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায় টেক ধনকুবের এলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স। ২০১১ সালের পর এই প্রথম আমেরিকার মাটি থেকে মহাকাশে কোনো মহাকাশযানকে অভিযানে পাঠানো হলো। এই অভিযানের আরেকটি বিশেষত্ব ছিল, প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মহাকাশে যাওয়া।

দুই নভোচারী ডগলাস হার্লি ও রবার্ট বেহনকেন কেবল নতুন একটি ক্যাপসুল ব্যবস্থারই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেননি বরং তারা নাসার জন্য নতুন একটি ব্যবসায়িক মডেলেরও সূচনা করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ

নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো !

আপডেট সময় : ০৩:০৪:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

খানিকটা চিন্তা ছিল বটে, কিন্তু থমকে যাননি তারা। নভোচারীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের কারণে প্রথম মনুষ্যবাহী বাণিজ্যিক স্পেস মিশন শেষ হল সফলভাবে। ঐতিহাসিক মিশন শেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে মেক্সিকো উপসাগরে নেমে এলো স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুস।

রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে দুই নভোচারী ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন নেমে আসেন ফ্লোরিডা উপকূলের পেনসাকোলার দক্ষিণের সাগরে।

রয়টার্স জানায়, ক্রু ড্রাগনে চড়েই দুই মাস আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন। মিশন শেষে তারা চারটি প্যারাসুটে ভর করে তাদের নিয়ে বাহনটি নির্বিঘ্নে নেমে আসে।

৪৫ বছর পরে এই প্রথম সমুদ্রে নামল মার্কিন মহাকাশ-ক্যাপসুল। গতকাল পর্যন্ত দুই নভোচারীর ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ, বাহামার দিক থেকে ধেয়ে আসছে ঝড় ‘ইসাইয়াস’। অশান্ত হচ্ছে সমুদ্র। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে তারা কীভাবে সমুদ্রে নামবেন তা নিয়েই চিন্তায় ছিল নাসা। একবার এ-ও শোনা গিয়েছিল, দু’দিন পর রওনা দেবেন তারা। কিন্তু শেষমেশ আর তা করা হয়নি। মার্কিন সময় অনুযায়ী, আজ ভোরে রওনা দেয় যানটি।

মিশনের সফল সমাপ্তিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে নাসার কন্ট্রোলরুম। উদ্ধারকারী নৌযান গিয়ে ক্যাপসুল থেকে বের করে আনে দুই নভোচারীকে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে হেলিকপ্টারে চড়ে তারা ফিরে আসেন উপকূলে।

গত ৩০ মে নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায় টেক ধনকুবের এলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স। ২০১১ সালের পর এই প্রথম আমেরিকার মাটি থেকে মহাকাশে কোনো মহাকাশযানকে অভিযানে পাঠানো হলো। এই অভিযানের আরেকটি বিশেষত্ব ছিল, প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মহাকাশে যাওয়া।

দুই নভোচারী ডগলাস হার্লি ও রবার্ট বেহনকেন কেবল নতুন একটি ক্যাপসুল ব্যবস্থারই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেননি বরং তারা নাসার জন্য নতুন একটি ব্যবসায়িক মডেলেরও সূচনা করেছেন।