শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo খুবিতে গনিত ক্লাবের যাত্রা: দায়িত্ব পেয়েছে পরমা-পলাশ Logo খুবিতে ‘মাইন্ড ওভার ম্যাথ’ শীর্ষক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo  অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের তীব্র নিন্দা Logo কচুয়ায় দাড়িপাল্লার গণজোয়ার: জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর গণসংযোগে মানুষের ঢল Logo জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জেলা বিএনপির নেতার Logo জমকালো আয়োজনে ইবিতে নবীন বরণ  Logo ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির জনসভা Logo গাইবান্ধায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা

জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:০৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেনো সামনে নিয়ে আসছে, এটা ঘোলাটে। এটি তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে (অফিসিয়ালি) এখনও কিছু বলেনি। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।’ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জামাতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনও তারা ক্ষমা চায়নি। এটা স্পেকুলেশনের পর্যায়ে, আলোচনার পর্যায়ে, গুজব-গুঞ্জনের পর্যায়ে সীমিত আছে। এখনও তারা অফিসিয়ালি ক্ষমা চায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, তারা ক্ষমা চাওয়ার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন না। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের যে বিচার চলছে, তা বন্ধ হবে না। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তাদের বিচার কাজ চলবে।’
জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিষয়ের ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়গুলো তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এ ধরনের খবর প্রকাশের পরও তাদের দলের ভেতরে যারা আছেন, তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারেন। সেটা তাদের বিষয়। এখনও তাদের কোনো বিষয়ই ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা ক্লিয়ার হোক, তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে। জামায়াত নতুন নামে রাজনীতিতে আসতে পারে কিনা এমন কোন শঙ্কা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন নামে জামায়াত। নতুন বোতলে পুরান মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী। নতুন নামে পুরান আদর্শই যদি থাকে, তাহলে তো একই কথা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবসরের কথা বলেছেন। এর আগেও তিনি অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের দাবির মুখে তিনি তা পারেননি। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই বলছেন, ‘আর কত? আমি তো অনেকদিন দায়িত্ব পালন করলাম’। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই। সেইসঙ্গে তাঁর কোনো বিকল্প সমসাময়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণেও নেই। ৭৫’ পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাঁকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। তিনি সবাইকে এবং নিজেকেও অতিক্রম করে গেছেন। সেজন্য আমরা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাঁকে বলেন স্টেটসম্যান। তবে এই পাঁচ বছরে তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকেন, আমার মনে হয় তার বিকল্পের চিন্তাভাবনা নেই। পাঁচ বছর পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হবেন, অসমর্থ হবেন, এটা আমরা এই মুহূর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে চাইলেও সময় পরিস্থিতি তাঁকে ছাড়বে কিনা, নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কিনা সেটাও তো আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:০৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেনো সামনে নিয়ে আসছে, এটা ঘোলাটে। এটি তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে (অফিসিয়ালি) এখনও কিছু বলেনি। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।’ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জামাতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনও তারা ক্ষমা চায়নি। এটা স্পেকুলেশনের পর্যায়ে, আলোচনার পর্যায়ে, গুজব-গুঞ্জনের পর্যায়ে সীমিত আছে। এখনও তারা অফিসিয়ালি ক্ষমা চায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, তারা ক্ষমা চাওয়ার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন না। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের যে বিচার চলছে, তা বন্ধ হবে না। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তাদের বিচার কাজ চলবে।’
জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিষয়ের ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়গুলো তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এ ধরনের খবর প্রকাশের পরও তাদের দলের ভেতরে যারা আছেন, তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারেন। সেটা তাদের বিষয়। এখনও তাদের কোনো বিষয়ই ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা ক্লিয়ার হোক, তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে। জামায়াত নতুন নামে রাজনীতিতে আসতে পারে কিনা এমন কোন শঙ্কা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন নামে জামায়াত। নতুন বোতলে পুরান মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী। নতুন নামে পুরান আদর্শই যদি থাকে, তাহলে তো একই কথা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবসরের কথা বলেছেন। এর আগেও তিনি অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের দাবির মুখে তিনি তা পারেননি। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই বলছেন, ‘আর কত? আমি তো অনেকদিন দায়িত্ব পালন করলাম’। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই। সেইসঙ্গে তাঁর কোনো বিকল্প সমসাময়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণেও নেই। ৭৫’ পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাঁকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। তিনি সবাইকে এবং নিজেকেও অতিক্রম করে গেছেন। সেজন্য আমরা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাঁকে বলেন স্টেটসম্যান। তবে এই পাঁচ বছরে তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকেন, আমার মনে হয় তার বিকল্পের চিন্তাভাবনা নেই। পাঁচ বছর পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হবেন, অসমর্থ হবেন, এটা আমরা এই মুহূর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে চাইলেও সময় পরিস্থিতি তাঁকে ছাড়বে কিনা, নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কিনা সেটাও তো আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।