ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীপাড়ের মাটি এখন কিংশুকের দুটি ইট ভাটা সহ নাহার ও পিএসবি ইটভাটায়!

  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮
  • ৭৯০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহের নবগঙ্গ নদীপাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্র্ঘদিন ধরে গিলাবাড়িয়া গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করলেও তাদের বাধা দেওয়ার মতো দুঃসাহস কারো নেই। তারা এতটাই প্রভাবশালী কেও প্রতিবাদ করলে খুন জখমের হুমকী দেয়। আইন অগ্রাহ্য করে তারা নদীপাড়ের মাটি সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে আবাদী ও কৃষি জমি হুমকির মধ্যে পড়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে শহরের পাশেই গিলাবাড়িয়া গ্রাম। পাগলাকানাই ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত গ্রামটি। নদীপাড়ারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩০টি গাড়ি। গাড়ির শব্দ আর ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ। তারা ধুলোর অত্যাচারে ভাত পর্যন্ত থেতে পারে না। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে এ্যজমা-হাফানী রোগে। সরেজমিন দেখা গেছে গিলাবাড়িয়া গ্রামেই রয়েছে চারটি ইটভাটা। দুইটি কিংশুক, একটি নাহার ও অন্যটি পিএসবি। নদীর মাটি কেটে ওই সব ভাটায় আগামী বছরের জন্য লাট মারা হচ্ছে। কারা এই মাটি বিক্রি করছে তা স্থানীয়রা নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন। গ্রামবাসির ভাষ্য লিখে কি হবে ? সবই তো ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে। স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস, আতিয়ার রহমানসহ গ্রামের অনেকেই এই মাটি কাটা বন্ধ করে তাদের ধুলোর অত্যাচার ও রাস্তা বাঁচানোর আহবান জানান। এলাকাবাসি জানায়, গিলাবাড়িয়া গ্রামের কাতো বিশ্বাস, বাপ্পারাজ, ফজলু বিশ্বাস ও রেজাউল নবগঙ্গা নদীর মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদেরকে বাধা দিলে উল্টো হুমকী দিচ্ছে। তবে বাপ্পারাজ জানিয়েছে তাদের জমির নিচে থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। সেটা নদীর জমি কিনা তিনি জানেন না। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম ও সহকারী কমিশনার ভুমি এস এম মুনিম লিংকনকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি। তবে কিংশুক ইট ভাটার ম্যানেজার লাবু সাংবাদিকদের জানান, তারা নদীর মাটি আর নিবেন না। তারা মোটেও জানতেন না বিক্রেতারা নদী কেটে আমাদের কাছে বিক্রি করছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীপাড়ের মাটি এখন কিংশুকের দুটি ইট ভাটা সহ নাহার ও পিএসবি ইটভাটায়!

আপডেট সময় : ০২:৪৩:০০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহের নবগঙ্গ নদীপাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্র্ঘদিন ধরে গিলাবাড়িয়া গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করলেও তাদের বাধা দেওয়ার মতো দুঃসাহস কারো নেই। তারা এতটাই প্রভাবশালী কেও প্রতিবাদ করলে খুন জখমের হুমকী দেয়। আইন অগ্রাহ্য করে তারা নদীপাড়ের মাটি সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে আবাদী ও কৃষি জমি হুমকির মধ্যে পড়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে শহরের পাশেই গিলাবাড়িয়া গ্রাম। পাগলাকানাই ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত গ্রামটি। নদীপাড়ারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩০টি গাড়ি। গাড়ির শব্দ আর ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ। তারা ধুলোর অত্যাচারে ভাত পর্যন্ত থেতে পারে না। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে এ্যজমা-হাফানী রোগে। সরেজমিন দেখা গেছে গিলাবাড়িয়া গ্রামেই রয়েছে চারটি ইটভাটা। দুইটি কিংশুক, একটি নাহার ও অন্যটি পিএসবি। নদীর মাটি কেটে ওই সব ভাটায় আগামী বছরের জন্য লাট মারা হচ্ছে। কারা এই মাটি বিক্রি করছে তা স্থানীয়রা নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন। গ্রামবাসির ভাষ্য লিখে কি হবে ? সবই তো ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে। স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস, আতিয়ার রহমানসহ গ্রামের অনেকেই এই মাটি কাটা বন্ধ করে তাদের ধুলোর অত্যাচার ও রাস্তা বাঁচানোর আহবান জানান। এলাকাবাসি জানায়, গিলাবাড়িয়া গ্রামের কাতো বিশ্বাস, বাপ্পারাজ, ফজলু বিশ্বাস ও রেজাউল নবগঙ্গা নদীর মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদেরকে বাধা দিলে উল্টো হুমকী দিচ্ছে। তবে বাপ্পারাজ জানিয়েছে তাদের জমির নিচে থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। সেটা নদীর জমি কিনা তিনি জানেন না। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম ও সহকারী কমিশনার ভুমি এস এম মুনিম লিংকনকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি। তবে কিংশুক ইট ভাটার ম্যানেজার লাবু সাংবাদিকদের জানান, তারা নদীর মাটি আর নিবেন না। তারা মোটেও জানতেন না বিক্রেতারা নদী কেটে আমাদের কাছে বিক্রি করছে।