শিরোনাম :
Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র” Logo ভুয়া নিয়োগপত্রে প্রতারণা: সিরাজগঞ্জের যুবকের কাছ থেকে আদায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা Logo সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কয়রায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীর পল্লীতে সাপের দংশনে কিশোরীর মৃত্যু Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের প্রচেষ্টায় এক বছরে ১ হাজার ১৪১টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার

মহেশপুরে ধর্ষণের ঘটনা : আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:২৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

ভুক্তভোগী পরিবারকে হুত্যার হুমকির অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাগানমাঠ গ্রামের কপিল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী খাতুন (১৪) ধর্ষণ মামলার আসামীরা ৩ মাস পার হয়ে গেলেও ধর্ষকসহ অন্যান্য আসামীরা আজও ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় পঙ্গু পিতা ও পরিবারের লোকজন হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাগানমাঠ গ্রামের কপিল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী খাতুনকে (১৪) একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪০) ও তার ৩ সহযোগীর সহযোগীতায় জোনাকী খাতুনকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গত ২রা মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৫ দফা ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরিবার পক্ষ প্রথম ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারলেও লোক লজ্জার ভয়ে ও শিশুটির ভবিষতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখে। পরবর্তীতে লম্পট জহিরুল আবারো তার সহযোগীদের সহযোগীতায় মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করার হুমকি দেখিয়ে মেয়েটিকে একের পর এক জিম্মি করে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেছে ওই ধর্ষক। সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই রাতে ঘর থেকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করায় কতিপয় মাতব্বরগণ গ্রাম্যভাবে একটি শালিস দরবার বসিয়ে ধর্ষক জহিরুলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানা করার পর ওই ধর্ষক জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী জোনাকীসহ তাদের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ ঘটনায় মেয়ের মা মায়া খাতুন গত ২৮ জুলাই বাদি হয়ে ধর্ষক জহিরুল ইসলাম, সহযোগী ভুট্ট ওরফে ফয়জুল, হারুন ও কাজলের নাম উল্লেখ করে মহেশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৩৮/২৬১ স্বারক নং ২৬৭৭(৩) /১।
বাদি এবং গ্রামবাসীর দাবি প্রকৃত এজাহারভুক্ত ধর্ষক ও ভিডিও ধারণকারী আসামীকে আটক না করে গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ সন্দেহভাবে ওয়ালিদ হাসান (১৫) নামের এক শিশুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অথচ এজাহারে ওয়ালিদ হাসানের নাম কোথাও উল্লেখ নেই। মূল ধর্ষক ও ভিডিও ধারণকারীসহ অন্যান্য আসামীরা গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি মামলার বাদিকে মামলা প্রত্যাহারসহ হত্যার হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী জোনাকীর পঙ্গু পিতাসহ পরিবারের লোকজন হতাশার মধ্যে পড়ে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। এ বিষয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এ ব্যাপারে আসামীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে পুলিশ জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন

মহেশপুরে ধর্ষণের ঘটনা : আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে

আপডেট সময় : ০৯:৪২:২৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৮

ভুক্তভোগী পরিবারকে হুত্যার হুমকির অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাগানমাঠ গ্রামের কপিল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী খাতুন (১৪) ধর্ষণ মামলার আসামীরা ৩ মাস পার হয়ে গেলেও ধর্ষকসহ অন্যান্য আসামীরা আজও ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় পঙ্গু পিতা ও পরিবারের লোকজন হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাগানমাঠ গ্রামের কপিল উদ্দিনের মেয়ে জোনাকী খাতুনকে (১৪) একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪০) ও তার ৩ সহযোগীর সহযোগীতায় জোনাকী খাতুনকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গত ২রা মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৫ দফা ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরিবার পক্ষ প্রথম ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারলেও লোক লজ্জার ভয়ে ও শিশুটির ভবিষতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখে। পরবর্তীতে লম্পট জহিরুল আবারো তার সহযোগীদের সহযোগীতায় মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করার হুমকি দেখিয়ে মেয়েটিকে একের পর এক জিম্মি করে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেছে ওই ধর্ষক। সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই রাতে ঘর থেকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করায় কতিপয় মাতব্বরগণ গ্রাম্যভাবে একটি শালিস দরবার বসিয়ে ধর্ষক জহিরুলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানা করার পর ওই ধর্ষক জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী জোনাকীসহ তাদের পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ ঘটনায় মেয়ের মা মায়া খাতুন গত ২৮ জুলাই বাদি হয়ে ধর্ষক জহিরুল ইসলাম, সহযোগী ভুট্ট ওরফে ফয়জুল, হারুন ও কাজলের নাম উল্লেখ করে মহেশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৩৮/২৬১ স্বারক নং ২৬৭৭(৩) /১।
বাদি এবং গ্রামবাসীর দাবি প্রকৃত এজাহারভুক্ত ধর্ষক ও ভিডিও ধারণকারী আসামীকে আটক না করে গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশ সন্দেহভাবে ওয়ালিদ হাসান (১৫) নামের এক শিশুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অথচ এজাহারে ওয়ালিদ হাসানের নাম কোথাও উল্লেখ নেই। মূল ধর্ষক ও ভিডিও ধারণকারীসহ অন্যান্য আসামীরা গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি মামলার বাদিকে মামলা প্রত্যাহারসহ হত্যার হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী জোনাকীর পঙ্গু পিতাসহ পরিবারের লোকজন হতাশার মধ্যে পড়ে অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। এ বিষয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এ ব্যাপারে আসামীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে পুলিশ জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।