শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

শৈলকুপায় ট্র্রে পদ্ধতিতে ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি

  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৭৩ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার তামিনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষক খবির উদ্দিন ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার নিজ বাড়ির ছদের উপর এ বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন। খবির উদ্দিন জানান, তার নিজের ১২ বিঘা ধানী জমি আছে। সেই জমিতে চাষ করার জন্যই তিনি এ বীজতলা তৈরি করেছেন। ১২০টি ট্রেতে ১২ কেজি ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এতে ঘরের ছাদের ৭০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিনের পরামর্শে ঘরের ছাদেএ ট্র্রে পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাবস্থার সুবিধা হিসেবে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে ৬০ দিন গাছ বাড়ার সময় পায়। এতে প্রতিটি গাছ অনেক কুশি ছাড়ার সময় পেয়ে থাকে। যার ফলে ফলন বেড়ে যাবে। আর বাড়ির মেয়েরা অবসর সময়ে এ বীজতলা তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, শুধু মাত্র সকাল-দুপুর ও সন্ধ্যায় ৩ বার সময় করে পানি দিলেই চলে। এতে খরচ ও সময় কম। আবার খুব সহজে রোপণ করা যায়। চারা পুষ্ট হয় বলে গাছের বাইল শক্তিশালী হয়। ছড়ায় ধান বেশি আসে। সব মিলিয়ে এ পদ্ধতি কাজে লাগানো গেলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব বলে আমার মনে হয়। এ পদ্ধতি কাজে লাগালে আমরা লাভবান হব। ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, বাড়ির ছাদে প্লাস্টিকের ট্রের ওপর বীজতলা তৈরি করা হয়। ট্রেরের উপর আধা ইঞ্চি পুরু করে মাটি দিতে হয়। এরপর সামান্য গোবর সার দিয়ে ধান বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চারাগুলো ৪-৫ ইঞ্চি বড় হয়। এ চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে খেতে রোপণ করতে হয়। সাধারণত মাঠে বীজতলা তৈরি করলে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে বলেও জানান তিনি। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিন জানান, এতে ফলন বেশি এবং উৎপাদন খরচ কম হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নতুন এ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন চাষি এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তিনি আরও বলেন, ছাদে ছাড়াও একই পদ্ধতিতে বাড়ির উঠানেও বীজতলা তৈরি করা যায়। আমন মৌসুমেও বাড়ির ছাদে ও উঠানে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা যায়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

শৈলকুপায় ট্র্রে পদ্ধতিতে ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার তামিনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষক খবির উদ্দিন ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার নিজ বাড়ির ছদের উপর এ বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন। খবির উদ্দিন জানান, তার নিজের ১২ বিঘা ধানী জমি আছে। সেই জমিতে চাষ করার জন্যই তিনি এ বীজতলা তৈরি করেছেন। ১২০টি ট্রেতে ১২ কেজি ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এতে ঘরের ছাদের ৭০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিনের পরামর্শে ঘরের ছাদেএ ট্র্রে পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাবস্থার সুবিধা হিসেবে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে ৬০ দিন গাছ বাড়ার সময় পায়। এতে প্রতিটি গাছ অনেক কুশি ছাড়ার সময় পেয়ে থাকে। যার ফলে ফলন বেড়ে যাবে। আর বাড়ির মেয়েরা অবসর সময়ে এ বীজতলা তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, শুধু মাত্র সকাল-দুপুর ও সন্ধ্যায় ৩ বার সময় করে পানি দিলেই চলে। এতে খরচ ও সময় কম। আবার খুব সহজে রোপণ করা যায়। চারা পুষ্ট হয় বলে গাছের বাইল শক্তিশালী হয়। ছড়ায় ধান বেশি আসে। সব মিলিয়ে এ পদ্ধতি কাজে লাগানো গেলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব বলে আমার মনে হয়। এ পদ্ধতি কাজে লাগালে আমরা লাভবান হব। ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, বাড়ির ছাদে প্লাস্টিকের ট্রের ওপর বীজতলা তৈরি করা হয়। ট্রেরের উপর আধা ইঞ্চি পুরু করে মাটি দিতে হয়। এরপর সামান্য গোবর সার দিয়ে ধান বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চারাগুলো ৪-৫ ইঞ্চি বড় হয়। এ চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে খেতে রোপণ করতে হয়। সাধারণত মাঠে বীজতলা তৈরি করলে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে বলেও জানান তিনি। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিন জানান, এতে ফলন বেশি এবং উৎপাদন খরচ কম হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নতুন এ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন চাষি এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তিনি আরও বলেন, ছাদে ছাড়াও একই পদ্ধতিতে বাড়ির উঠানেও বীজতলা তৈরি করা যায়। আমন মৌসুমেও বাড়ির ছাদে ও উঠানে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা যায়।