শিরোনাম :
Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’ Logo সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-৩০ Logo খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

নারী ও শিশু আইনের একটি ধারা প্রয়োগ বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:০৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮২৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৩১ (ক) ধারার কোনো প্রয়োগ আছে কি না জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিমকোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ অতীতে গ্রহণ করেছে কিনা সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন  জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এক জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণের সময় মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে এবং ব্যারিস্টার মো. ওসমান আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।

৩১(ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো মামলা এই আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার কারণ লিখে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করিতে হবে। তার একটি অনুলিপি সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছেও দাখিল করিতে হবে। প্রতিবেদন দাখিল করিবার পর তা পর্যালোচনা করে  যথাযথ কতৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’

আইনজীবী কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের জানান, মো. মিলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা করার ওই দিন আটক হয়ে তিনি কারাগারে আছেন। গত বছরের শেষের দিকে মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। চলতি বছরের ২১ মার্চ  মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই মামলায় কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হন নাই।

তিনি বলেন, মামলাটি আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু সেই সময় অতিক্রম করলেও মামলাটি নিষ্পত্তি হয়নি। তাই আসামির এই যুক্তিতে জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। সেই শুনানির সময় আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ এর ৩১(ক) ধারাটি আদালতের নজরে আনলে আদালত ওই ধারার প্রয়োগ বিষয়ে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আদেশ দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

নারী ও শিশু আইনের একটি ধারা প্রয়োগ বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ০২:৫৬:০৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৩১ (ক) ধারার কোনো প্রয়োগ আছে কি না জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিমকোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ অতীতে গ্রহণ করেছে কিনা সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন  জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এক জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণের সময় মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে এবং ব্যারিস্টার মো. ওসমান আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।

৩১(ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো মামলা এই আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার কারণ লিখে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করিতে হবে। তার একটি অনুলিপি সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছেও দাখিল করিতে হবে। প্রতিবেদন দাখিল করিবার পর তা পর্যালোচনা করে  যথাযথ কতৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’

আইনজীবী কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের জানান, মো. মিলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা করার ওই দিন আটক হয়ে তিনি কারাগারে আছেন। গত বছরের শেষের দিকে মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। চলতি বছরের ২১ মার্চ  মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই মামলায় কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হন নাই।

তিনি বলেন, মামলাটি আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু সেই সময় অতিক্রম করলেও মামলাটি নিষ্পত্তি হয়নি। তাই আসামির এই যুক্তিতে জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। সেই শুনানির সময় আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ এর ৩১(ক) ধারাটি আদালতের নজরে আনলে আদালত ওই ধারার প্রয়োগ বিষয়ে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আদেশ দেন।