নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহে কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেন হত্যা মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক গোলাম আযম এ রায় দেন। দন্ডিতরা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছোট কামারকুন্ডু গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল মোমিন বিশ্বাসের ছেলে নাছিম বিশ্বাস ও শিকারপুর গ্রামের আব্দুল মতলেব মুন্সীর ছেলে মনিরুল ইসলাম মুকুল। এর মধ্যে আসামী নাছিম বিশ্বাস পলাতক রয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর শহরের লাউদিয়া মাদরাসার শিক্ষক একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ইমরান হোসেন লাউদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আফাঙ্গীরের চায়ের দোকানে চা পান করছিল। এ সময় আসামীরা মটরসাইকেল যোগে সেখানে আসে এবং কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের পদ্মপুকুর পাড় থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর নিহতের পিতা নজরুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ২৪ আগষ্ট ঢাকার আশুলিয়া থেকে আসামী ইমরান হোসেন, নাছিম বিশ্বাস ও মনিরুল ইসলাম মুকুলকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ জুন ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসিট দাখিল করে। আদালত সাক্ষ্য প্রমান শেষে রোববার আসামী ইমরান হোসেন, নাসিম বিশ্বাস ও মনিরুল ইসলাম মুকুলকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। দন্ডিতদের মধ্যে নাসিম বিশ্বাস পলাতক রয়েছে। এ মামলায় অপর আসামী জাকির হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামী পক্ষে এড আনোয়ার উদ্দীন ও রাষ্ট্র পক্ষে এড আব্দুল খালেক মামলাটি পরিচালনা করেন।