নিউজ ডেস্ক:
ডোকলামের মত বিতর্কিত ভূ-খণ্ড নিয়ে ফের তৈরি হতে পারে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা। বিশেষ করে সীমান্তের হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড রয়েছে এমন বিপজ্জনক অবস্থানে।
তাই আরও বেশি সেনা মোতায়েন করতে এক বিশেষ ‘কমান্ড’ তৈরি করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এমন খবর প্রকাশ করেছে India Today সহ একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম।
খবরে বলা হয়েছে, হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে চীন সীমান্ত লাগোয়া বিতর্কিত অঞ্চলে চীনা সেনার অনুপ্রবেশ করছে। এদের মধ্যে অন্যতম হল উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশী জেলার পুলম সুমদা এলাকা। জাহ্নবী নদী বা জাধ গঙ্গা প্রবাহিত এই এলাকা দাবি করে চীন। তবে বহু প্রাচীনকাল থেকে ওই এলাকা ভারতের বলেই বিবেচিত হয়।
এদিকে রাজ্যের চামোলি জেলার বরাহোতি অংশটিও নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই অংশে চীনা সেনা অনুপ্রবেশের উদাহরণও রয়েছে।
আর এই কমান্ড তৈরির অর্থ হল, আরও বেশি সেনা মোতায়েন করা হবে সীমান্তে।
কারণ সম্প্রতি, এক সমীক্ষায় সেনাবাহিনী দেখেছে যে এই অংশ মোটেই নিরাপদ নয়। এই অঞ্চলে দুই দেশের ফের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডে চারটি পার্বত্য পথকে একসঙ্গে জুড়বে ভারতীয় সেনা। আর ২০২০-র মধ্যেই সেই কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে। শুক্রবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। ভারত-চীন সীমান্ত ঘেঁষেই এই ছক তৈরি করা হয়েছে।
লে. জেনারেল বিজয় সিং জানিয়েছেন, নিতি, লিপু লেখ, থাং লা ১ ও সাংচোকলা- এই চারটি গিরিপথ জোড়া হবে। তৎপরতার সঙ্গে চলছে কাজ। যাতে দ্রুত এই প্রজেক্ট শেষ করা সম্ভব হয়। আর তার জন্য অতিরিক্ত টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে।
এদিন আর্মি কমান্ডার্স কনফারেন্সে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। ডোকলাম সংঘাতের পর এই প্রথমবার এমন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে সম্মেলনটি।
ইন্দো-চীন বর্ডার রোড প্রজেক্টের আওতায় ভারত-চীন সীমান্তে মোট ৬১টি রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা, যার মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩৪০৯ কিলোমিটার। রাস্তা তৈরিতে যাতে আর বিলম্ব না হয়, তার জন্য ইতোমধ্যেই বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও টাস্ক ফোর্স ম্যানেজারকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ডোকলাম ইস্যুর জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কারণ চীন সীমান্তে রাস্তা তৈরি করতে দেরি হচ্ছে বলে কার্যত অসন্তুষ্ট ভারতীয় সেনা। ২০১২-র মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।