শিরোনাম :
Logo ইন্দোনেশিয়ায় মাঝসমুদ্রে যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন প্রাণহানি ৫ জনের Logo গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৩ জনের মরদেহ কবর থেকে উঠানোর নির্দেশ Logo সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে  ক্লিনিং ক্যাম্পেইন মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo কচুয়ার মাঝিগাছা মাওলানা মবিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১ Logo দেশে উৎপাদিত হচ্ছে বিদেশি ফল রামবুটান Logo রাকসু নির্বাচনের এক দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শেরপুর ডিসি অফিসের ড্রাইভারের নাম জড়িয়ে মাদক উদ্ধারের অপপ্রচার Logo টেকনাফ প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির প্রথম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিতে থাকে ব্যাংকিং খাত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বড় ধরনের দুর্যোগে ব্যাংকে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয় তার তথ্য ব্যাংকের কাছে নেই। এমনকি  এ ধরনের তথ্য সংরক্ষণেও রয়েছে অনীহা। বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিতে থাকে ব্যাংকিং খাত।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে উপস্থাপিত ‘অ্যাড্রেসিং  ডিজাস্টার রিস্ক বাই ব্যাংকস : বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে দুর্যোগে ঋণ, নিরাপত্তা, তারল্য, সুদের হার, দক্ষতা সংকট, সুনাম এবং সামষ্টিক অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এজন্য এখনই ভবিষ্যত দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। সেমিনারে ‘ইমপ্যাক্ট অব অ্যাডোপটিং ব্যাসেল অ্যাকর্ড ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরো একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (গবেষণা উন্নয়ন ও কনসালটেন্সি) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।

‘অ্যাড্রেসিং ডিজাস্টার রিস্ক বাই ব্যাংকস : বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড় ধরনের দুর্যোগে ব্যাংকে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয় তার তথ্য ব্যাংকের কাছে নেই। ব্যাংকগুলোর এ তথ্য সংরক্ষণে অনীহা আছে। আমানত, বিনিয়োগ প্রভাব এ সম্পর্কে ব্যাংকিং খাত কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না। যাবতীয় কৃষিঋণ বিতরণে বীমা আওতায় আনতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করতে হবে বলে ৪৭ শতাংশ ব্যাংকার মত দিয়েছেন। ১৭ শতাংশ ব্যাংকার জানিয়েছেন, সচেতনতা প্রয়োজন।

এদিকে ‘ইমপ্যাক্ট অব অ্যাডোপটিং ব্যাসেল অ্যাকর্ড ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী পুঁজি সংরক্ষণ জরুরি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে দুর্যোগে ব্যাংকিং খাত থমকে যায়। প্রায়ই সুদ মওকুফ, ঋণ পুনঃতফসিল করতে হয়। এ কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ব্যাংকিং খাত অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়ে। ২০১৫ সালের রাজনৈতিক গোলযোগেও ব্যাংকিং খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। ২০১৬ থেকে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এটি ২০১৯ সালের মধ্যে পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিআইবিএমের গবেষণায় পাওয়া সুপারিশগুলো ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়নে কাজে আসবে।

বিআইবিএমের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাসল-৩ বাস্তবায়নে ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদকে সচেতন হতে হবে। বোর্ডকে প্রত্যেকটি ধাপ বোঝানোর দায়িত্ব টপ ম্যানেজমেন্টের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু ক্ষেত্রে অস্থিরতা চলছে। হঠাৎ ব্যাংক কর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। আবার অন্য খাতের লোকজনকে বড় বেতনে ব্যাংকে সিনিয়র পদে বসানো হচ্ছে। এটি ব্যাংকিং খাতের জন্য ভালো খবর নয়।

মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আমীন বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনটা জরুরি। খুব তাড়াহুড়া না করে পরিকল্পনা তৈরি করে ব্যাচেল-৩ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে ভালো অবস্থানে ফিরছে। বিডিবিএল ১০ কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে সরকারকে। বড় দুর্যোগে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি এড়াতে বীমার আওতায় আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্দোনেশিয়ায় মাঝসমুদ্রে যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন প্রাণহানি ৫ জনের

বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিতে থাকে ব্যাংকিং খাত !

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৪৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বড় ধরনের দুর্যোগে ব্যাংকে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয় তার তথ্য ব্যাংকের কাছে নেই। এমনকি  এ ধরনের তথ্য সংরক্ষণেও রয়েছে অনীহা। বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিতে থাকে ব্যাংকিং খাত।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে উপস্থাপিত ‘অ্যাড্রেসিং  ডিজাস্টার রিস্ক বাই ব্যাংকস : বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে দুর্যোগে ঋণ, নিরাপত্তা, তারল্য, সুদের হার, দক্ষতা সংকট, সুনাম এবং সামষ্টিক অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এজন্য এখনই ভবিষ্যত দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। সেমিনারে ‘ইমপ্যাক্ট অব অ্যাডোপটিং ব্যাসেল অ্যাকর্ড ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরো একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (গবেষণা উন্নয়ন ও কনসালটেন্সি) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।

‘অ্যাড্রেসিং ডিজাস্টার রিস্ক বাই ব্যাংকস : বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড় ধরনের দুর্যোগে ব্যাংকে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয় তার তথ্য ব্যাংকের কাছে নেই। ব্যাংকগুলোর এ তথ্য সংরক্ষণে অনীহা আছে। আমানত, বিনিয়োগ প্রভাব এ সম্পর্কে ব্যাংকিং খাত কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না। যাবতীয় কৃষিঋণ বিতরণে বীমা আওতায় আনতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করতে হবে বলে ৪৭ শতাংশ ব্যাংকার মত দিয়েছেন। ১৭ শতাংশ ব্যাংকার জানিয়েছেন, সচেতনতা প্রয়োজন।

এদিকে ‘ইমপ্যাক্ট অব অ্যাডোপটিং ব্যাসেল অ্যাকর্ড ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী পুঁজি সংরক্ষণ জরুরি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে দুর্যোগে ব্যাংকিং খাত থমকে যায়। প্রায়ই সুদ মওকুফ, ঋণ পুনঃতফসিল করতে হয়। এ কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ব্যাংকিং খাত অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়ে। ২০১৫ সালের রাজনৈতিক গোলযোগেও ব্যাংকিং খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। ২০১৬ থেকে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এটি ২০১৯ সালের মধ্যে পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিআইবিএমের গবেষণায় পাওয়া সুপারিশগুলো ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়নে কাজে আসবে।

বিআইবিএমের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাসল-৩ বাস্তবায়নে ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদকে সচেতন হতে হবে। বোর্ডকে প্রত্যেকটি ধাপ বোঝানোর দায়িত্ব টপ ম্যানেজমেন্টের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু ক্ষেত্রে অস্থিরতা চলছে। হঠাৎ ব্যাংক কর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। আবার অন্য খাতের লোকজনকে বড় বেতনে ব্যাংকে সিনিয়র পদে বসানো হচ্ছে। এটি ব্যাংকিং খাতের জন্য ভালো খবর নয়।

মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আমীন বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনটা জরুরি। খুব তাড়াহুড়া না করে পরিকল্পনা তৈরি করে ব্যাচেল-৩ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে ভালো অবস্থানে ফিরছে। বিডিবিএল ১০ কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে সরকারকে। বড় দুর্যোগে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি এড়াতে বীমার আওতায় আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।