নিউজ ডেস্ক:
পাকিস্তান ও ইরান প্রতিবেশী দুই দেশ। ৯০৯ কিলোমিটার সীমান্ত দৈর্ঘ্য এই দুই মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে। ইরান-পাকিস্তান বাণিজ্যিক ও কূটনীতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই স্বীকৃত। তবে পাকিস্তানের ক্ষমতার পালাবদলে দুইদেশের কূটনীতিক সম্পর্কেও নিয়েছে নতুন মোড়।
বুধবার পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিকে ইনসাফ পার্টির নেতা ইমরান খানের সাথে এক টেলিফোনালাপ হয়েছে। এসময় পাকিস্তানের সঙ্গে সকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে তেহরিকে ইনসাফ পার্টির বিজয়ে ইমরান খানকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. রুহানি আশা প্রকাশ করেন, ইমরানের শাসনামলে ইরান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি আন্তরিক ও গভীর হবে।
তেহরানের সাথে ইসলামাবাদের সহযোগিতা শক্তিশালী করার যে আগ্রহ এরইমধ্যে ইমরান খান প্রকাশ করেছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবশ্যই বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দু’টি দেশকে অনেক বেশি অগ্রসর হতে হবে। টেলিফোনালাপে আগামী অক্টোবরে তেহরানে অনুষ্ঠেয় এশীয় দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের এক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ইমরান খানও ইরানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার আগ্রহের কথা জানান। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে তার শাসনামলে ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক শক্তিশালী হবে বলে ইমরান খান প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ড. রুহানির সঙ্গে টেলিফোনালাপে তিনি অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় তেহরান শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করেন।