শিরোনাম :
Logo শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo হিটের প্রকল্প মূল্যায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান Logo পলাশবাড়ী কালীবাড়ী বাজারে অবৈধ দখল উচ্ছেদ Logo পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা  Logo ঝালকাঠির নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে ডিজিএম Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র”

শৈলকুপায় ট্র্রে পদ্ধতিতে ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি

  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৮৭ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার তামিনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষক খবির উদ্দিন ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার নিজ বাড়ির ছদের উপর এ বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন। খবির উদ্দিন জানান, তার নিজের ১২ বিঘা ধানী জমি আছে। সেই জমিতে চাষ করার জন্যই তিনি এ বীজতলা তৈরি করেছেন। ১২০টি ট্রেতে ১২ কেজি ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এতে ঘরের ছাদের ৭০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিনের পরামর্শে ঘরের ছাদেএ ট্র্রে পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাবস্থার সুবিধা হিসেবে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে ৬০ দিন গাছ বাড়ার সময় পায়। এতে প্রতিটি গাছ অনেক কুশি ছাড়ার সময় পেয়ে থাকে। যার ফলে ফলন বেড়ে যাবে। আর বাড়ির মেয়েরা অবসর সময়ে এ বীজতলা তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, শুধু মাত্র সকাল-দুপুর ও সন্ধ্যায় ৩ বার সময় করে পানি দিলেই চলে। এতে খরচ ও সময় কম। আবার খুব সহজে রোপণ করা যায়। চারা পুষ্ট হয় বলে গাছের বাইল শক্তিশালী হয়। ছড়ায় ধান বেশি আসে। সব মিলিয়ে এ পদ্ধতি কাজে লাগানো গেলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব বলে আমার মনে হয়। এ পদ্ধতি কাজে লাগালে আমরা লাভবান হব। ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, বাড়ির ছাদে প্লাস্টিকের ট্রের ওপর বীজতলা তৈরি করা হয়। ট্রেরের উপর আধা ইঞ্চি পুরু করে মাটি দিতে হয়। এরপর সামান্য গোবর সার দিয়ে ধান বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চারাগুলো ৪-৫ ইঞ্চি বড় হয়। এ চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে খেতে রোপণ করতে হয়। সাধারণত মাঠে বীজতলা তৈরি করলে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে বলেও জানান তিনি। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিন জানান, এতে ফলন বেশি এবং উৎপাদন খরচ কম হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নতুন এ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন চাষি এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তিনি আরও বলেন, ছাদে ছাড়াও একই পদ্ধতিতে বাড়ির উঠানেও বীজতলা তৈরি করা যায়। আমন মৌসুমেও বাড়ির ছাদে ও উঠানে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

শৈলকুপায় ট্র্রে পদ্ধতিতে ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার তামিনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষক খবির উদ্দিন ৫ তলার ছাদের উপর বীজতলা তৈরি করে নজীর সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার নিজ বাড়ির ছদের উপর এ বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন। খবির উদ্দিন জানান, তার নিজের ১২ বিঘা ধানী জমি আছে। সেই জমিতে চাষ করার জন্যই তিনি এ বীজতলা তৈরি করেছেন। ১২০টি ট্রেতে ১২ কেজি ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এতে ঘরের ছাদের ৭০০ বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিনের পরামর্শে ঘরের ছাদেএ ট্র্রে পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাবস্থার সুবিধা হিসেবে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে ৬০ দিন গাছ বাড়ার সময় পায়। এতে প্রতিটি গাছ অনেক কুশি ছাড়ার সময় পেয়ে থাকে। যার ফলে ফলন বেড়ে যাবে। আর বাড়ির মেয়েরা অবসর সময়ে এ বীজতলা তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, শুধু মাত্র সকাল-দুপুর ও সন্ধ্যায় ৩ বার সময় করে পানি দিলেই চলে। এতে খরচ ও সময় কম। আবার খুব সহজে রোপণ করা যায়। চারা পুষ্ট হয় বলে গাছের বাইল শক্তিশালী হয়। ছড়ায় ধান বেশি আসে। সব মিলিয়ে এ পদ্ধতি কাজে লাগানো গেলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব বলে আমার মনে হয়। এ পদ্ধতি কাজে লাগালে আমরা লাভবান হব। ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, বাড়ির ছাদে প্লাস্টিকের ট্রের ওপর বীজতলা তৈরি করা হয়। ট্রেরের উপর আধা ইঞ্চি পুরু করে মাটি দিতে হয়। এরপর সামান্য গোবর সার দিয়ে ধান বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চারাগুলো ৪-৫ ইঞ্চি বড় হয়। এ চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে খেতে রোপণ করতে হয়। সাধারণত মাঠে বীজতলা তৈরি করলে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে বলেও জানান তিনি। কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা তুহিন জানান, এতে ফলন বেশি এবং উৎপাদন খরচ কম হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নতুন এ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন চাষি এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। তিনি আরও বলেন, ছাদে ছাড়াও একই পদ্ধতিতে বাড়ির উঠানেও বীজতলা তৈরি করা যায়। আমন মৌসুমেও বাড়ির ছাদে ও উঠানে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা যায়।