শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধ হবেই: অর্থমন্ত্রী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

তামাকজাত পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এ কথা উল্লেখ করে ক্রমান্বয়ে এর উৎপাদন বন্ধের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেছেন, দেশের তামাকবাজারের ৮০ শতাংশ বিড়ি ও নিম্নমানের বিড়ির দখলে। এসব তামাকজাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই ভবিষ্যতে দেশে বিড়ি থাকবে না, এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিসহ দেশের অন্যান্য তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিসহ দেশের তামাক কোম্পানিগুলো বৈঠকে তাদের মতামত জানিয়েছে। আজকের বৈঠকটাই ছিল কোম্পানিগুলোর মতামত শোনার জন্য। আমরা তাদের কথা শুনেছি, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কোম্পানিগুলো কী বলেছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, তারা তাদের সব ধরনের চাহিদার কথা জানিয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই আলোচনা হয়েছে। তারা আমার কাছে বলেছে, তামাকবাজারের ৮০ শতাংশ বিড়িসহ অন্যান্য কম দামি সিগারেটের দখলে। এসব তামাক পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। এগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে পলিসি নিতে হবে। এজন্য সরকার অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে।

তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধ হলে রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, রাজস্ব আয়ে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে চাহিদা কমলে তো রাজস্ব আয় একটু কমবেই।

বিড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে চাপ আসে, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর আগে অনেক চিঠি পেয়েছিলাম। এবার দু-একটা পেয়েছি। বিড়ি বাংলাদেশে থাকবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার।

উল্লেখ্য, চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের  আগে প্রাক-বাজেট আলোচনাকালে বিড়ি উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় তারা তামাকজাত পণ্য, বিশেষ করে বিড়ি এবং নিম্নমানের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করার জন্য সরকারের দেওয়া দ্ইু বছরের পরিবর্তে তিন বছর সময় চান। বৈঠকে এ বিষয়টিও আলোচনায় প্রাধান্য পায় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধ হবেই: অর্থমন্ত্রী !

আপডেট সময় : ১২:২৯:৩৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

তামাকজাত পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এ কথা উল্লেখ করে ক্রমান্বয়ে এর উৎপাদন বন্ধের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেছেন, দেশের তামাকবাজারের ৮০ শতাংশ বিড়ি ও নিম্নমানের বিড়ির দখলে। এসব তামাকজাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই ভবিষ্যতে দেশে বিড়ি থাকবে না, এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিসহ দেশের অন্যান্য তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিসহ দেশের তামাক কোম্পানিগুলো বৈঠকে তাদের মতামত জানিয়েছে। আজকের বৈঠকটাই ছিল কোম্পানিগুলোর মতামত শোনার জন্য। আমরা তাদের কথা শুনেছি, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কোম্পানিগুলো কী বলেছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, তারা তাদের সব ধরনের চাহিদার কথা জানিয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই আলোচনা হয়েছে। তারা আমার কাছে বলেছে, তামাকবাজারের ৮০ শতাংশ বিড়িসহ অন্যান্য কম দামি সিগারেটের দখলে। এসব তামাক পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। এগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে পলিসি নিতে হবে। এজন্য সরকার অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে।

তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধ হলে রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, রাজস্ব আয়ে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে চাহিদা কমলে তো রাজস্ব আয় একটু কমবেই।

বিড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে চাপ আসে, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর আগে অনেক চিঠি পেয়েছিলাম। এবার দু-একটা পেয়েছি। বিড়ি বাংলাদেশে থাকবে না। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার।

উল্লেখ্য, চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের  আগে প্রাক-বাজেট আলোচনাকালে বিড়ি উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় তারা তামাকজাত পণ্য, বিশেষ করে বিড়ি এবং নিম্নমানের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করার জন্য সরকারের দেওয়া দ্ইু বছরের পরিবর্তে তিন বছর সময় চান। বৈঠকে এ বিষয়টিও আলোচনায় প্রাধান্য পায় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।