সোনার বাংলা বির্নিমাণে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় কাজ করবো
নিউজ ডেস্ক:৭ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমদিন অফিসে বসেই জনগণকে ভালো কিছু দেখাবেন বলে আশ্বস্ত করলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, দক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে পারলে অবশ্যই ভালো কিছু দেখতে পাবেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথমদিন অফিসে বসেই বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১’ অনুযায়ী বাংলাদেশ হবে তথ্যভিত্তিক একটি দেশ। সেক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়কে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গোছাব, সাজাব। আমাদের যা যা প্রয়োজন লজিস্টিক সাপোর্ট তো প্রধানমন্ত্রী দেবেন। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন ফরহাদ হোসেন। এসময় জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মেদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বির্নিমাণে এই প্রশাসন যাতে তাদের সর্বাত্মক অবদান রাখতে পারে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু দিকনির্দেশনা ইতোমধ্যে রেখেছেন। আমাদের কিছু কর্মপরিকল্পনা আছে সেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি এসেছি প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন, তিনি যে নির্দেশনা দেবেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তা বাস্তবায়ন করাটাই হচ্ছে আমার কাজ। কারণ এটার পূর্ণমন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই। দুর্নীতির বিষয়ে অবস্থান কী হবে- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের কাজের একটা অংশ হচ্ছে যদি আমাদের কাজে কোনো অন্তরায় বা বাধা থাকে ত্রুটি থাকে তবে প্রথম কাজ হচ্ছে সেই বাধা-ত্রুটি অন্তরায়গুলোকে দূর করা। আশা করি সাংবাদিকরা ত্রুটিগুলো তুলে ধরলে আমরা অবশ্যই দ্রত পদক্ষেপের ভিত্তিতে সমাধান করতে পারব। তিনি বলেন, ‘মানুষের তো ভুলত্রুটি কিছু থাকে। এখন অনেক স্মার্ট অফিসার আছেন। ভালো ব্যুরোক্রেসি (আমলাতন্ত্র) ছাড়া তো ভালো উন্নত দেশ সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী সুনিপুণভাবে চিন্তা করছেন যাতে আমরা ভালো ও দক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে পারি।’ ‘অবশ্যই আপনারা ভালো কিছু দেখবেন। এবারের যে সময়টিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত পূরণ হবে, সেই সময়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ হবে। সবকিছু মিলিয়ে একটা বড় রকমের পরিবর্তন আপনারা দেখবেন ইনশাআল্লাহ। সেক্ষেত্রে প্রশাসন অবশ্যই এগিয়ে থাকবে’-বলেন নতুন প্রতিমন্ত্রী।
২৭টি ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আপনি। এখানে প্রশাসন ক্যাডার সুপার পাওয়ার ভোগ করে। অন্যান্য ক্যাডারের অফিসারদের বৈষম্যের অভিযোগ আছে। বিষয়টি সম্পর্কে আপনি অবগত কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি দশম সংসদের একজন সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার এলাকা থেকে যারা ক্যাডার সার্ভিসে আছেন তারা আমার কাছেও অভিযোগ-অনুযোগ করেছিলেন যে, আমি যাতে আমি এ বিষয়ে সংসদে অবদান রাখি। সেক্ষেত্রে বিষয়গুলো নিয়ে আমিও অবহিত আছি। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কিন্তু অনেকগুলো সলিউশন ইতোমধ্যে দিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেগুলো বাকি আছে আগামীতে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করে একটা সমতা ও সকলের মধ্যে যাতে একটা সুসম্পর্ক থাকে সেই বিষয়টি আমরা অবশ্যই দেখব।
আপনি কী মনে করেন মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা উচিত- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই, কারণ গণতন্ত্রে জবাবদিহিতার একটা ব্যাপার আছে। সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের তো জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতেই হবে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেন, যত দ্রত সম্ভব এটা হবে। যখন এটা ঘোষণা করা হয়েছে এর মানে অনেক চিন্তা-ভাবনা সুপরিকল্পনা করেই ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন সেটা করেন। আমরা চাইব খুব দ্রত এটা হয়ে যাক।
প্রশাসন নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়কে কতটা শক্তভাবে আপনি সামলাতে পারবেন-জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মাথার ওপর আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আশা করি তার সহযোগিতায় সবগুলো বিষয়ই আমরা সুন্দরভাবে দেখতে পারব। এখানে কোনো সমস্যা হবে না।