সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব Logo কচুয়ায় ইউএনও হেলাল চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা Logo জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা সভাপতি রিংকু, সম্পাদক ফরহাদ

কালীগঞ্জের ফুলের মাঠে নতুন অতিথি ইউরোপের জারবেরা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  যশোরের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদনকারী এলাকা হিসাবে খ্যাত ঝিনাইদহের ফুলনগরী কালীগঞ্জের ফুলের মাঠে নতুন অতিথি ইউরোপের জারবেরা । সারা বছর ফুল হয় দাম বেশী আর বাহারী ভিন্ন ভিন্ন রং এ মনমাতানো এই ফুল তোলার পরে বেশ কয়েকদিন তাঁজা থাকায় জারবেরা নিয়ে আশাবাদী কৃষক ও কৃষি বিভাগ। শীত মৌসুমের শেষ দিকে দেশে ২১ফেব্রুয়ারির আগমনী বার্তায় নতুন সংযোজন বিদেশী জারবেরা ফুল। আর ফেব্রুয়ারী মাসের বিভিন্ন দিবস কে কেন্দ্র করে এই ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে চাষীরা জানায় বড় বড় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে প্লাস্টিক ফুলের ব্যবহার হওয়ায় বাজার হারাচ্ছে জনপ্রিয় জারবেরা। প্রায় ২০ বছর ধরে কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর সহ বিভিন্ন মাঠে কৃষকরা শত শত একর জমিতে গাঁধা, রজনীগন্ধা, গোলাপ ও গ্যালোডিয়াসসহ হরেক জাতের ফুল চাষ করে থাকে। চলতি বছরও এই উপজেলার ৩২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ করা হয়েছে। যে কারনে এ এলাকাটি মানুষের কাছে ফুল নগরী বলে পরিচিত। এবার এখানে চাষ হয়েছে সুদূর ইউরোপের দৃষ্টিনন্দন জারবেরা ফুল। ছোটঘিঘাটির মাঠে এই বিদেশি জাতের ফুলের চাষ করেছেন ফুল ব্যবসায়ী টিপু সুলতান সহ কয়েকজন কৃষক। তিন বিঘার ও বেশী জমিতে এই ফুলের চাষ করা হয়েছে। বিদেশি জাতের এই ফুল লাল, সাদা, হলুদ ও গোলাপিসহ ৮টি বাহারি রঙের হয়ে থাকে। তবে এই ফুলের কোন গন্ধ নেই। বিদেশি জাতের এই ফুলটি ক্ষেত থেকে তোলার পরও ১০ থেকে ১৫ দিন তাঁজা থাকে। যে কারনে বাজারে এই ফুলে চাহিদা বেশ। একেক টি ফুল বিক্রি করা যায় ৫ থেকে ১৫ টাকা দরে। জারবেরা চাষী টিপু সুলতান জানান, ২০১৭ সালের জুন মাসে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বীজ এনে সারী বদ্ধভাবে বপন করা হয়। এই ক্ষেতের উপর ছাউনি দিতে একই দেশ থেকে আমদানি করা হয় বিশেষ ধরনের পলিথিন। যা তৈরি হয় ইউরোপের দেশ গুলোতে। বীজ রোপন, ক্ষেতের চারপাশে বাশেঁর বেড়া স্থাপন, সিমেন্টের খুঁটি, উপরের ছাউনি, সার ওষুধ ও শ্রমিক খরচসহ এ পর্যন্ত ৩৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই ফুল পরিচর্যা করার জন্য কিছু শ্রমিক নিয়মিত কাজ করতে হয়। রোপনের তিন মাস পর গাছে ফুল আসতে শুরু করে। একটি গাছ একাধারে দুই থেকে তিন বছর ফুল দেয়। এ সময়ে একটি গাছে ২০ থেকে ২৫টি ফুল পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১২শ ফুল সংগ্রহ করা যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ি প্রতিদিন এই ফুল ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই ক্ষেত পরিচর্যা একটু ব্যায়বহুল। কৃষি অফিস জানিয়েছে, জারবেরা ফুল চাষের জন্য এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বেশ উপযোগী। বছরের যে কোন সময় চাষ করা যায়। শীত মৌসুমের উৎপাদন বেশি হয়। এছাড়া দেশের বাজারে এই ফুলে দাম ও চাহিদা বেশি। আগ্রহী ফুলচাষীদের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে এ উন্নত জাতের বিদেশী ফুল ভাল ভুমিকা রাখতে পারে বলে তারা মনে করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ

