নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কেপলা টেলিস্কোপ নতুন করে ২১৯টি গ্রহের সন্ধান দিয়েছে। যার মধ্যে ১০টি অবিকল পৃথিবীর মতো। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র বিজ্ঞানী মারিও পেরেজ সোমবার এই তথ্য জানান।
নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পেরেজ বিশ্ববাসীকে এই আশার কথা জানিয়ে দেন। এসময় নাসার ওয়েবসাইটেও সরাসরি তা সম্প্রচার করা হয়। পেরেজ বলেন, পৃথিবী আকৃতির ১০টি গ্রহ পাথরের হলেও এগুলোয় পানি থাকার সম্ভাবনা বেশি। পৃথিবীর মতো গ্রহগুলো মহাকাশের ‘গোল্ডিলক্স জোন’ এ অবস্থিত। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে অবশ্য আবিস্কারের কথা জানিয়ে দেয় নাসা।
বিজ্ঞানী মারিও পেরেজ আরও বলেন, মহাকাশে আমরা একা কিনা সে ব্যাপারে কাজ করে চলেছে কেপলার। আর সম্ভবত সে আমাদের হতাশ করেনি। বিষয়টি এখন অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গিয়েছে যে, অন্য সৌরজগতগুলোয় অবস্থান ও প্রকৃতিগতভাবে পৃথিবীর মতো গ্রহের অভাব নেই। একই মত প্রকাশ করেন সম্মেলনে উপস্থিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অভি লোয়েব। পরে তিনি ই-মেইল বার্তা সংস্থা এপি’কেও বিষয়টি অবহিত করেন।
সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান করে আসছে নাসা’র টেলিস্কোপযান ‘কেপলার’। ২০০৯ সালে নাসা কেপলার টেলিস্কোপটি পাঠানোর পর থেকে এটি ব্যস্ত সময় পার করছে। কেপলার এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৪টি গ্রহাণু নির্বাচন করেছে এবং ২ হাজার ৩৫ টি সাম্ভাব্য গ্রহের সন্ধান দিয়েছে।
২০১৩ সালের মধ্যেই কেপলার তার প্রাথমিক লক্ষ্যপূরণ করে ফেলে। যার মধ্যে ২ হাজার ৩৩৫টি গ্রহের অস্তিত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে নাসা। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া কেপলারের দ্বিতীয় অভিযানে সৌরজগতের বাইরে এখন পর্যন্ত আরো ৫২০টি সম্ভাব্য গ্রহ আবিষ্কার করা হয়, যার মধ্যে ১৪৮টি গ্রহ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা অনেকটাই নিশ্চিত।
অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে পৃথিবীর মতো গ্রহের সম্ভাবনা নিয়ে কেপলার মানুষকে হতাশ করেনি। কিন্তু কেপলারের চোখ বহুদূর গেলেও আমাদের বিজ্ঞান সেই পথ পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করে উঠতে পারেনি।কাজেই বহুদূরের গ্রহগুলো সত্যিই মানুষের বসবাসের উপযোগি কিনা, বা সেখানে অতিবুদ্ধিমান মানুষের বসবাস রয়েছে কিনা তা জানতে এখনও অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।