শিরোনাম :
Logo বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পুরনের লক্ষে ১৩০টি টিউবওয়েল বিতরণ করেন মোঃ মতিউর রহমান Logo জকসু নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আগ্রহী নন- জবি রেজিস্ট্রার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস ক্লাবের নেতৃত্বে সুমন ও ফুয়াদ Logo আরও ৩ লাখ টাকা জব্দ রিয়াদের বাড্ডার বাসা থেকে Logo ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৮৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি, প্রাণহানি ২ জনের Logo শান্তিপ্রতিষ্ঠায় কলা ও মানবিক অনুষদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন Logo পলাশবাড়ীতে দশ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার দুই Logo চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলো বিএসএফ Logo সুন্দরবনের মাউন্দে নদী এলাকায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১ টি একনলা বন্দুক ও ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ Logo শিক্ষার মানোন্নয়ন, ঝরে পড়া ও বাল্যবিবাহ রোধে তুলপাই দারাশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ

দল হিসেবে জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে : আইনমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১০:১২:২৩ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৯
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করা যায় কি না, সে জন্যই এই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনটি রায়ে দেখা গেছে যে জামায়াত দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত। তাদের বিচারের জন্য দাবি উঠেছে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম যে বিদ্যমান আইনে বিচার করা যায় না তাই সংশোধন প্রয়োজন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, গত মেয়াদে আমরা এই আইনটি সংশোধনে হাত দেই। আমরা কিছু সংশোধন করে আইন বিভাগে পাঠাই। পরে কিছু আইনগত শব্দ সংশোধন করে পাঠানো হয়, আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে। এরপর পাস করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে যে আইন করা হয়েছিল সেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যারা মানবতাবিরোধী ব্যক্তি তাদের বিচার করার জন্য। তখন সেই আইনটাতে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য করা হয়নি। তবে ১৯৭২ সালে যখন সংবিধান প্রণয়ন করা হয় তখন জামায়াতকে ‘ব্যান্ড’ (বাতিল) করা হয়েছিল। সে কারণে দাবি উঠেছিল।
বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার নেপথ্যে কারা ছিলেন তাদের খুঁজে বের করতে আইন কমিশন করা প্রয়োজন বলেও মত দেন আইনমন্ত্রী। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নেপথ্যে ছিলেন, যারা জেল হত্যার নেপথ্যে ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় বা এমন একটা অনুশাসনের আওতায় আনতে হবে যেন মানুষ অন্তত এ বার্তা পায় যে অন্যায় করলে বা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিচার হয়।
আনিসুল হক বলেন, যদি নেপথ্যে থাকাদের চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো ষড়যন্ত্র এবং সেই ছায়া থেকে বের হতে পারবো না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পুরনের লক্ষে ১৩০টি টিউবওয়েল বিতরণ করেন মোঃ মতিউর রহমান

দল হিসেবে জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে : আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:১২:২৩ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করা যায় কি না, সে জন্যই এই আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনটি রায়ে দেখা গেছে যে জামায়াত দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত। তাদের বিচারের জন্য দাবি উঠেছে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম যে বিদ্যমান আইনে বিচার করা যায় না তাই সংশোধন প্রয়োজন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, গত মেয়াদে আমরা এই আইনটি সংশোধনে হাত দেই। আমরা কিছু সংশোধন করে আইন বিভাগে পাঠাই। পরে কিছু আইনগত শব্দ সংশোধন করে পাঠানো হয়, আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে। এরপর পাস করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে যে আইন করা হয়েছিল সেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যারা মানবতাবিরোধী ব্যক্তি তাদের বিচার করার জন্য। তখন সেই আইনটাতে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য করা হয়নি। তবে ১৯৭২ সালে যখন সংবিধান প্রণয়ন করা হয় তখন জামায়াতকে ‘ব্যান্ড’ (বাতিল) করা হয়েছিল। সে কারণে দাবি উঠেছিল।
বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার নেপথ্যে কারা ছিলেন তাদের খুঁজে বের করতে আইন কমিশন করা প্রয়োজন বলেও মত দেন আইনমন্ত্রী। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নেপথ্যে ছিলেন, যারা জেল হত্যার নেপথ্যে ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় বা এমন একটা অনুশাসনের আওতায় আনতে হবে যেন মানুষ অন্তত এ বার্তা পায় যে অন্যায় করলে বা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিচার হয়।
আনিসুল হক বলেন, যদি নেপথ্যে থাকাদের চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো ষড়যন্ত্র এবং সেই ছায়া থেকে বের হতে পারবো না।