কালীগঞ্জের ফুলের মাঠে নতুন অতিথি ইউরোপের জারবেরা

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ  যশোরের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদনকারী এলাকা হিসাবে খ্যাত ঝিনাইদহের ফুলনগরী কালীগঞ্জের ফুলের মাঠে নতুন অতিথি ইউরোপের জারবেরা । সারা বছর ফুল হয় দাম বেশী আর বাহারী ভিন্ন ভিন্ন রং এ মনমাতানো এই ফুল তোলার পরে বেশ কয়েকদিন তাঁজা থাকায় জারবেরা নিয়ে আশাবাদী কৃষক ও কৃষি বিভাগ। শীত মৌসুমের শেষ দিকে দেশে ২১ফেব্রুয়ারির আগমনী বার্তায় নতুন সংযোজন বিদেশী জারবেরা ফুল। আর ফেব্রুয়ারী মাসের বিভিন্ন দিবস কে কেন্দ্র করে এই ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে চাষীরা জানায় বড় বড় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে প্লাস্টিক ফুলের ব্যবহার হওয়ায় বাজার হারাচ্ছে জনপ্রিয় জারবেরা। প্রায় ২০ বছর ধরে কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর সহ বিভিন্ন মাঠে কৃষকরা শত শত একর জমিতে গাঁধা, রজনীগন্ধা, গোলাপ ও গ্যালোডিয়াসসহ হরেক জাতের ফুল চাষ করে থাকে। চলতি বছরও এই উপজেলার ৩২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ করা হয়েছে। যে কারনে এ এলাকাটি মানুষের কাছে ফুল নগরী বলে পরিচিত। এবার এখানে চাষ হয়েছে সুদূর ইউরোপের দৃষ্টিনন্দন জারবেরা ফুল। ছোটঘিঘাটির মাঠে এই বিদেশি জাতের ফুলের চাষ করেছেন ফুল ব্যবসায়ী টিপু সুলতান সহ কয়েকজন কৃষক। তিন বিঘার ও বেশী জমিতে এই ফুলের চাষ করা হয়েছে। বিদেশি জাতের এই ফুল লাল, সাদা, হলুদ ও গোলাপিসহ ৮টি বাহারি রঙের হয়ে থাকে। তবে এই ফুলের কোন গন্ধ নেই। বিদেশি জাতের এই ফুলটি ক্ষেত থেকে তোলার পরও ১০ থেকে ১৫ দিন তাঁজা থাকে। যে কারনে বাজারে এই ফুলে চাহিদা বেশ। একেক টি ফুল বিক্রি করা যায় ৫ থেকে ১৫ টাকা দরে। জারবেরা চাষী টিপু সুলতান জানান, ২০১৭ সালের জুন মাসে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বীজ এনে সারী বদ্ধভাবে বপন করা হয়। এই ক্ষেতের উপর ছাউনি দিতে একই দেশ থেকে আমদানি করা হয় বিশেষ ধরনের পলিথিন। যা তৈরি হয় ইউরোপের দেশ গুলোতে। বীজ রোপন, ক্ষেতের চারপাশে বাশেঁর বেড়া স্থাপন, সিমেন্টের খুঁটি, উপরের ছাউনি, সার ওষুধ ও শ্রমিক খরচসহ এ পর্যন্ত ৩৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই ফুল পরিচর্যা করার জন্য কিছু শ্রমিক নিয়মিত কাজ করতে হয়। রোপনের তিন মাস পর গাছে ফুল আসতে শুরু করে। একটি গাছ একাধারে দুই থেকে তিন বছর ফুল দেয়। এ সময়ে একটি গাছে ২০ থেকে ২৫টি ফুল পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১২শ ফুল সংগ্রহ করা যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ি প্রতিদিন এই ফুল ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই ক্ষেত পরিচর্যা একটু ব্যায়বহুল। কৃষি অফিস জানিয়েছে, জারবেরা ফুল চাষের জন্য এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বেশ উপযোগী। বছরের যে কোন সময় চাষ করা যায়। শীত মৌসুমের উৎপাদন বেশি হয়। এছাড়া দেশের বাজারে এই ফুলে দাম ও চাহিদা বেশি। আগ্রহী ফুলচাষীদের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে এ উন্নত জাতের বিদেশী ফুল ভাল ভুমিকা রাখতে পারে বলে তারা মনে করছে।