যেখানে এক টাকার ক্লিনিক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রোগগ্রস্ত হলেও এখন নিম্ন কিংবা মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ ক্লিনিকে যেতে চাই না। আর কারণ একটাই, সেখানে গেলে পকেট খালি হতে পারে। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় হলো এখনও এক টাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। তবে সেটা বাংলাদেশের কোনো ক্লিনিক নয়, এধরণের ক্লিনিক রয়েছে ভারতে। সম্প্রতি সেখানে এক নারী বাচ্চা প্রসব করানোর পর বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যম।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, লোকাল ট্রেনে করে মুম্বাইয়ের তিতওয়ালা থেকে দাদরে যাচ্ছিলেন এক অন্তঃসত্ত্বা। ট্রেনেই প্রসব বেদনা শুরু হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল পার্শ্ববর্তী স্টেশনের এক টাকার ক্লিনিকে। সেখানেই ড. রাহুল ঘুলে এবং ড. সরিতার তত্ত্বাবধানে সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। এরপর সদ্য প্রসূতিকে সন্তানসহ তাদের পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে একটা দুইটা নয়, এমন এক টাকার ট্রেন চালু রয়েছে শহরের ট্রেন লাইনের ধারে ঘাটকোপা, দাদর, কুরলা, মানখুর্দ ও ওয়াডালাতেও। গত ২০ জুন চালু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ১২,৫৫৫ জনের চিকিত্সা হয়েছে ক্নিনিকগুলোতে।

ড. ঘুলে বলেছেন, প্রতিদিন প্রায় আট থেকে দশটি এমার্জেন্সি রোগীকে চিকিত্সার জন্য নিয়ে আসা হয়। এসব রোগীদের এমআরআই, এক্স রে-র মতো পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আরও ৫০ থেকে ৬০ জন রোগীর চিকিত্সা হয় এখানে। সংশ্লিষ্ট রেল স্টেশনে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের প্রথমে এই ক্লিনিকেই নিয়ে আসা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যেখানে এক টাকার ক্লিনিক !

আপডেট সময় : ০৫:৫১:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রোগগ্রস্ত হলেও এখন নিম্ন কিংবা মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ ক্লিনিকে যেতে চাই না। আর কারণ একটাই, সেখানে গেলে পকেট খালি হতে পারে। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় হলো এখনও এক টাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। তবে সেটা বাংলাদেশের কোনো ক্লিনিক নয়, এধরণের ক্লিনিক রয়েছে ভারতে। সম্প্রতি সেখানে এক নারী বাচ্চা প্রসব করানোর পর বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যম।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, লোকাল ট্রেনে করে মুম্বাইয়ের তিতওয়ালা থেকে দাদরে যাচ্ছিলেন এক অন্তঃসত্ত্বা। ট্রেনেই প্রসব বেদনা শুরু হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল পার্শ্ববর্তী স্টেশনের এক টাকার ক্লিনিকে। সেখানেই ড. রাহুল ঘুলে এবং ড. সরিতার তত্ত্বাবধানে সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। এরপর সদ্য প্রসূতিকে সন্তানসহ তাদের পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে একটা দুইটা নয়, এমন এক টাকার ট্রেন চালু রয়েছে শহরের ট্রেন লাইনের ধারে ঘাটকোপা, দাদর, কুরলা, মানখুর্দ ও ওয়াডালাতেও। গত ২০ জুন চালু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ১২,৫৫৫ জনের চিকিত্সা হয়েছে ক্নিনিকগুলোতে।

ড. ঘুলে বলেছেন, প্রতিদিন প্রায় আট থেকে দশটি এমার্জেন্সি রোগীকে চিকিত্সার জন্য নিয়ে আসা হয়। এসব রোগীদের এমআরআই, এক্স রে-র মতো পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আরও ৫০ থেকে ৬০ জন রোগীর চিকিত্সা হয় এখানে। সংশ্লিষ্ট রেল স্টেশনে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের প্রথমে এই ক্লিনিকেই নিয়ে আসা হয়।